কয়রা উপজেলা সদর থেকে ৫১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার।
কয়রা উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষের জন্য একমাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র এটি।
যে কোন জরুরী মুহূর্তে এই ১৩ কিলোমিটার বেহাল সড়ক পাড়ি দিতে অর্ধেক পথেই ঘটে যায় বড় অঘটন। মাত্র ২০ মিনিটের এ পথ খানাখন্দক পার হয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে সময় লেগে যায় দুই ঘন্টা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কয়রা-বেতগ্রাম সড়কের কয়রা
উপজেলার অংশে ১৩ কিলোমিটার। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয় ইউনিয়নের
বাসিন্দাদের হাসপাতালে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। মাঝে মধ্যে এ সড়ক দিয়ে
কোন মুমূর্ষু রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে পথেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
অনেক সময় গর্ভবতী মহিলাদেরকে হাসপাতালে নেয়ার পথে বাচ্চা প্রসব করার ঘটনাও
ঘটতে দেখা যায়। সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা অহরহই ঘটছে বলে স্থানীয় জনসাধারণ
জানিয়েছেন। কিছুদিন আগে গুরুতর আহত এক রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার পথে রক্ত
ক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির ১৩ কিলোমিটার অংশে বর্তমানে পিচ ও খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সে সব গর্তে পানি জমে তৈরি হয়েছে মৃত্যু ফাঁদ। তার পরও বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই এ পথে রাত দিন চলছে সব ধরনের যানবাহন।
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক আঃ সালাম বলেন, কেবল এ তের কিলোমিটার সড়ক নয়। কয়রা-বেতগ্রাম সড়ক দিয়ে কোন মুমূর্ষু রোগী নিয়ে খুলনা সদরে পৌছাতে ১১০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা বেহাল। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সময়মত রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে কিংবা খবর পেয়ে রোগীর বাড়ি পৌঁছাতে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী আমি নিজেই। তিনি বলেন, ‘‘রোগীর কষ্ট দেখে নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগে, কিন্তু কিছুই তো করার নেই। কেন যে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির উন্নয়ন হয় না বুঝতে পারিনা।’’
খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ২০১২ সালে কয়রা-বেতগ্রাম সড়কের কয়রা উপজেলা অংশে ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত মালবাহী ভারি যান-বাহন চলাচল করায় তা আবারও নষ্ট হয়ে গেছে। সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে অতিরিক্ত মাল বোঝাই যান চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির ১৩ কিলোমিটার অংশে বর্তমানে পিচ ও খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সে সব গর্তে পানি জমে তৈরি হয়েছে মৃত্যু ফাঁদ। তার পরও বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই এ পথে রাত দিন চলছে সব ধরনের যানবাহন।
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক আঃ সালাম বলেন, কেবল এ তের কিলোমিটার সড়ক নয়। কয়রা-বেতগ্রাম সড়ক দিয়ে কোন মুমূর্ষু রোগী নিয়ে খুলনা সদরে পৌছাতে ১১০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা বেহাল। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সময়মত রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে কিংবা খবর পেয়ে রোগীর বাড়ি পৌঁছাতে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী আমি নিজেই। তিনি বলেন, ‘‘রোগীর কষ্ট দেখে নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগে, কিন্তু কিছুই তো করার নেই। কেন যে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির উন্নয়ন হয় না বুঝতে পারিনা।’’
খুলনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ২০১২ সালে কয়রা-বেতগ্রাম সড়কের কয়রা উপজেলা অংশে ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত মালবাহী ভারি যান-বাহন চলাচল করায় তা আবারও নষ্ট হয়ে গেছে। সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে অতিরিক্ত মাল বোঝাই যান চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।