পাইকগাছার কৃতি সন্তান, খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য,
সাবেক স্পিকার, বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী
অ্যাডভোকেট শেখ রাজ্জাক আলী আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি
রাজিউন)
রোববার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে খুলনার ফারাজি পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি অনেকদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ৫ কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার বিকালে জানাজা শেষে মরহুমের গ্রামের বাড়ী হিতামপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করার হবে বলে পরিবার সূত্র জানিয়েছে।
রোববার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে খুলনার ফারাজি পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি অনেকদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ৫ কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার বিকালে জানাজা শেষে মরহুমের গ্রামের বাড়ী হিতামপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করার হবে বলে পরিবার সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে
সাবেক স্পীকার ও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য শেখ রাজ্জাক আলীর ইন্তেকালে
গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম
খালেদা জিয়া।
বর্ষীয়ান এই নেতার রাজনৈতিক জীবন ::
রাজনীতিতে শেখ রাজ্জাক আলীর হাতেখড়ি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর হাত
ধরে। কিন্তু বিভাজনের কারণে ১৯৬৪ সালে তিনি ন্যাপ ছাড়েন। ’৭৩-এ জাতীয়
নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে জাসদের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন।
১৯৭৮ সালে
বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ১৯৭৯, ’৯১ এবং ’৯৬ সালে (ষষ্ঠ ও সপ্তম সংসদ
নির্বাচন) খুলনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পালন করেন আইন প্রতিমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকারের।
২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের এলডিপিতে যোগ দেন।
নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেও তিনি বিভিন্ন কারণে এলডিপি থেকে সরে
আসেন। সেই থেকেই রাজনীতি থেকে দূরে রাজ্জাক আলী।