পাইকগাছায় ১৩ বনদস্যু নিহতের পরও কাটেনি আতংক
আশংকা প্রতিশোধের নেশায় হানাদিতে পারে ডাকাত দলের অন্যরা
সুন্দরবন উপকূলীয় খুলনার পাইকগাছায় কথিত বন্দুক যুদ্ধে ১৩ বনদস্যু নিহত ও বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হলেও গত ১৫ দিনেও আতংক কাটেনি জনপদে। কথিত বন্দুক যুদ্ধের গুলির শব্দ বিভৎসতা এখনও তাড়া করে ফিরছে সেখানকার অধিবাসীদের। নদীতে ট্রলার ও রাস্তায় মোটর সাইকেল বা নসিমনের (ইঞ্জিন চালিত ভ্যান) আকস্মিক শব্দে দুর্গম পল্লীবাসীরা।
অনেকের ধারণা বিস্তীর্ণ সুন্দরবনের অন্যতম প্রধান কাশেম বাহিনীর মাত্র ১৩
দস্যু নিহত হলেও বাকীরা প্রতিশোধ নিতে যে কোন সময় হানা দিতে পারে ঐ
পল্লীতে। এমন নানান আশংকায় আতংকিত এলাকাবাসী নিজেদের জানমালের নিরাপত্তায়
রীতিমত সংঙ্ঘবদ্ধভাবে রাত জেগে পাহারা বসিয়েছে।
চারদিকে নদী বেষ্টিত দ্বীপ গ্রামটিতে সন্ধ্যা নামতেই তৈরী হচ্ছে এক অন্যরকম ভীতিকর পরিবেশ। দিনের বেলাও যেন পাল্টে গেছে চীরচেনা গ্রামের সাধারণ মানুষের গতি-প্রকৃতি। অপরিচিত কারোর সাথে নুন্যতম কথাটুকু বলতেও যেন অনেক অজানা প্রতিবন্ধকতা। ইতোমধ্যে অপহরণকারীদের হাত থেকে বেঁচে আসা কলেজে প্রভাষক প্রশান্ত কুমার ঢালী পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রাম ছেড়েছেন। অনেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন অন্যত্র বসবাসের।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৫ অক্টোবর উপজেলার জিরবুনিয়া গ্রামে সশস্ত্র ডাকাত দলের সাথে পুলিশের দু’দফা কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় ১৩ জন ডাকাত। ঘটনার রাতে তারা মূূলতঃ সেখানকার জিতেন্দ্র কুমার ঢালী নামের এক স্কুল শিক্ষককে অপহরণ করতে তার বাড়িতে হানা দেয়।
এ সময় ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ও তার স্ত্রী বাড়ির পেছন দিক থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তাকে না পেয়ে তারই ভাই কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার ঢালীকে অপহরণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ছেড়ে দিলেও গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডাকাত দলের সবাই আটক হন।
এরপর প্রথমত গণপিটুনি ও পরে পুলিশের সাথে কথিত দু’দফা গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আটক ১৩ জন ডাকাতের সকলেই নিহত হয় এবং পাইকগাছা থানার ওসি শিকদার আক্কাস আলী’সহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন।
ঘটনার পর সেখানে গেলে কলেজ শিক্ষক প্রশান্তকে বাড়িতে না পাওয়ায় কথা হয়, স্থানীয় আলোকদ্বীপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকৃতি মোহন সরকারের সাথে। তিনি জানান, ঘটনায় প্রশান্ত কুমার ঢালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে থানা পুলিশ, মানবাধিকার কর্মী, গণমাধ্যম সহ নানা সংস্থার কর্মীদের নানাবিধ প্রশ্নের জবাব এড়াতে প্রশান্ত পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। যদিও তার পারিবারিক সূত্র বলছে, আতংকে তিনি এলাকা ছেড়েছেন।
উপজেলার সংশ্লিষ্ট দেলুটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মঙ্গল গাইন জানান, কলেজ শিক্ষক অপহরণের পর থেকে দু’জন চৌকিদার ও গ্রামবাসীরা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে রাতে লাঠি-সোটা নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। পুলিশও তাদের সাথে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা ও এলাকাবাসীর মনোবল বাড়াতে সেখানে রাতে টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে বলে জানান থানার ওসি।
উপজেলার বিগরদানা পুলিশ ক্যাম্পের এ,এস,আই মোঃ আব্দুল কুদ্দুস জানান, গ্রামের অভ্যন্তরে ও জিরবুনিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় সন্ধ্যার পর থেকে বাজারে পুলিশ মোতায়েন নিয়মিত করা হয়েছে।
তবে দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ হালদারের অভিযোগ, ডাকাতদের সোর্স আব্দুস সবুর মোড়লকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে হয়তো অনেক ঘটনা স্পষ্ট হতো। ঐদিনকার বন্দুক যুদ্ধে এই সবুর মোড়লও নিহত হয়।
প্রসঙ্গত বছরখানেক আগে সর্বশেষ অপহৃতের ভগ্নিপতি ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডলকে অপহরণ করলে উক্ত সবুর মোড়লই অপহরণকারীদের পক্ষে সমন্বয় করে মুক্তিপনের বিনিময়ে তাকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।
সর্বশেষ ঘটনার দিন ভোরে ডাকাতদের আটকের ঘটনায় সবুর মোড়ল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে ছেড়েদিতে সুপারিশ করেছিল বলে জানান, ঐ চেয়ারম্যান সহ অপহৃতের বড় ভাই জিতেনন্দ্র নাথ ঢালী।
চারদিকে নদী বেষ্টিত দ্বীপ গ্রামটিতে সন্ধ্যা নামতেই তৈরী হচ্ছে এক অন্যরকম ভীতিকর পরিবেশ। দিনের বেলাও যেন পাল্টে গেছে চীরচেনা গ্রামের সাধারণ মানুষের গতি-প্রকৃতি। অপরিচিত কারোর সাথে নুন্যতম কথাটুকু বলতেও যেন অনেক অজানা প্রতিবন্ধকতা। ইতোমধ্যে অপহরণকারীদের হাত থেকে বেঁচে আসা কলেজে প্রভাষক প্রশান্ত কুমার ঢালী পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রাম ছেড়েছেন। অনেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন অন্যত্র বসবাসের।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৫ অক্টোবর উপজেলার জিরবুনিয়া গ্রামে সশস্ত্র ডাকাত দলের সাথে পুলিশের দু’দফা কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় ১৩ জন ডাকাত। ঘটনার রাতে তারা মূূলতঃ সেখানকার জিতেন্দ্র কুমার ঢালী নামের এক স্কুল শিক্ষককে অপহরণ করতে তার বাড়িতে হানা দেয়।
এ সময় ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ও তার স্ত্রী বাড়ির পেছন দিক থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তাকে না পেয়ে তারই ভাই কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার ঢালীকে অপহরণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ছেড়ে দিলেও গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডাকাত দলের সবাই আটক হন।
এরপর প্রথমত গণপিটুনি ও পরে পুলিশের সাথে কথিত দু’দফা গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আটক ১৩ জন ডাকাতের সকলেই নিহত হয় এবং পাইকগাছা থানার ওসি শিকদার আক্কাস আলী’সহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন।
ঘটনার পর সেখানে গেলে কলেজ শিক্ষক প্রশান্তকে বাড়িতে না পাওয়ায় কথা হয়, স্থানীয় আলোকদ্বীপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকৃতি মোহন সরকারের সাথে। তিনি জানান, ঘটনায় প্রশান্ত কুমার ঢালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে থানা পুলিশ, মানবাধিকার কর্মী, গণমাধ্যম সহ নানা সংস্থার কর্মীদের নানাবিধ প্রশ্নের জবাব এড়াতে প্রশান্ত পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। যদিও তার পারিবারিক সূত্র বলছে, আতংকে তিনি এলাকা ছেড়েছেন।
উপজেলার সংশ্লিষ্ট দেলুটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মঙ্গল গাইন জানান, কলেজ শিক্ষক অপহরণের পর থেকে দু’জন চৌকিদার ও গ্রামবাসীরা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে রাতে লাঠি-সোটা নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। পুলিশও তাদের সাথে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা ও এলাকাবাসীর মনোবল বাড়াতে সেখানে রাতে টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে বলে জানান থানার ওসি।
উপজেলার বিগরদানা পুলিশ ক্যাম্পের এ,এস,আই মোঃ আব্দুল কুদ্দুস জানান, গ্রামের অভ্যন্তরে ও জিরবুনিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় সন্ধ্যার পর থেকে বাজারে পুলিশ মোতায়েন নিয়মিত করা হয়েছে।
তবে দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ হালদারের অভিযোগ, ডাকাতদের সোর্স আব্দুস সবুর মোড়লকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে হয়তো অনেক ঘটনা স্পষ্ট হতো। ঐদিনকার বন্দুক যুদ্ধে এই সবুর মোড়লও নিহত হয়।
প্রসঙ্গত বছরখানেক আগে সর্বশেষ অপহৃতের ভগ্নিপতি ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডলকে অপহরণ করলে উক্ত সবুর মোড়লই অপহরণকারীদের পক্ষে সমন্বয় করে মুক্তিপনের বিনিময়ে তাকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।
সর্বশেষ ঘটনার দিন ভোরে ডাকাতদের আটকের ঘটনায় সবুর মোড়ল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে ছেড়েদিতে সুপারিশ করেছিল বলে জানান, ঐ চেয়ারম্যান সহ অপহৃতের বড় ভাই জিতেনন্দ্র নাথ ঢালী।