Wednesday, June 4, 2014

১৫ বছর সংসার করার পর ধরা খেলেন হিজড়া স্বামী

দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পুরুষ পরিচয়ে বিয়ে করে স্ত্রীর সাথে সংসার করে অবশেষে ধরা খেলেন লোকমান হোসেন নামের এক হিজড়া। যশোরের কেশবপুর কানাইডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। লোকমানের স্ত্রী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার প্রতারণা ফাঁস করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সোমবার তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, গত ১৯৯৯ সালে যশোরের কেশবপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের আলী মোল্যার মেয়ে নাজমা সাথে পাইকগাছা উপজেলার মালতে গ্রামের কাশেম মোড়লের ছেলে লোকমান হোসেনের বিয়ে করেন। বিয়ের আগে তারা স্থানীয় একটি ইটভাটায় একসাথে কাজ করছিলেন।

বিয়ের পর লোকমান হোসেন তার স্ত্রী নাজমাকে ধর্মীয় গ্রন্থ ছুইয়ে শপথ করে বলেন তিনি হিজড়া। তবে একথা কাউকে না বলার জন্য তাকে শপথ করান। এর থেকে সব কিছু গোপন রেখে সংসার করে আসছিলেন স্ত্রী নাজমা বেগম। এই সময়ের মধ্যে লোকমান হোসেন তার পৈর্তৃক সম্পত্তি বিক্রি করে শ্বশুর আলী মোল্যাকে মাছের ঘের করার জন্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা ধার দেন।

গত ২৮ মে লোকমান হোসেন ও তার স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি কানাইডাঙ্গা গ্রামে বেরাতে যান। এরপর শ্বশুর আলী মোল্যার কাছে পাওনা টাকা ফেরৎ চান। এতে তার শ্বশুর ক্ষিপ্ত হয়ে টাকা না দিয়ে উল্টা স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ এলাকবাসীর উপস্থিতিতে মেয়ে নাজমাকে দিয়ে তার স্বামী লোকমান হোসেন হিজড়া হয়ে পুরুষ পরিচয়ে বিয়ে করার ঘটনা ফাঁস করে দেন। এরপর কেশবপুর থানার পুলিশ ডেকে এনে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, তাদের বিয়ের পর স্ত্রী নাজমার সম্মতিতে তার স্বামী লোকমান হোসেন কাঠ দিয়ে একটি লিঙ্গ তৈরি করেন। এরপর ওই কাঠের লিঙ্গ দিয়ে তার স্ত্রীর যৌবনের চাহিদা পুরণ করে আসছিলেন। এ ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন নাজমার পিতা আলী মোল্যা। যার মামলা নং- ২, তাং-০১/০৬/১৪।

এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিল জানান, আটক লোকমান হোসেন (হিজড়া)। তিনি তার বাড়ি এলাকায় রোকেয়া নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর প্রতারিত স্ত্রী নাজমাকে তার পিতার হেফাযতে দেয়া হয়েছে।