Wednesday, December 6, 2017

এক মাসেও মেরামত হয়নি কপোতাক্ষের বাঁধ

পাইকগাছায় কোটি টাকার সম্পদ কপোতাক্ষ নদে ভেসে গেলেও বাঁধ নির্মাণের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একমাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার না করায় অবাধে জোয়ার ভাঠার পানি ওঠানামায় মাটি ধুয়ে গভীর হচ্ছে কৃষি জমি। এদিকে ওয়াপদার ব্যাপক এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দেয়ায় আরো ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।


জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার বোয়ালিয়া চরের বিলের ওয়াপদার বেড়িবাঁধে গত ৪ নভেম্বর ভাঙন দেখা দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে পদক্ষেপ না নেয়ায় জোয়ারে ১৬নং পোল্ডারের ওয়াপদার বিস্তীর্ণ এলাকার নদী ভেঙে বিলিন হয়ে গেছে। ভেসে গেছে ২ হাজার বিঘার ৮০টি চিংড়ি ঘের। তলিয়ে গেছে কয়েকশ একর আমনের খেত। চিংড়ি ঘের মালিকদের তৈরি করা গেট অপসারণ করার পর উপযুক্তভাবে নির্দিষ্ট জায়গাটি মেরামত না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান, অল্প কিছু টাকা ওই সময় খরচ করে অপসারিত গেটের জায়গাটি মেরামত করলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। গত এক মাসেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ওয়াপদার বাঁধে ব্যাপক এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাঙন এলাকা। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী আবারো ভাঙনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।


সম্প্রতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. শেখ মো. নূরুল হকসহ কর্তৃপক্ষ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় চিংড়ি চাষি আবুল হোসেন মোড়ল জানান, বাঁধের ভঙনে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হলেও এখন পর্যন্ত বাঁধ মেরামতের জন্য কোনো তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না।

এ ভাঙনে ইতোমধ্যে বোয়ালিয়া থেকে আগড়ঘাটা পর্যন্ত ২ হাজার একরের ৮০টি চিংড়ি ঘেরের লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। শতশত বিঘা আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দীন জানান, টাকা সংগ্রহ করে দ্রুত যাতে বাঁধ মেরামত হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।