ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটারযোগ্য নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে
নারী ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বেসরকারি কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি
প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে। ''সব নারী ভোটার হও'' শিরোনামের এ উদ্যোগ ভোটার
তালিকায় যাতে বেশি সংখ্যক নারী অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সে জন্য নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নয়টি সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের
মাধ্যমে ওয়েবসাইট ( www.womencountbd.org ) উদ্বোধন ও প্রচারাভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য থেকে
দেখা যায় মাত্র ৪৪ শতাংশ নারী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অথচ ২০১১
সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার ৪৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হচ্ছে নারী। তাই
তালিকায় নারী ভোটারদের একটি উল্লেখ যোগ্য অংশ ওই তালিকা থেকে বাদ পড়ে
পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকায় নারীদের সংখ্যা যথাযথভাবে
প্রতিনিধিত্বমূলক না হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদ
সম্মেলন শেষে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক আবদুল আলিম বলেন, সংবাদ
সম্মেলন থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে, এবার যাতে
ভোটারযোগ্য নারীরা কোনো ভাবেই বাদ না পড়ে। প্রচারাভিযানের পক্ষ থেকে ২০১৪
সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য অনুযায়ী যেসব উপজেলায় নারী ও পুরুষ
ভোটারের মধ্যে সর্বাধিক ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়েছে সেসব উপজেলায় জনগণকে তথ্য
দিয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
মাইকিং করে নির্বাচন
কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কবে বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে ওই তারিখ
জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মসজিদের ইমাম সাহেবরা বিভিন্ন তথ্য জানানোর কাজ
করছেন। লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
তালিকায় নারী ভোটারদের সংখ্যা
বৃদ্ধিতে প্রচারাভিযান শুরু করা সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ,
বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপ, ব্রতী, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক,
ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ, ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট,
জাগো ফাউন্ডেশন, কাবিডাং এবং খাগরাপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি।