মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দড়িতে
ঝোলানো হচ্ছে মঙ্গলবার রাতেই। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা এ
আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর সব প্রস্তুতিও শেষ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজই রাত ১২টা ১ মিনিটে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। ইতিমধ্যে ২৩ জন স্বজন তার সঙ্গে দেখা করে গেছেন। রাতে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর স্বাভাবিক খাবার দেয়া হবে। এরপর জেলকোড অনুযায়ী বিধি মেনে তাকে নির্দিষ্ট সময়ে ফাঁসিমঞ্চে নেয়া হবে। সেখানে তার জন্য নির্দিষ্ট জল্লাদের মাধ্যমে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।’
এর আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু রাত ১২টা ১ মিনিটে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
সন্ধ্যায় কাদের মোল্লার পরিবারকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য চিঠি পাঠানো হয়। রাত ৮টার মধ্যেই কনডেম সেলে তার সঙ্গে পরিবারের দেখা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২টার পরেই কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। আর সে কারণেই কাদের মোল্লার পরিবারকে রাত ৮টার মধ্যে দেখা করতে বলা হয়েছে।
প্রস্তুত মঞ্চ:
কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দু’দিন আগেই ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। কারাগারের দুটি ফাঁসির মঞ্চের একটিকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। ফাঁসির দড়িও ঠিক করে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার রাতে ফাঁসির মঞ্চে জ্বালানো হয়েছে বিশেষ আলো। এরই মধ্যে কারাগারের অভ্যন্তরে ফাঁসির মহড়াও দেয়া শেষ।
কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে গেছে, যে দড়িতে কাদের মোল্লাকে ঝোলানো হবে সে দড়িতে কাদের মোল্লার সমান ওজনের ইটসহ বস্তা বেঁধে এ মহড়া দেয়া হয়।
ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাঁসির মঞ্চ পরিদর্শন করেছেন বলেও জানা গেছে।
জল্লাদ যারা:
কাদের মোল্লাকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানোর জন্য জল্লাদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ তালিকায় ছয় জল্লাদের নাম এসেছে বলে জানা যায়। কারা সূত্র জানায়, প্রধান জল্লাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৬০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি শাহজাহান মোল্লা। এ জল্লাদ ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর দায়িত্ব পালন করেন।
ফাঁসিতে কাদের মোল্লাকে ঝোলানোর সময় আরও পাঁচ সহকারী জল্লাদকে সঙ্গে রাখা হবে। তাদের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত থাকবেন। ফাঁসির আগে কাদের মোল্লাকে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী ‘তওবা’ পড়ানোর কথা রয়েছে।
যেভাবে কার্যকর হবে রায়:
কারাগার সূত্রে জানা যায়, নির্দিষ্ট সময়ে কাদের মোল্লাকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হবে। কারাগারের তত্ত্বাবধায়কের হাতে এসময় একটা লাল রুমাল থাকবে। তার হাত থেকে রুমালটি মাটিতে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি কার্যকর হবে। এসময় জল্লাদ মঞ্চে লোহার তৈরি বিশেষ হাতল (লিভার) টেনে ধরবেন। ফলে কাদের মোল্লার পায়ের তলা থেকে মঞ্চের কাঠ সরে যাবে। ফাঁসিতে ঝোলানোর পর আধাঘণ্টা পর্যন্ত কাদের মোল্লার লাশ দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হবে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজই রাত ১২টা ১ মিনিটে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। ইতিমধ্যে ২৩ জন স্বজন তার সঙ্গে দেখা করে গেছেন। রাতে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর স্বাভাবিক খাবার দেয়া হবে। এরপর জেলকোড অনুযায়ী বিধি মেনে তাকে নির্দিষ্ট সময়ে ফাঁসিমঞ্চে নেয়া হবে। সেখানে তার জন্য নির্দিষ্ট জল্লাদের মাধ্যমে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।’
এর আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু রাত ১২টা ১ মিনিটে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
সন্ধ্যায় কাদের মোল্লার পরিবারকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য চিঠি পাঠানো হয়। রাত ৮টার মধ্যেই কনডেম সেলে তার সঙ্গে পরিবারের দেখা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২টার পরেই কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। আর সে কারণেই কাদের মোল্লার পরিবারকে রাত ৮টার মধ্যে দেখা করতে বলা হয়েছে।
প্রস্তুত মঞ্চ:
কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দু’দিন আগেই ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। কারাগারের দুটি ফাঁসির মঞ্চের একটিকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। ফাঁসির দড়িও ঠিক করে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার রাতে ফাঁসির মঞ্চে জ্বালানো হয়েছে বিশেষ আলো। এরই মধ্যে কারাগারের অভ্যন্তরে ফাঁসির মহড়াও দেয়া শেষ।
কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে গেছে, যে দড়িতে কাদের মোল্লাকে ঝোলানো হবে সে দড়িতে কাদের মোল্লার সমান ওজনের ইটসহ বস্তা বেঁধে এ মহড়া দেয়া হয়।
ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাঁসির মঞ্চ পরিদর্শন করেছেন বলেও জানা গেছে।
জল্লাদ যারা:
কাদের মোল্লাকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানোর জন্য জল্লাদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ তালিকায় ছয় জল্লাদের নাম এসেছে বলে জানা যায়। কারা সূত্র জানায়, প্রধান জল্লাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৬০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি শাহজাহান মোল্লা। এ জল্লাদ ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর দায়িত্ব পালন করেন।
ফাঁসিতে কাদের মোল্লাকে ঝোলানোর সময় আরও পাঁচ সহকারী জল্লাদকে সঙ্গে রাখা হবে। তাদের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত থাকবেন। ফাঁসির আগে কাদের মোল্লাকে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী ‘তওবা’ পড়ানোর কথা রয়েছে।
যেভাবে কার্যকর হবে রায়:
কারাগার সূত্রে জানা যায়, নির্দিষ্ট সময়ে কাদের মোল্লাকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হবে। কারাগারের তত্ত্বাবধায়কের হাতে এসময় একটা লাল রুমাল থাকবে। তার হাত থেকে রুমালটি মাটিতে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি কার্যকর হবে। এসময় জল্লাদ মঞ্চে লোহার তৈরি বিশেষ হাতল (লিভার) টেনে ধরবেন। ফলে কাদের মোল্লার পায়ের তলা থেকে মঞ্চের কাঠ সরে যাবে। ফাঁসিতে ঝোলানোর পর আধাঘণ্টা পর্যন্ত কাদের মোল্লার লাশ দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হবে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য।