পাইকগাছায় হাইব্রিড জাতের ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায়
প্রায় ৭৬ একর জমিতে ১৩৪ জন কৃষক প্যাসিফিক ৯৮৪ জাতের ভুট্টার আবাদ করেছেন।
প্রথম বছরেই বাম্পার ফলন হওয়ায় ভুট্টা
চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। উৎপাদিত ভুট্টা আগামী মাসের
প্রথম সপ্তাহে কর্তন করা হতে পারে এবং একর প্রতি ৯০-১০০ মণ উৎপাদন হতে
পারে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
সূত্র মতে, কৃষি অধ্যুষিত এ উপজেলায়
মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৩০ হাজার হেক্টর। যার মধ্যে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর
জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লবণ পানির চিংড়ি চাষ করা হয়ে থাকে। অবশিষ্ট জমির
একাংশ লবণাক্ততার কারণে পতিত এবং সামান্য কিছু জমিতে কৃষি ফসলের আবাদ হয়ে
থাকে।
এসব জমিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে উপজেলার গড়ইখালী ও কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৩৪ জন কৃষক ৭৫.৬২ একর জমিতে প্যাসিফিক ৯৮৪ জাতের ভুট্টার আবাদ করেছেন। ইতোপূর্বে এ উপজেলায় ২০০৯-১০ সালের দিকে কিছুটা ভুট্টার আবাদ হলেও পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে আবারো ভুট্টার আবাদ শুরু করে প্রথম বছরে বাম্পার ফলন দেখা দেয়ায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে অধিক লাভ আশা করছেন কৃষকরা। বর্তমানে শতভাগ ভুট্টা গাছে পরিপক্ক মুচা রয়েছে। প্রতিটি মুচায় ৩শ গ্রামের মত ফল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাবিবনগর গ্রামের কৃষক আব্বাস আলী জানান, চলতি মৌসুমে তিনি এক একর জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। ভাল ফলন হওয়ায় একর প্রতি ৯০-১০০ মণ উৎপাদন হতে পারে।
ব্র্যাকের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার এস,এম, শাহীন আলম জানান, বর্তমানে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, এ কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হলো শস্য বহুমুখী করণ এবং নতুন নতুন কৌশল উদ্ভোবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্র অধ্যুষিত এলাকায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের কারিগরী ও উপকরণ সহায়তা প্রদান করায় চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, বেকারী খাদ্য, পোল্টি, মৎস্য ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রয়োজনীয় এসব চাহিদা পূরণে উৎপাদিত ভুট্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও ভুট্টার উচ্ছৃষ্ট অংশ জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সব মিলিয়েই ভুট্টার বহুমুখী ব্যবহার হওয়ায় এ চাষ অধিক লাভজনক।
এসব জমিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে উপজেলার গড়ইখালী ও কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৩৪ জন কৃষক ৭৫.৬২ একর জমিতে প্যাসিফিক ৯৮৪ জাতের ভুট্টার আবাদ করেছেন। ইতোপূর্বে এ উপজেলায় ২০০৯-১০ সালের দিকে কিছুটা ভুট্টার আবাদ হলেও পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে আবারো ভুট্টার আবাদ শুরু করে প্রথম বছরে বাম্পার ফলন দেখা দেয়ায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে অধিক লাভ আশা করছেন কৃষকরা। বর্তমানে শতভাগ ভুট্টা গাছে পরিপক্ক মুচা রয়েছে। প্রতিটি মুচায় ৩শ গ্রামের মত ফল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাবিবনগর গ্রামের কৃষক আব্বাস আলী জানান, চলতি মৌসুমে তিনি এক একর জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। ভাল ফলন হওয়ায় একর প্রতি ৯০-১০০ মণ উৎপাদন হতে পারে।
ব্র্যাকের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার এস,এম, শাহীন আলম জানান, বর্তমানে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, এ কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হলো শস্য বহুমুখী করণ এবং নতুন নতুন কৌশল উদ্ভোবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্র অধ্যুষিত এলাকায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের কারিগরী ও উপকরণ সহায়তা প্রদান করায় চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, বেকারী খাদ্য, পোল্টি, মৎস্য ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রয়োজনীয় এসব চাহিদা পূরণে উৎপাদিত ভুট্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও ভুট্টার উচ্ছৃষ্ট অংশ জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সব মিলিয়েই ভুট্টার বহুমুখী ব্যবহার হওয়ায় এ চাষ অধিক লাভজনক।