পাইকগাছার আলোচিত মিনহাজ নদীর পর এবার পোদা নদীর অবৈধ বাঁধ ও নেট-পাটা অপসারণকে কেন্দ্র করে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর সাথে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার লতা ইউনিয়নের ধলাই, পুতলাখালী, আঁধারমানিক, সচিয়ারবন্দ, হালদারচক, গঙ্গারকোনা ও লতা সহ প্রায় ৮/১০ টি গ্রামের পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পোদা নদী (বদ্ধজলমহল)। ৭৩ একর আয়তনের নদীটি ১৪২৩ হতে ২৫ সন পর্যন্ত ফতেপুর আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে ইজারা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ইজারাদার নদীটি তত্ত্বাধায়নের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব অর্পন করেন। এরপর তপন, বাবু লাল, সমর, তাপস ও দেবব্রতসহ কয়েকজন ব্যক্তি নদীটি কয়েকটি খন্ডে ভাগ করে বাঁধ ও নেট-পাটা দিয়ে মৎস্য চাষ করেন। এদিকে নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ও নেট-পাটা থাকায় সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের অতিরিক্ত পানি সরবরাহ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হয়।
জলাবদ্ধতার আশংকায় স্থানীয় লোকজন গত শুক্রবার নদীর কয়েকটি স্থানের নেট-পাটা অপসারণ করতে গেলে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘাত-সংঘর্ষ এড়াতে শুক্রবার থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
ধলাই গ্রামের গোবিন্দ জানান, অত্র এলাকার পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পোনা নদী। নদীর দু’পাশে কয়েক’শ চিংড়ি ঘের রয়েছে। এ সব ঘেরের পানি নদী দিয়ে সরবরাহ হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়। কিন্তু পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম পোনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বাঁধ ও নেট-পাটা থাকায় পানি সরবরাহ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে ভারী বর্ষণে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়া সহ আমন ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইজারাদার সাইফুল ইসলাম জানান, নদীটি দেখা শুনার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায়নি।
ওসি (তদন্ত) এসএম জাবীদ হাসান জানান, নেট-পাটা অপসারণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে কোন সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ থেকে কেউ এখনো পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার লতা ইউনিয়নের ধলাই, পুতলাখালী, আঁধারমানিক, সচিয়ারবন্দ, হালদারচক, গঙ্গারকোনা ও লতা সহ প্রায় ৮/১০ টি গ্রামের পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পোদা নদী (বদ্ধজলমহল)। ৭৩ একর আয়তনের নদীটি ১৪২৩ হতে ২৫ সন পর্যন্ত ফতেপুর আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে ইজারা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ইজারাদার নদীটি তত্ত্বাধায়নের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব অর্পন করেন। এরপর তপন, বাবু লাল, সমর, তাপস ও দেবব্রতসহ কয়েকজন ব্যক্তি নদীটি কয়েকটি খন্ডে ভাগ করে বাঁধ ও নেট-পাটা দিয়ে মৎস্য চাষ করেন। এদিকে নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ও নেট-পাটা থাকায় সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের অতিরিক্ত পানি সরবরাহ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হয়।
জলাবদ্ধতার আশংকায় স্থানীয় লোকজন গত শুক্রবার নদীর কয়েকটি স্থানের নেট-পাটা অপসারণ করতে গেলে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘাত-সংঘর্ষ এড়াতে শুক্রবার থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
ধলাই গ্রামের গোবিন্দ জানান, অত্র এলাকার পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পোনা নদী। নদীর দু’পাশে কয়েক’শ চিংড়ি ঘের রয়েছে। এ সব ঘেরের পানি নদী দিয়ে সরবরাহ হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়। কিন্তু পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম পোনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বাঁধ ও নেট-পাটা থাকায় পানি সরবরাহ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে ভারী বর্ষণে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়া সহ আমন ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইজারাদার সাইফুল ইসলাম জানান, নদীটি দেখা শুনার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায়নি।
ওসি (তদন্ত) এসএম জাবীদ হাসান জানান, নেট-পাটা অপসারণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে কোন সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ থেকে কেউ এখনো পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।