পাইকগাছায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের বিপর্যয় ঘটেছে। দলের অভ্যন্তরীণ
কোন্দল ও সাংগঠনিক দুর্বলতাই কাল হয়েছে সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের।
অন্যদিকে দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি ও জামায়াত জোট আ’লীগের বিরোধকে কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহজেই পার হয়েছে বৈতরণী।
জাতীয় রাজনৈতিক ইস্যুর কারণেও সুবিধা নিয়েছে বিএনপি। ১৫ মার্চ দু’একটি
বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে সব পদে নিরঙ্কুশ জয়
পায় ১৯ দলীয় জোটপ্রার্থীরা। পাইকগাছায় আ’লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান, ভাইস
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিশাল ভোটের ব্যবধানে হেরেছে প্রতিপক্ষের কাছে।
চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রশীদুজ্জামান ১৯ দলের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. স.ম. বাবর আলী‘র কাছে হেরেছেন প্রায় ২১ হাজার ভোটের ব্যবধানে। প্রাপ্ত ফলাফলে বাবার আলী (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৪ ভোট এবং মো. রশীদুজ্জামান (আনারস) পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৭৮ ভোট।
অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা পেয়েছেন নামমাত্র ভোট। উপজেলা জাপা ও পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর (ঘোড়া) পেয়েছেন ৭৩৪২ ভোট, সিপিবি সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মণ্ডল (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ৪০৩২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সোহরাওয়াদ্দী (মোটর-সাইকেল) মাত্র ২০৬ ভোট ও জি এম আবদার রশীদ (চিংড়ি মাছ) পেয়েছেন মাত্র ২২৫ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে ১৯ দল সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওঃ কামাল হোসেন (টিউবয়েল) পেয়েছেন ৬০ হাজার ৪৫৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী টিকেন্দ্র নাথ মণ্ডল (মাইক) ৩৫ হাজার ১৫৬ ভোট, আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. মুজিবর রহমান সানা (তালা) পেয়েছেন মাত্র ৭ হাজার ৫৫২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মুজিবর রহমান (বই) ২ হাজার ৫৭৭ ভোট, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএ গফুর (টিয়াপাখি) পান ১ হাজার ৩৬৫ ভোট, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান সিরাজ সাজু (চমশা) ৯৭৪ ভোট ও শেখ শামছুল আরম পিন্টু (উড়োজাহাজ) পান ৩২৫ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা পদে জামায়াত সমর্থিত শাহানারা খাতুন (কলস) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৫৫৬ ভোট, আ’লীগ সমর্থিত দীপ্তি চক্রবর্তী (পদ্ম ফুল) পান ৩৭ হাজার ৪৫৩ ভোট, বিএনপি সমর্থিত বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন (হাঁস) ৭ হাজার ২৪৩ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মাছুমা খাতুন (ফুটবল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৪২৬ ভোট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ’লীগের তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা আক্ষেপ করে বলেন, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজ মেয়াদে দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেননি। তিনি বিশেষ একটি শ্রেণী ও ব্যক্তি বিশেষের মূল্যায়ন করেছেন। তার পরাজয়ের মূল কারণ এখানেই।
অরো কয়েকজন বলেন, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাছাড়া পদধারী অনেক নেতাকর্মীই শুরু থেকেই অবস্থান নেয় দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এর প্রভাব পড়ে ভোটারদের মধ্যে। দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এসব নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পরাজয় নিকটবর্তী হয়েছে।
চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রশীদুজ্জামান ১৯ দলের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. স.ম. বাবর আলী‘র কাছে হেরেছেন প্রায় ২১ হাজার ভোটের ব্যবধানে। প্রাপ্ত ফলাফলে বাবার আলী (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৪ ভোট এবং মো. রশীদুজ্জামান (আনারস) পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৭৮ ভোট।
অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা পেয়েছেন নামমাত্র ভোট। উপজেলা জাপা ও পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর (ঘোড়া) পেয়েছেন ৭৩৪২ ভোট, সিপিবি সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মণ্ডল (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ৪০৩২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সোহরাওয়াদ্দী (মোটর-সাইকেল) মাত্র ২০৬ ভোট ও জি এম আবদার রশীদ (চিংড়ি মাছ) পেয়েছেন মাত্র ২২৫ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে ১৯ দল সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওঃ কামাল হোসেন (টিউবয়েল) পেয়েছেন ৬০ হাজার ৪৫৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী টিকেন্দ্র নাথ মণ্ডল (মাইক) ৩৫ হাজার ১৫৬ ভোট, আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. মুজিবর রহমান সানা (তালা) পেয়েছেন মাত্র ৭ হাজার ৫৫২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মুজিবর রহমান (বই) ২ হাজার ৫৭৭ ভোট, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএ গফুর (টিয়াপাখি) পান ১ হাজার ৩৬৫ ভোট, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান সিরাজ সাজু (চমশা) ৯৭৪ ভোট ও শেখ শামছুল আরম পিন্টু (উড়োজাহাজ) পান ৩২৫ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা পদে জামায়াত সমর্থিত শাহানারা খাতুন (কলস) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৫৫৬ ভোট, আ’লীগ সমর্থিত দীপ্তি চক্রবর্তী (পদ্ম ফুল) পান ৩৭ হাজার ৪৫৩ ভোট, বিএনপি সমর্থিত বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন (হাঁস) ৭ হাজার ২৪৩ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মাছুমা খাতুন (ফুটবল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৪২৬ ভোট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ’লীগের তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা আক্ষেপ করে বলেন, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজ মেয়াদে দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেননি। তিনি বিশেষ একটি শ্রেণী ও ব্যক্তি বিশেষের মূল্যায়ন করেছেন। তার পরাজয়ের মূল কারণ এখানেই।
অরো কয়েকজন বলেন, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাছাড়া পদধারী অনেক নেতাকর্মীই শুরু থেকেই অবস্থান নেয় দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এর প্রভাব পড়ে ভোটারদের মধ্যে। দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এসব নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পরাজয় নিকটবর্তী হয়েছে।