Saturday, December 7, 2013

টানা অবরোধে উৎপাদিত সাদা মাছ নিয়ে বিপাকে ঘের মালিকরা

পাইকগাছায় টানা অবরোধের কারনে মৎস্য আহরণ মৌসুমে উৎপাদিত সাদা মাছ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজারো ঘের মালিক। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের বাহিরে প্রচুর চাহিদা থাকা স্বত্বেও সঠিক ভাবে বাজারজাত করতে না পারায় মারাত্বক ভাবে কমে গেছে পাইকারী মুল্য। ফলে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১শ টাকা কম মূল্যে বিক্রী করতে হচ্ছে বলে ঘের মালিকরা জানান।

সুত্রমতে পৌর সদরসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে প্রায় ৪ হাজারের মত চিংড়ি ঘের রয়েছে। ঘের মালিকরা প্রতি বছর জানুয়ারী মাস থেকে প্রস্তুত করার মাধ্যমে চাষাবাদ শুরু করে থাকে। মৌসুমের শুরু থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত চিংড়ি’র উৎপাদন ভাল হওয়ায় এই কয়েক মাস চিংড়ি চাষকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বর্ষা মৌসুমে পানির লবনাক্ততা কমে যাওয়ায় পরবর্তী কয়েক মাস চিংড়ির পরিবর্তে সাদা মাছ চাষা বাদ করা হয়ে থাকে।

হাজার হাজার এসব চিংড়ি ঘের থেকে প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার মেঃ টন তেলাপিয়া, পারশে, টেংরা ও ভেটকি সহ অন্যান্য সাদা মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে। অধিকাংশ চিংড়ি ঘের গুলো নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসম্বেরের মধ্যে শুকানোর মাধ্যমে সমস্ত মাছ ধরা হয়। সারা বছর উৎপাদিত মাছের সিংহভাগই মৌসুমের এ সময়েই ধরা হয়।

এ অঞ্চলের সাদা মাছ অধিক সুস্বাদু হওয়ায় উৎপাদিত অধিকাংশ মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও প্রতিবেশি দেশ ভারতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এদিকে শুকানোর এ মৌসুমেই চলছে বিরোধী জোটের ডাকা টানা অবরোধ। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উৎপাদিত মাছ বাজারজাত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঘের মালিকরা। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় পাইকারী ক্রয় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে এলসি ব্যবসায়ী (রপ্তানীকারক) সত্য ঘোষ জানান। প্রতি কেজি মাছ পূর্বের তুলনায় ১শ থেকে ৫০ টাকা কম মুল্যে বিক্রয় করতে হচ্ছে বলে ঘের মালিক মোমিন সরদার জানান।