শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরষ্কার
অর্জন করেছেন পাইকগাছার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কন্যা সাবিনা ইয়াসমিন।
আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে
রোববার খুলনা জেলা প্রশাসন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও সোমবার পাইকগাছা
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত “জয়িতা অন্বেষনে
বাংলাদেশ” শির্ষক পৃথক অনুষ্ঠানে নারী হিসাবে শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ জয়িতার
স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। শ্রেষ্ঠ এ জয়িতাকে
অভিনন্দন জানিয়েছেন জন্মস্থান পাইকগাছার বিভিন্ন মহল।
এ বছর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে গুরুত্ব পূর্ণ অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরুষ্কার অর্জন করেছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কন্যা সাবিনা ইয়াসমিন। এলাকায় তাকে অনেকেই সাবিনা ইয়াসমিন মালা নামে চেনেন। শ্রেষ্ঠ এ জয়িতার জন্ম পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নে (বর্তমান সরল গ্রাম)।
সাবিনা জন্ম থেকেই অনেকটাই হতভাগী কারণ মা সালমা বেগম এর গর্ভে থাকাবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন পিতা শেখ মাহতাব উদ্দীন মনি মিয়া (সাবেক চেয়ারম্যান)।
এতিম সাবিনা ভেঙ্গে না পড়ে দেশ প্রেম পিতার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে চলেন সামনের দিকে। তিনি ১৯৮৭ সালে পাইকগাছা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় এসএসসি, ৮৯'তে পাইকগাছা কলেজ থেকে এইচএসসি, ৯২'তে বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও ১৯৯৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (ইংরেজি) পাস করে।
লেখাপড়া শেষ করে তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রভাষক হিসাবে চাকুরী করেন। এখানে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন।
এরপর তিনি ২১তম বিসিএসএ উত্তির্ণ হওয়ার মাধ্যমে ২০০৩ সালে সহকারী কমিশনার (ম্যাজিষ্ট্রেট) হিসাবে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন। এ পদে তিনি ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর কর্মরত থাকার পর ২০০৭ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী, ময়মনসিংহ সদর এবং ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে গাজীপুরের শেরপুর, গাজীপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ কর্মরত ছিলেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ হতে তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে যশোরে কর্মরত রয়েছেন।
বর্তমানে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশিক্ষণ বিভাগে পিএইচডি করছেন। তাহার গবেষনার বিষয় ''পাবলিক হেল্থ সার্ভিস ডেলিভারী সিষ্টেম ইন দি কমিউনিটি হেল্থ অব বাংলাদেশ''।
ইতোমধ্যে তিনি এমআইডি ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণের আওতায় ভারত সফর করেছেন। শিক্ষক ও প্রশাসকের শ্রেষ্ঠ এ জয়িতার লেখক হিসাবে রয়েছে একটা পরিচিতি। ইতোমধ্যে তাহার রচিত লোভ দেখালেও জুঁই-চন্দন, বলিতে ব্যাকুল, পূর্ণিমার পরদিন ও জলে জ্যোৎস্নায় এই অবেলায় সহ ৪টি কাব্যগ্রস্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ২০১৪ সালের ২১'শে বই মেলায় তাহার ৫ম কাব্য গ্রস্থ প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে।
শত ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সাবিনা ব্যক্তিগত জীবনে বিচার বিভাগে কর্মরত স্বামী মোঃ শরীফ হোসেন হায়দার, পুত্র রূবাইয়াৎ ইশম্মাম প্রিয়ন্ত ও কন্যা পুষ্পিতা পরিজাত টিপ কে নিয়ে সুখেই রয়েছেন।
নারী উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত ও শ্রেষ্ঠ এ জয়িতাকে অভিনন্দ জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, পৌর মেয়র মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সালাম, নন্দিনী সাহিত্য পাঠ চক্রের সভানেত্রী ও প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলী।
এ বছর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে গুরুত্ব পূর্ণ অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরুষ্কার অর্জন করেছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কন্যা সাবিনা ইয়াসমিন। এলাকায় তাকে অনেকেই সাবিনা ইয়াসমিন মালা নামে চেনেন। শ্রেষ্ঠ এ জয়িতার জন্ম পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নে (বর্তমান সরল গ্রাম)।
সাবিনা জন্ম থেকেই অনেকটাই হতভাগী কারণ মা সালমা বেগম এর গর্ভে থাকাবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন পিতা শেখ মাহতাব উদ্দীন মনি মিয়া (সাবেক চেয়ারম্যান)।
এতিম সাবিনা ভেঙ্গে না পড়ে দেশ প্রেম পিতার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে চলেন সামনের দিকে। তিনি ১৯৮৭ সালে পাইকগাছা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় এসএসসি, ৮৯'তে পাইকগাছা কলেজ থেকে এইচএসসি, ৯২'তে বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও ১৯৯৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (ইংরেজি) পাস করে।
লেখাপড়া শেষ করে তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রভাষক হিসাবে চাকুরী করেন। এখানে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন।
এরপর তিনি ২১তম বিসিএসএ উত্তির্ণ হওয়ার মাধ্যমে ২০০৩ সালে সহকারী কমিশনার (ম্যাজিষ্ট্রেট) হিসাবে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন। এ পদে তিনি ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর কর্মরত থাকার পর ২০০৭ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী, ময়মনসিংহ সদর এবং ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে গাজীপুরের শেরপুর, গাজীপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ কর্মরত ছিলেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ হতে তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে যশোরে কর্মরত রয়েছেন।
বর্তমানে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশিক্ষণ বিভাগে পিএইচডি করছেন। তাহার গবেষনার বিষয় ''পাবলিক হেল্থ সার্ভিস ডেলিভারী সিষ্টেম ইন দি কমিউনিটি হেল্থ অব বাংলাদেশ''।
ইতোমধ্যে তিনি এমআইডি ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণের আওতায় ভারত সফর করেছেন। শিক্ষক ও প্রশাসকের শ্রেষ্ঠ এ জয়িতার লেখক হিসাবে রয়েছে একটা পরিচিতি। ইতোমধ্যে তাহার রচিত লোভ দেখালেও জুঁই-চন্দন, বলিতে ব্যাকুল, পূর্ণিমার পরদিন ও জলে জ্যোৎস্নায় এই অবেলায় সহ ৪টি কাব্যগ্রস্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ২০১৪ সালের ২১'শে বই মেলায় তাহার ৫ম কাব্য গ্রস্থ প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে।
শত ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সাবিনা ব্যক্তিগত জীবনে বিচার বিভাগে কর্মরত স্বামী মোঃ শরীফ হোসেন হায়দার, পুত্র রূবাইয়াৎ ইশম্মাম প্রিয়ন্ত ও কন্যা পুষ্পিতা পরিজাত টিপ কে নিয়ে সুখেই রয়েছেন।
নারী উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত ও শ্রেষ্ঠ এ জয়িতাকে অভিনন্দ জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, পৌর মেয়র মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সালাম, নন্দিনী সাহিত্য পাঠ চক্রের সভানেত্রী ও প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলী।