পাইকগাছার সোলাদানায় নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সরকারি মরাকুচিয়া নদীতে বাঁধ থাকায় মালামাল সরবরাহ করতে না পারায় কোটি টাকা ব্যয়ে দীঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ থমকে গেছে। মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে বিষয়টি উত্থাপনের পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাঁধটি অপসারণের জন্য মতামত ব্যক্ত করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সোলাদানায় দীঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিত্যক্ত হওয়ার পর নির্ধারিত স্থানে সরকার ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪ তলা ফাউন্ডেশনের ৪ রুম বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। খুলনার এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী হারুনার রশিদ চরম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নদীতে বাঁধ থাকায় মালামাল বহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় এ টেন্ডারের কাজটি জনৈক প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে বিক্রি করে বিদায় নেন।
অভিযোগ উঠেছে, একদিকে আমুরকাটার রাস্তা দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অন্যদিকে পূর্ব দীঘা সরকারি পুকুর সংলগ্ন দক্ষিণ কাইনমুখী স্থানে মরাকুচিয়া নদীতে বাঁধ থাকায় নদীপথে নির্মাণ সামগ্রী আনতে না পারায় নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
একটি সূত্র জানিয়েছেন, এলাকার চিংড়ি ঘের মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় পানি ধরে রাখার জন্য এ বাঁধটি দেওয়া হয়েছে।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাতায়াতের জন্য জেলা পরিষদ সদস্য গাজী আব্দুল মান্নানের তত্ত্বাবধানে এ বাঁধটি দিয়েছেন।
এ অভিযোগ সম্পর্কে জেলা পরিষদ সদস্য মান্নান গাজী বলেন, আমি কোন বাঁধ দেইনি।
ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে বিষয়টি উত্থাপনের কথা বলে জানান, এলাকার স্বার্থে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া খুবই জরুরি। তাই বাঁধটি অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা জানিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ স্থানীয় দ্বন্দের কথা উল্লেখ করে বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে বাঁধ কেটে মালামাল বহনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে মতামত দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসান বলেন, এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। তার নির্দেশিত তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।