গত বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী Voice of Paikgacha‘তে সংশ্লিষ্ঠ
বিষয়ে (ছোট পরিসরে হলেও) একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। আজ ১
বছর ৪ দিন পর আবার একই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হল।
পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী পাবলিক লাইব্রেরী ও যাদুঘরটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত ঝলসে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি আজ প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো সংস্কার, আসবাবপত্র ও বই সংকটের কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পাঠকরা। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এর কোন অভিভাবক, ধারক কিংবা বাহক বলতে কিছুই নেই।
পাইকগাছাবাসীর
তথ্য ও জ্ঞান অর্জনের জন্য ১৯৮৫ সালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম.
বাবর আলী প্রতিষ্ঠা করেন পাইকগাছা পাবলিক লাইব্রেরী যাদুঘর। যার প্রাথমিক
কার্যক্রম শুরু হয় শহীদ এম,এ গফুর মিলনায়তনের একটি কক্ষে।
১৯৮৫ সালে ৭ মার্চ স্থানীয়ভাবে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৮৭ সালে ডিসেম্বরে তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ নুরুল ইসলাম ৭২-৩০ ফুটের ২ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবনের কাজ উদ্বোধন করেন। যার ১টি কক্ষ লাইব্রেরী ও আর ১টি কক্ষ যাদুঘর বা সংগ্রহ শালা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
লাইব্রেরীটি পরিচালনার জন্য ১৯৮৮ সালে একজন গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি ১৯৯১ সালের জাতীয় বেতন স্কেল মোতাবেক বেতনভাতা ভোগ করছেন। অদ্যাবধি কর্তৃপক্ষ তার বেতন স্কেলের কোন পরিবর্তন করেননি। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন গ্রন্থাগারিক কল্লোল কুমার মল্লিক।
উপজেলা পট পরিবর্তনের কারণে ১৯৯৯ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানটি পৌরসভা কর্তৃক পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়। পৌরসভার বাজেটে লাইব্রেরীর জন্য বাজেট ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে লাইব্রেরীর অনুকুলে কোন বরাদ্দ থাকে না। অবকাঠামো সংস্কারের অভাবে লাইব্রেরী ভবনটি ধসে ধসে পড়ছে।
বর্তমানে লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন বই সংযোজন করা হয় না এবং রয়েছে চেয়ার, টেবিল ও আলমারীর সংকট। ৫টি জাতীয়, ৩টি আঞ্চলিক দৈনিক, ১টি সাপ্তাহিক ও ১টি মাসিক পত্রিকা রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। লাইব্রেরীতে বর্তমানে বইয়ের সংখ্যা ৫,৩৯১টি, গড়ে প্রতিদিন ১৭০/১৭৫ জন পাঠক জ্ঞানার্জনের জন্য লাইব্রেরীতে আসেন। আজীবন সদস্য সংখ্যা ১৪৬, সাধারণ সদস্য ১৫৫ জন। পূর্বে এর সংখ্যা ছিল ৩ শতাধিক। লাইব্রেরী করুন অবস্থার কারণে পাঠক ও সদস্য সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
অপরদিকে যাদুঘর ও সংগ্রহ শালায় রয়েছে বিশ্ববরণ্যে বিজ্ঞানী পি.সি. রায়ের তৎকালীন বৃটিশ সরকার কর্তৃৃক স্যার উপাধি পাওয়ার তরবারী। পি.সি. রায়ের পড়ার টেবিল, বাড়ীতে পূজার ব্যবহৃত ২টি বিশাল আকারের খড়গ, বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার স্বহস্তে লেখা পত্র, রায় সাহেব ললিনী কান্ড রায় চৌধুরীর তরবারী, রায় সাহেব বিনোদবিহারী সাধুর পবিত্র গীতা, ব্যবহৃত তৈজষপত্র, ১৫০ বছরের পুরানো তিমি মাছের কশেরুকা অতিকায় করাতী হাঙ্গরের ফসিল, দুর্লভ ইকোনিস মাছ, পৃথিবীর ২০০টি দেশের মুদ্রা, মোঘল আমলের মুদ্রা, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত কামানের সেল, মংলা বন্দরে নিক্ষেপকৃত ৪০ গ গ মর্টারের সেল, গুলি বাক্সসহ ইত্যাদি।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষানুরাগী ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সংগ্রহ শালায় দেখতে বা উপভোগ করতে আসেন। প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো সংস্কার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে পুরাতণ প্রতিবেদন
১৯৮৫ সালে ৭ মার্চ স্থানীয়ভাবে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৮৭ সালে ডিসেম্বরে তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ নুরুল ইসলাম ৭২-৩০ ফুটের ২ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবনের কাজ উদ্বোধন করেন। যার ১টি কক্ষ লাইব্রেরী ও আর ১টি কক্ষ যাদুঘর বা সংগ্রহ শালা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
লাইব্রেরীটি পরিচালনার জন্য ১৯৮৮ সালে একজন গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি ১৯৯১ সালের জাতীয় বেতন স্কেল মোতাবেক বেতনভাতা ভোগ করছেন। অদ্যাবধি কর্তৃপক্ষ তার বেতন স্কেলের কোন পরিবর্তন করেননি। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন গ্রন্থাগারিক কল্লোল কুমার মল্লিক।
উপজেলা পট পরিবর্তনের কারণে ১৯৯৯ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানটি পৌরসভা কর্তৃক পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়। পৌরসভার বাজেটে লাইব্রেরীর জন্য বাজেট ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে লাইব্রেরীর অনুকুলে কোন বরাদ্দ থাকে না। অবকাঠামো সংস্কারের অভাবে লাইব্রেরী ভবনটি ধসে ধসে পড়ছে।
বর্তমানে লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন বই সংযোজন করা হয় না এবং রয়েছে চেয়ার, টেবিল ও আলমারীর সংকট। ৫টি জাতীয়, ৩টি আঞ্চলিক দৈনিক, ১টি সাপ্তাহিক ও ১টি মাসিক পত্রিকা রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। লাইব্রেরীতে বর্তমানে বইয়ের সংখ্যা ৫,৩৯১টি, গড়ে প্রতিদিন ১৭০/১৭৫ জন পাঠক জ্ঞানার্জনের জন্য লাইব্রেরীতে আসেন। আজীবন সদস্য সংখ্যা ১৪৬, সাধারণ সদস্য ১৫৫ জন। পূর্বে এর সংখ্যা ছিল ৩ শতাধিক। লাইব্রেরী করুন অবস্থার কারণে পাঠক ও সদস্য সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
অপরদিকে যাদুঘর ও সংগ্রহ শালায় রয়েছে বিশ্ববরণ্যে বিজ্ঞানী পি.সি. রায়ের তৎকালীন বৃটিশ সরকার কর্তৃৃক স্যার উপাধি পাওয়ার তরবারী। পি.সি. রায়ের পড়ার টেবিল, বাড়ীতে পূজার ব্যবহৃত ২টি বিশাল আকারের খড়গ, বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার স্বহস্তে লেখা পত্র, রায় সাহেব ললিনী কান্ড রায় চৌধুরীর তরবারী, রায় সাহেব বিনোদবিহারী সাধুর পবিত্র গীতা, ব্যবহৃত তৈজষপত্র, ১৫০ বছরের পুরানো তিমি মাছের কশেরুকা অতিকায় করাতী হাঙ্গরের ফসিল, দুর্লভ ইকোনিস মাছ, পৃথিবীর ২০০টি দেশের মুদ্রা, মোঘল আমলের মুদ্রা, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত কামানের সেল, মংলা বন্দরে নিক্ষেপকৃত ৪০ গ গ মর্টারের সেল, গুলি বাক্সসহ ইত্যাদি।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষানুরাগী ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সংগ্রহ শালায় দেখতে বা উপভোগ করতে আসেন। প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো সংস্কার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে পুরাতণ প্রতিবেদন