জরিমানা করার পরও প্রচারনা মূলক বিজ্ঞাপন অব্যাহত রেখে তামাক কোম্পনী গুলো রীতিমত সরকারের সাথে চ্যালেঞ্জ করছে
পাইকগাছায় তামাক জাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে বিপনী বিতানগুলো। তামাক
নিয়ন্ত্রন আইনে তামাক জাত দ্রব্যের প্রচারনা মূলক বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ করা হলেও আইনের যথাযত প্রয়োগ না থাকায় এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে তামাক
কোম্পানী গুলো। ফলে আকর্ষনীয় নজর কাড়া বিজ্ঞাপনে উৎসাহিত হয়ে ধুমপানে
আকৃষ্ট হচ্ছে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
সম্প্রতি পৌর সদর সহ সরল বাজার, নতুন বাজার, গদাইপুর, আগড়ঘাটা, বানিজ্যিক
শহর কপিলমুনি, বাঁকা বাজার, কাশিমনগর, চাঁদখালী’সহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ন
স্থান সমূহের বিপনী বিতান গুলো তামাক কোম্পানির বিভিন্ন ব্রান্ডের
সিগারেটের প্যাকেট ও লিফলেটে ছেয়ে ফেলা হয়েছে।
ইতোপূর্বে কয়েকজন
দোকান মালিককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হলে বেশ কিছু দিন
বিজ্ঞাপন গুলো সরিয়ে রাখে দোকান মালিকরা। পরবর্তীতে তামাক কোম্পানীর লোকজন
দোকান মালিকদের ওপর ধার্য্যকৃত জরিমানার টাকা পরিশোধ করে দেয়ার ফলে আবারও
তামাক জাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে বিপনী বিতান গুলো।
নাগরিক
কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর জানান, তামাকের ব্যবহার থেকে সাধারন
মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে ধুমপান বিরোধী কার্যক্রম শক্তিশালী করন ও তামাকের
ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে প্রচার-প্রচারনা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
তামক
বিরোধী সংগঠন সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মাসুম বিল্লাহ জানান, সম্প্রতি
তামাক নিয়ন্ত্রন আইন (সংশোধিত) ২০১৩ এর বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে।
আইনে তামাক জাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু
তামাক কোম্পানী গুলো প্রচলিত আইন উপেক্ষা করে প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে। এ
ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা’সহ আইনের যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন।
উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রন টাস্ক ফোর্স কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী
অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দিন জানান, জরিমানা করার পরও প্রচারনা মূলক
বিজ্ঞাপন অব্যাহত রেখে তামাক কোম্পনী গুলো রীতিমত সরকারের সাথে চ্যালেঞ্জ
করছে। এ ব্যাপারে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে
বলে তিনি জানান।