Thursday, September 25, 2014

কপিলমুনিতে এক প্রতারক আটক; অতঃপর মুক্ত

কপিলমুনির মামুদকাটীতে এক প্রতারককে স্থানীয় জনতা ধরে পুলিশে দেয়। অতপর স্থানীয় ফাড়ী পুলিশ তাকে মুক্তি দিয়েছে। জানা যায়, কপিলমুনির পাশ্ববর্তী মামুদকাটী গ্রামের অরুন বিশ্বাসের ছেলে দীপংকর বিশ্বাস (৪০) মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছু দিন পূর্বে দীপংকরের পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য কলকাতায় পাঠায়। এ সময় রোগীর সাথে একই গ্রামের মুকুন্দ দত্তকে ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে পাঠানো হয়।

রোগীর ভাই উত্তম জানান, চিকিৎসা খরচ বাবদ ৮ লক্ষ টাকা দিলেও আমার দাদা কে সে উন্নত চিকিৎসা দেয়নি, এবং সে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসা না দিয়ে বাড়ীতে ফিরিয়ে আনায় দাদা (দীপংকর) মারা যান। এদিকে এ ঘটনায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় জনতা ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন মামুদকাটী বাজারে মুকুন্দকে পেয়ে অবরুদ্ধ করে ফেলে।

খবর পেয়ে হরিঢালী ফাঁড়ী পুলিশ ওই স্থান থেকে মুকুন্দকে উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়ীতে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। উল্লেখ্য, মুকুন্দ মামুদকাটী গ্রামের মৃতঃ অনাথ দত্তের ছেলে।

এ ব্যাপারে হরিঢালী পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ বজলুর রহমান বলেন, আমি প্রশাসনিক কাজে বাইরে আছি; তবে সম্ভাবত মামুদকাটীর ইউপি মেম্বরের জিম্মায় মুকুন্দকে ছাড়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।

মামুদকাটী ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বর কুমারেশ দে জানান, পুলিশ মুকুন্দকে তার ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে।