কয়রা উপজেলায় বৃক্ষমেলার অনুমতি নিয়ে কয়েকটি প্যান্ডেলে রাতের গভীরে
চালানো হচ্ছে অশালীন নাচ গানের প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনীর অশালীন পোস্টার আশ
পাশের বাজার, বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে লাগানো হয়েছে। সরকারি
জায়গায় অশালীন নাচ গানের প্যান্ডেল ও বিভিন্ন স্টল বরাদ্দ দিয়ে মেলা আয়োজক
কমিটি স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতি নিয়ে কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন ভুমি অফিস এবং সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের জায়গায় টাকার বিনিময়ে স্টল বরাদ্দ দিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বৃক্ষমেলার নামে কুরুচিপুর্ণ নাচ গানের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ।
১০ দিন ব্যাপি এ আয়োজনে অন্যন্য বছর কেবল গাছের চারা ও কাঠের তৈরি ফার্নিচারের সঙ্গে কিছু মনোহরি দোকান, নাগরদোলা এবং সন্ধ্যায় লোকগানের আসর বসতো। বর্তমানে তা নগ্ন নৃত্য প্রদর্শনীতে রুপ নেয়ায় এ অশ্লীলতা বন্ধের দাবীতে কয়রা থানা ছাত্রলীগ ও কয়েকটি সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি সালাউদ্দীন লিটন বলেন, আয়োজক কমিটি টাকা আয়ের লোভে এমন জঘন্য কাজ শুরু করেছে এবার। গ্রামের মধ্যে এমন জঘন্য প্রদর্শনী বন্ধ না হলে সামাজিক অবক্ষয় শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মেলার স্টল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি ২০ বর্গ ফুটের স্টল বাবদ মেলা আয়োজক কমিটি ১০ হাজার টাকা অগ্রীম ও প্রতিদিন পাহারাদার, জেনারেটর খরচ বাবদ আলাদা দুইশ’ টাকা করে চাঁদা তুলছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, এবারের মেলায় মাত্র ৩৬টি গাছের চারা বিক্রির স্টল রয়েছে। সেখানে অন্যন্য স্টল রয়েছে এক হাজারের মত। যশোর জেলা থেকে আসা একজন নার্সারি মালিক বলেন, দশ হাজার টাকা দিয়ে মেলায় স্টল বরাদ্দ নিতে হয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন নানা অজুহাতে চাঁদা তোলা হচ্ছে। মেলার চার দিন পার হলেও এখনো এক হাজার টাকার চারা বিক্রি হয়নি। তিনি বলেন, লোকজন গাছ কেনার চাইতে নাচ গানের দিকে ঝুঁকছেন বেশি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, বৃক্ষমেলা এখন কেবল বৃক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলে না। মেলার দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও থাকা দরকার। এ জন্য আমরা পুতুল নাচ ও সার্কাসের আয়োজন করেছি। এখানে অশ্লীলতার কোন সুযোগ নেই। তবে সরকারি জায়গা ভাড়া দিয়ে আদায় করা টাকা কোথায় ব্যায় করা হবে জানতে চাইলে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন তিনি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম হাসান বলেন, বৃক্ষমেলার অনুমতি নিয়ে
সেখানে অশ্লীল নাচ গান হচ্ছে কিনা জানা নেই। যদি এমন কোন কিছু ঘটে থাকে তবে মেলার অনুমতি বাতিল করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। অন্যদিকে সরকারি জায়গায় স্টল বরাদ্দ দিয়ে আদায়কৃত টাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতি নিয়ে কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন ভুমি অফিস এবং সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের জায়গায় টাকার বিনিময়ে স্টল বরাদ্দ দিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বৃক্ষমেলার নামে কুরুচিপুর্ণ নাচ গানের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ।
১০ দিন ব্যাপি এ আয়োজনে অন্যন্য বছর কেবল গাছের চারা ও কাঠের তৈরি ফার্নিচারের সঙ্গে কিছু মনোহরি দোকান, নাগরদোলা এবং সন্ধ্যায় লোকগানের আসর বসতো। বর্তমানে তা নগ্ন নৃত্য প্রদর্শনীতে রুপ নেয়ায় এ অশ্লীলতা বন্ধের দাবীতে কয়রা থানা ছাত্রলীগ ও কয়েকটি সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি সালাউদ্দীন লিটন বলেন, আয়োজক কমিটি টাকা আয়ের লোভে এমন জঘন্য কাজ শুরু করেছে এবার। গ্রামের মধ্যে এমন জঘন্য প্রদর্শনী বন্ধ না হলে সামাজিক অবক্ষয় শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মেলার স্টল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি ২০ বর্গ ফুটের স্টল বাবদ মেলা আয়োজক কমিটি ১০ হাজার টাকা অগ্রীম ও প্রতিদিন পাহারাদার, জেনারেটর খরচ বাবদ আলাদা দুইশ’ টাকা করে চাঁদা তুলছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, এবারের মেলায় মাত্র ৩৬টি গাছের চারা বিক্রির স্টল রয়েছে। সেখানে অন্যন্য স্টল রয়েছে এক হাজারের মত। যশোর জেলা থেকে আসা একজন নার্সারি মালিক বলেন, দশ হাজার টাকা দিয়ে মেলায় স্টল বরাদ্দ নিতে হয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন নানা অজুহাতে চাঁদা তোলা হচ্ছে। মেলার চার দিন পার হলেও এখনো এক হাজার টাকার চারা বিক্রি হয়নি। তিনি বলেন, লোকজন গাছ কেনার চাইতে নাচ গানের দিকে ঝুঁকছেন বেশি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, বৃক্ষমেলা এখন কেবল বৃক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলে না। মেলার দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও থাকা দরকার। এ জন্য আমরা পুতুল নাচ ও সার্কাসের আয়োজন করেছি। এখানে অশ্লীলতার কোন সুযোগ নেই। তবে সরকারি জায়গা ভাড়া দিয়ে আদায় করা টাকা কোথায় ব্যায় করা হবে জানতে চাইলে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন তিনি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম হাসান বলেন, বৃক্ষমেলার অনুমতি নিয়ে
সেখানে অশ্লীল নাচ গান হচ্ছে কিনা জানা নেই। যদি এমন কোন কিছু ঘটে থাকে তবে মেলার অনুমতি বাতিল করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। অন্যদিকে সরকারি জায়গায় স্টল বরাদ্দ দিয়ে আদায়কৃত টাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।