আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আটক না করার অভিযোগ
পাইকগাছায় মারপিট ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ৩ উপজেলার ২৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও থানা পুুলিশ আসামী আটক না করায় বাদী ও তার পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের জখারহুলা গ্রামের মৃত অতুল শীলের পুত্র ভবসিন্ধু শীল’এর সাথে একই এলাকার কালিপদ মন্ডলের পুত্র দীপক মন্ডলের জায়গা-জমি ও মৎস্য ঘের নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এরই সূত্রধরে ঘটনার দিন গত ১৩ আগষ্ট ভবসিন্ধুর ভাতিজা বিশ্বজিৎ শীল ও তার স্ত্রী শিপ্রা শীল মধুখালী মৌজার মৎস্য ঘের হতে বাড়ী যাওয়ার সময় আসামী গোলক চন্দ্র মন্ডল ও দীপক মন্ডলসহ ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট, শ্লীলতাহানি ও হত্যা চেষ্ঠা চালায়।
এ ঘটনায় ভবসিন্ধু বাদী হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। যার নং-সিআর ৪০৮/১৪। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ এর মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। এ আলোকে রোববার পাইকগাছা, কয়রা ও ডুমুরিয়ার ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। যার নং-১৪।
মামলার আসামীরা হলো, পাইকগাছার খালিয়ারচক গ্রামের মৃত গোবিন্দলালের পুত্র গোলক চন্দ্র মন্ডল (৩৫), জখারহুলা গ্রামের দীপক মন্ডল, সাধন মন্ডল, ইন্দ্রজিৎ মন্ডল, রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, পবন মন্ডল, বিন্দা মন্ডল, কালিপদ মন্ডল, বাইনচাপড়া গ্রামের নিত্য মন্ডল, তাপস মন্ডল, পানা গ্রামের কালিপদ সরদার, ডুমুরিয়া উপজেলার শেখেরটেক গ্রামের স্বজল/বাবু ও কয়রা উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের ইদ্রিস আলী গাজীর পুত্র ইউনুস গাজী।
এদিকে মামলার পর কোন আসামী আটক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাদী ও তার পরিবার।