হেথায় পল্লী বিদ্যুৎ আশীর্বাদ নয়, অভিশাপ
পাইকগাছায় বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মধ্যে আসে ! এমনই এক অবস্থায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা) প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক।

গত ১৭ মে থেকে জায়কা প্রকল্পের ‘সোর্স লাইনের’ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে আর আগামী কতদিন চলবে তা পাইকগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম বদরুল আনাম নিজেও সঠিক করে বলতে পারছেন না।
এদিকে বিদ্যুতের অভাবে পাইকগাছার ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধ্বস নেমেছে, তেমনি প্রচন্ড দাবদাহে মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। আর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া তো সিঁকেই উঠেছে। দিনের অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হলেও অন্য সময় যেমন বিকেল, সন্ধ্যা বা রাতেও লোডশেডিংয়ের হাত থেকে রেহায় পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে ঘন ঘন ট্রিপের কারণে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, বরাবরই বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে বৈষম্যের শিকার পাইকগাছা-কয়রাবাসি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, দিনভর বিদ্যুৎ না থাকায় সরাসরি বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল এমন ব্যবসা-বাণিজ্য এক প্রকার বন্ধ হবার উপক্রম। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে লোডশেডিংয়ের কারণে। ফলে অভিভাবকমহল দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে।
সারা বছর প্রায়ই ঘোষণা দিয়ে ‘মেইন লাইন” রক্ষণাবেক্ষণের অযুহাতে দিনভর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তার পরও আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই পাইকগাছায় বিদ্যুৎ চলে যায়। আর সামান্য ঝড়ো হাওয়া হলে তো কথাই নেই। দু’এক দিনের মধ্যে আর বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায় না।
#প্রশ্ন হলো, সামান্য ঝড়ে যদি বিদ্যুতের খুটি বা তার ছিড়ে যাবে, তাহলে বিদ্যুতের সোর্স লাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অযুহাতে প্রায়ই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার মানে কি? এ প্রশ্নের হিসাব মিলছে না কারোরই। সবমিলিয়ে পাইকগাছা-কয়রায় পল্লী বিদ্যুৎ আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে।
--এম,আর মন্টু, পাইকগাছা।