Friday, February 21, 2014

পাইকগাছায় ডিসিআর'এর নামে চলছে সরকারি খাস জমি দখলের মহোৎসব

পাইকগাছা উপজেলায় ডিসিআর'এর নামে চলছে সরকারি খাস জমি দখলের মহোৎসব। স্থানীয় ভূমি অফিসের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় একসনা ডিসিআরের মাধ্যমে ভূমিদস্যুরা সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করে অবৈধভাবে সেখানে বিভিন্ন প্রকার স্থাপনা নির্মান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি খাস জমি দখল প্রসঙ্গে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রার) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক
Voice of Paikgacha'কে বলেন, নামমাত্র টাকায় ডিসিআরের নামে সরকারের হাজার হাজার একর জমি বেদখল হয়ে আছে। স্থানীয় ভূমিদস্যুরা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও তহশীলদারকে ম্যানেজ করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করছে।

তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সার্ভেয়ারকে ডিসিআর দেয়া বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যে যাদেরকে ডিসিআর প্রদান করা হয়েছে, তাদেরকে নোটিশ করে ডিসিআরকৃত জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ না করার ব্যাপারেও হুঁশিয়ার করতে বলা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসনা ডিসিআরের নামে সরকারি খাস জমি সর্বোচ্চ বেদখল হয়েছে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চাঁদখালী বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদ ও একই ইউনিয়নের কাটাখালী নদীর চরভরাটি জায়গায়। এই এলাকার নদ-নদীর চরভরাটি জায়গায় গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি নদীর মধ্যে বাঁধ দিয়ে চলছে মৎস্য চাষ। অবৈধ দখলে ছেয়ে যাওয়ায় কাটাখালী নদীর চিহৃ পর্যন্ত অবশিষ্ট নেই বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

চাঁদখালী বাজারেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। ডিসিআরের নামে সেখানকার কপোতাক্ষ নদের চরভরাটি জায়গা দিনে দিনে দখল হয়ে যাচ্ছে। এখনই নিয়ন্ত্রন করা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে কাটাখালী নদীর মতো চাঁদখালীস্থ কপোতাক্ষ নদেরও কোন চিহৃ খুঁজে পাওয়া দায় হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

ওদিকে উপজেলার কপিলমুনি বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদেরও একই অবস্থা। শুকিয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদের চরভরাটি যায়গায় চলছে অবৈধ দখলের মহোৎসব।

অবশ্য সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক পর্যায়ক্রমে এসকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বেদখল হওয়া সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হবে বলে এলাকাবাসিকে আশ্বস্ত করেছেন। সংসদ সদস্যের এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি তার বাস্তবায়ন দেখতে চায় এলাকাবাসি।