নোয়াখালির বেলাল নামের এক কিশোর নিজের জীবন বাজি রেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে
একটি হরিণ শাবকের জীবন রক্ষা করেছে। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে
ঘটনাটি প্রকাশিত হয়।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি মেইলে বাংলাদেশি কিশোরের বিস্ময়কর সাহসিকতা শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের আরো কয়েকটি পত্রিকাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশের এই সাহসী কিশোরের গল্প উঠে এসেছে।
জানা যায়, একদল কিশোর খেলছিল নদীর পাড়ে। হঠাৎ তাদের চোখে
পড়লো ছোট্ট একটা হরিণ শাবক খরস্রোতা নদীর পানিতে ডুবে যাচ্ছে। নদীতে তখন
জোয়ারের টান। কেউই সাহস পেলো না নদীতে নামতে। সঙ্গীদের ভরসায় না থেকে
ডানপিটে বেলাল একাই নদীতে ঝাঁপ দিল। নিজের জীবন বাজি রেখে হরিণ শাবকটির
প্রাণ বাঁচাল বেলাল।
নোয়াখালীর তের-চৌদ্দ বছরের এই বেলালের হরিণ শাবক উদ্ধারের সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। লন্ডনের ডেইলি মেইলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নির্ভীক বেলালকে নিয়ে ছবিসহ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, বেলাল হরিণের বাচ্চাটি একহাতে উঁচু করে ধরে ডুব দিয়ে দিয়ে প্রবল স্রোতের নদী পার হচ্ছে।
ঘটনাক্রমে সে সময় হাসিবুল ওয়াহাব নামের এক ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বেলালের হরিণ শাবকটির জীবন বাঁচানোর কিছু ছবি তুলেন। পরে সেগুলো পাঠিয়ে দেন আন্তর্জাতিক কয়েকটি মিডিয়ায়।
নোয়াখালীর তের-চৌদ্দ বছরের এই বেলালের হরিণ শাবক উদ্ধারের সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। লন্ডনের ডেইলি মেইলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নির্ভীক বেলালকে নিয়ে ছবিসহ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, বেলাল হরিণের বাচ্চাটি একহাতে উঁচু করে ধরে ডুব দিয়ে দিয়ে প্রবল স্রোতের নদী পার হচ্ছে।
ঘটনাক্রমে সে সময় হাসিবুল ওয়াহাব নামের এক ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বেলালের হরিণ শাবকটির জীবন বাঁচানোর কিছু ছবি তুলেন। পরে সেগুলো পাঠিয়ে দেন আন্তর্জাতিক কয়েকটি মিডিয়ায়।
বেলালের হরিণ
শাবক উদ্ধারের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, "বেলাল জোয়ারের প্রবল স্রোতের
মাঝেই নদীতে ঝাঁপ দেয়। প্রচণ্ড স্রোতের টানে সেও তলিয়ে যেতে পারতো। বেলাল
শেষ পর্যন্ত উঠে আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহে ছিল। কিন্তু দুরন্ত
সাহসিকতার সঙ্গে সে কাজটা করে। নদীর জোয়ারের পানির মধ্যে ডুব দিয়ে এক হাতে
হরিণ শাবক নিয়ে আস্তে আস্তে তীরে চলে আসে।"
ফটোগ্রাফার হাসিবুল ওয়াহাব আরো বলেন, "মাত্র পাঁচ থেকে সাত জন লোক এই অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলো। ছেলেটি যখন হরিণ শাবকটিকে নিয়ে পাড়ে আসে সবাই তখন উল্লাসে মেতে ওঠে।"
এছাড়াও, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ‘আমরা ভাবছিলাম হয়ত বেলাল আর ফিরে আসবে না।'
পরবর্তীতে হরিণ শাবকটিকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়। আর এরই মাঝে নোয়াখালির সাধারণ ছেলেটি তার মমত্ব আর সাহসের ফলে হয়ে উঠলো অসাধারণ এক উদাহরণ।
ফটোগ্রাফার হাসিবুল ওয়াহাব আরো বলেন, "মাত্র পাঁচ থেকে সাত জন লোক এই অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলো। ছেলেটি যখন হরিণ শাবকটিকে নিয়ে পাড়ে আসে সবাই তখন উল্লাসে মেতে ওঠে।"
এছাড়াও, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ‘আমরা ভাবছিলাম হয়ত বেলাল আর ফিরে আসবে না।'
পরবর্তীতে হরিণ শাবকটিকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়। আর এরই মাঝে নোয়াখালির সাধারণ ছেলেটি তার মমত্ব আর সাহসের ফলে হয়ে উঠলো অসাধারণ এক উদাহরণ।