উপকূলীয় জনপদ কয়রার ২ লাখ মানুষ প্রাকৃতিক ঝুকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন
কাটাচ্ছে। প্রতিবছর নদীভাঙ্গন,ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের সাথে প্রতিনিয়ত য্দ্ধু
করে বেচে আছে এ অঞ্চলের অসহায় মানুষ। তার পরও শত বাধা উপেক্ষা করে জীবন
সংগ্রামে বেচে থাকতে কত না যন্ত্রনা তাদের পোহাতে হয়। এর মধ্যে সামান্য
একটু সাহায্য আর সহানুভুতি পেলেই কত খুশি তা বোঝার উপায় নেই। এই জনপদের
মানুষের দুর্যোগ মোকাবেলায় করনীয় দিক সহ
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি বে-সরকারী সংস্থার সহযোগিতায় দূর্যোগ
প্রবন এলাকার মানুষের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া
জাগিয়েছে।
সূত্র মতে, ২০০৯ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় আইলার তান্ডবলীলায় এ জনপদের ৬টি ইউনিয়নের জন জীবন ও উন্নয়ন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সেই সাথে ভেঙ্গে পড়ে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও সেনিটেশন ব্যবস্থা যে কারনে হাজার হাজার মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় ছিন্নমূল মানুষের সেবা দানের লক্ষ্যে ওয়াটার এইড এর সহয়তায় রুপান্তরের এ্যাডাপটিং ওয়াশ ফর ক্লাইমেট চেঞ্চ প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। ওই প্রকল্পের উদ্যোগে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ,সেনিটেশন উন্নয়নে ল্যাট্রিন সংস্কার সহ দূর্যোগ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে করনীয় বিষয় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া হয়। তার সুফল পাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,কোমল মতি ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ।
কথা হয় মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র দিন মোহাম্মদের সাথে সে জানায় রূপান্তরের সহযোগিতায় জলবায়ু পরিবর্তন ও ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য হাত ধোয়া,দাঁত ব্রাশ করা ও নখ কাটার বিষয়টি ভাল ভাবে শিখতে পেরেছি। ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুন জানায় বিদ্যালয়ের ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে একটি দল গঠন করে দূর্যোগ চলা কালীন সময়ে ও পরবর্তীকালীন কার্যক্রম তাদেরকে করণীয় বিষয়টি জানতে পেরেছি। তারা তাদের অন্যান্য শিক্ষার্থীসহ পরিবারের সদস্যদের শিখাতে পেরে বেজায় খুশি মনে করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান বলেন প্রকল্পের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ে ১টি ২৫ হাজার লিটার বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ট্যাংক স্থাপন করায় শিক্ষক ও সকল শিক্ষার্থীদের খাবার পানির সংকট দুর হয়েছে। তিনি আরো জানান এ ট্যাংক স্থাপনের পূর্বে বিদ্যালয় হতে ২ কিঃ মিঃ দূর থেকে পুকুরের পানি এনে পান করতে হতো। তার মতে এ ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়ায় বিগত বছরের তুলনায় আনন্দ ঘন পরিবেশে চলতি বছর ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি বেড়েছে জানিয়ে আারও বলেন ওয়াশ কার্যক্রম বিদ্যালয়ের বাৎসরিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা পূর্বে ছিলনা। তার মতে সকল বিদ্যালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় ওয়াশ কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করা অত্যাবশ্যক। মহারাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কে এম নাজমা পারভীন বলেন রূপান্তরের প্রকল্পের মাধ্যমে তার বিদ্যালয়ে ভাঙ্গাচোরা ল্যাট্রিন সংস্কার করা হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীরা।
রূপান্তরের কয়রার প্রকল্প ব্যাবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রসংগে বলেন ২০১২ সালের জুন থেকে উপজেলার ওয়াটার এইড প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্প ৭টি ইউনিয়নের ২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো প্রতিষ্ঠানে কাজ করা হবে। তার মতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সেবা দানের লক্ষ্যে এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় ৬৩টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রকল্পের কর্মীদের উপস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়ারিয়েন্টেশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দূর্যোগের উপর শিক্ষা দেয়া হয়। ইতিমধ্যে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানির ট্যাংকি,ল্যাট্রিন সংস্কার সহ টিউবওয়েলের মাধ্যমে পানির লাইন টেনে দিয়ে খাবার পানির সংকট দূর করার কাজ অব্যহত রয়েছে। সেগুলো রক্ষনাবেক্ষনের জন্য ২টি অপশনের জন্য ২ জন কেয়ারটেকার নিযুক্ত করা হয়েছে।
মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মনিরুজ্জামান বলেন রূপান্তরের স্কুল ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রমগুলো প্রশংসনীয়। তিনি এ ধরনের আরও প্রকল্প হাতে নেয়ার দাবী জানান। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আকবর হোসেন জানান প্রকল্পের চলমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরূপ সেবা প্রদান করলে দূর্যোগ প্রবন কয়রার শিক্ষার্থীরা উন্নত পরিবেশে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে।
সূত্র মতে, ২০০৯ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় আইলার তান্ডবলীলায় এ জনপদের ৬টি ইউনিয়নের জন জীবন ও উন্নয়ন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সেই সাথে ভেঙ্গে পড়ে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও সেনিটেশন ব্যবস্থা যে কারনে হাজার হাজার মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় ছিন্নমূল মানুষের সেবা দানের লক্ষ্যে ওয়াটার এইড এর সহয়তায় রুপান্তরের এ্যাডাপটিং ওয়াশ ফর ক্লাইমেট চেঞ্চ প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। ওই প্রকল্পের উদ্যোগে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ,সেনিটেশন উন্নয়নে ল্যাট্রিন সংস্কার সহ দূর্যোগ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে করনীয় বিষয় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া হয়। তার সুফল পাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,কোমল মতি ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ।
কথা হয় মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র দিন মোহাম্মদের সাথে সে জানায় রূপান্তরের সহযোগিতায় জলবায়ু পরিবর্তন ও ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য হাত ধোয়া,দাঁত ব্রাশ করা ও নখ কাটার বিষয়টি ভাল ভাবে শিখতে পেরেছি। ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুন জানায় বিদ্যালয়ের ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে একটি দল গঠন করে দূর্যোগ চলা কালীন সময়ে ও পরবর্তীকালীন কার্যক্রম তাদেরকে করণীয় বিষয়টি জানতে পেরেছি। তারা তাদের অন্যান্য শিক্ষার্থীসহ পরিবারের সদস্যদের শিখাতে পেরে বেজায় খুশি মনে করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান বলেন প্রকল্পের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ে ১টি ২৫ হাজার লিটার বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ট্যাংক স্থাপন করায় শিক্ষক ও সকল শিক্ষার্থীদের খাবার পানির সংকট দুর হয়েছে। তিনি আরো জানান এ ট্যাংক স্থাপনের পূর্বে বিদ্যালয় হতে ২ কিঃ মিঃ দূর থেকে পুকুরের পানি এনে পান করতে হতো। তার মতে এ ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়ায় বিগত বছরের তুলনায় আনন্দ ঘন পরিবেশে চলতি বছর ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি বেড়েছে জানিয়ে আারও বলেন ওয়াশ কার্যক্রম বিদ্যালয়ের বাৎসরিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা পূর্বে ছিলনা। তার মতে সকল বিদ্যালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় ওয়াশ কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করা অত্যাবশ্যক। মহারাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কে এম নাজমা পারভীন বলেন রূপান্তরের প্রকল্পের মাধ্যমে তার বিদ্যালয়ে ভাঙ্গাচোরা ল্যাট্রিন সংস্কার করা হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীরা।
রূপান্তরের কয়রার প্রকল্প ব্যাবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রসংগে বলেন ২০১২ সালের জুন থেকে উপজেলার ওয়াটার এইড প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্প ৭টি ইউনিয়নের ২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো প্রতিষ্ঠানে কাজ করা হবে। তার মতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সেবা দানের লক্ষ্যে এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় ৬৩টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রকল্পের কর্মীদের উপস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়ারিয়েন্টেশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দূর্যোগের উপর শিক্ষা দেয়া হয়। ইতিমধ্যে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানির ট্যাংকি,ল্যাট্রিন সংস্কার সহ টিউবওয়েলের মাধ্যমে পানির লাইন টেনে দিয়ে খাবার পানির সংকট দূর করার কাজ অব্যহত রয়েছে। সেগুলো রক্ষনাবেক্ষনের জন্য ২টি অপশনের জন্য ২ জন কেয়ারটেকার নিযুক্ত করা হয়েছে।
মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মনিরুজ্জামান বলেন রূপান্তরের স্কুল ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রমগুলো প্রশংসনীয়। তিনি এ ধরনের আরও প্রকল্প হাতে নেয়ার দাবী জানান। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আকবর হোসেন জানান প্রকল্পের চলমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরূপ সেবা প্রদান করলে দূর্যোগ প্রবন কয়রার শিক্ষার্থীরা উন্নত পরিবেশে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে।