Tuesday, September 2, 2014

কয়রা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হয়রানির শিকার

কয়রা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসমত আলী পাইকগাছার কপিলমুনি এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে হয়রানি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত ২৭ আগষ্ট বিকেলে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধূরী হাসমত আলী অফিসের কাজ সেরে মোটর সাইকেলযোগে খুলনা যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কপিলমুনি পৌঁছলে ৭/৮ জন লোকের সংঘবদ্ধ একটি চক্র মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তাঁর ওপর চড়াও হয়ে ক্ষিপ্তভাবে বলে তুই কি হাসমত আলী? তোর অফিস স্টাফ মনিরা ও ওবায়দুল্লাহর ক্ষতিকর কাগজপত্র কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস, সেগুলো দিয়ে যা নতুবা প্রাণে শেষ করে ফেলব।

তখন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজে ও তার সঙ্গী তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে সংঘবদ্ধ চক্রটি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মারতে উর্দ্ধত হয়। এ সময় তাদের মধ্য থেকে একজন বলে ওঠে ভদ্রভাবে কাগজপত্র দিয়ে দাও। তখন তিনি বলেন, ভদ্রভাবে নিতে হলে ভদ্রলোকের মাধ্যমে নিতে হয়।

এসময় সংঘবদ্ধ চক্রটি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোড়ল রশিদুজ্জামানের কাছে নিয়ো যায়। চেয়ারম্যান অফিসিয়াল কাগজপত্র দেখে তাতে ক্ষতিকর তেমন কিছু নেই বলে ওই কর্মকর্তাকে খুলনা যাবার অনুমতি দিয়ে সহায়তা করেন।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসমত আলী জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তাঁর অফিসের কর্মচারীদের অনুরোধে তাদের মতামতের ভিত্তিতে পত্র স্মারক নং উপপ/কয়রা/খুলনা/বিবিধ-৫৪/২০১৪/২১৫ তারিখ ২৬/৬/২০১৪ ইং মাধ্যমে অফিসিয়াল দায়িত্ব বন্টন করে দেন।

কিন্তু অফিসের কার্যক্রম পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টির কারনে দক্ষতা বিচারে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার স্বার্থে কয়রা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পত্র স্মারক নং উপপ/কয়রা/খুলনা/বিবিধ-৫৪/২০১৪/২৬৯ তারিখ ২৫/৮/২০১৪ ইং মাধ্যমে পত্র সরবরাহ করলে ইউএফপিএ মনিরা খাতুন এবং ইউএফপিএ এস,এম ওবায়দুল্লাহ দায়িত্ব বুঝে নিতে অস্বীকার করেন। অনুরোধের এক পর্যায়ে তারা উভয়েই ওই পত্র প্রাপ্তি স্বীকারদানের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝে নেয়। তবে এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।

হাসমত আলী জানান, গত জানুয়ারিতে ইউএফপিএ এস,এম ওবায়দুল্লাহ বিভাগীয় কার্যালয়ের স্মারকে কয়রা অফিস থেকে তেরখাদায় বদলী হলে অহেতুক উপজেলা পরিবার পকিল্পনা কর্মকর্তার ওপর ভীষনভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তাকে গত জুনে বিভাগীয় কার্যালয়ের অপর একটি স্মারকে পুনরায় তেরখাদা থেকে কয়রায় বদলী হয়। এ সকল ঘটনায় ইউএফপিএদ্বয় ক্ষিপ্ততা বশত সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে পথে হেনস্থা করেছে বলে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের দুই পক্ষ দুটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টি শুনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।