Tuesday, June 9, 2015

পাইকগাছার রাড়ুলী ইউনিয়নে পানীয় জলের জন্য হাহাকার

পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নে পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ ইউনিয়নে প্রায় ৪২ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামের সংখ্যা ৬টি। টিউবয়েলের সংখ্যা প্রায় ২০০০ (দুই হাজার)। ৫/৬টি টিউবয়েল ছাড়া সব কয়টি আর্সেনিকযুক্ত এবং খাওয়ার উপযোগী নয়। যে কয়টি সরকারি পুকুর আছে এবং ব্যক্তিগত সব পুকুরে পানি শুকিয়ে গেছে। 

৫ নং ওয়ার্ডে বাঁকা গ্রামের তৎকালীন জমিদার স্বর্গীয় অমিনাস চন্দ্র বসু তার মাতা বিরাজ দেবীর নামে ৮ বিঘা জমিতে দীঘি খনন করেন এবং তার পানি খাওয়ার জন্য উৎসর্গ করে যান। এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে রাড়ুলী ইউনিয়ন ছাড়াও পাশ্ববর্তী দরগাহপুর, শ্রীধরপুর, হোসেনপুর, রামনগর, খরিয়াটি গ্রামের শতশত মানুষ পানি নেওয়ার কারণে দীঘিটি পানিশূন্য হয়ে শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে পানীয় জলের অভাবে ইউনিয়নে হাহাকার দেখা দিয়েছে। 

বাঁকা গণেশ নাথের দোকানের সামনে জনৈক পানি ব্যবসায়ী পানি জলের প্লান্টের ব্যবস্থা করলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এভাবে চলতে থাকলে ইউনিয়নের মানুষ আর্সেনিকযুক্ত টিউবয়েলের পানি খেয়ে রোগাগ্রস্ত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। 

এনজিও ব্র্যাক ওয়াশ এশিয়ান আর্সেনিক নেটওয়ার্কসহ সরকারিভাবে বাকা ভবানীপুর রাড়ুলী ভাটপাড়া বক্স গাজীর বাড়ি পানির প্লান্ট নির্মাণ করলেও পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়াতে পানির প্লান্ট বন্ধসহ নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে পানীয় জলের অভাবে গোটা ইউনিয়নের মানুষ মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। 

কাটিপাড়াতে তৎকালিন জমিদাররা পানীয়জলের জন্য কাটিপাড়া মালোপাড়া, বিটপাড়া, পূর্বকাটিপাড়া, রাড়ুলী গালর্স স্কুলে ৩০ ফুট ব্যাসার্ধের পাকা কুয়া (ইন্দিরা) নির্মাণ করে গেছেন। শুধুমাত্র সংষ্কারের অভাবে ঐ ৫/৭টি পাকা কুয়া (ইন্দিরা) ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে ওই সকল কুয়া (ইন্দিরা) সংষ্কার করলে ওই এলাকার পানীয় জলের অভাব কিছুটা হলেও মিটবে। 

ওই কুয়া (ইন্দিরা) সংষ্কারের বিষয় পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবির উদ্দীন ও রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এর নিকট দাবি জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এ পর্যন্ত।

ঐতিহ্যবাহী রাড়ুলী ইউনিয়নে ভবিষ্যতে পানীয় জলের অভাব মিটাতে বিদেশী দাতা সংস্থাসহ সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন গোটা রাড়ুলী ইউনিয়নবাসী।