Wednesday, June 11, 2014

কপিলমুনিতে ফেনসিডিল উদ্ধার নিয়ে জনরোষে এ.এস.আই

কপিলমুনিতে এক ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অন্য ব্যক্তির রেখে যাওয়া ফেনসিডিল উদ্ধারকালে পুলিশের এক এ.এস.আই জনরোষের শিকার হয়েছেন।

জানা যায়, কপিলমুনি বাজারের সাহানা সাউন্ডের দোকান থেকে সোমবার দুপুর ১টার দিকে পাইকগাছা থানার এ.এস.আই সোহেল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে একটি ব্যাগে রাখা ৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। এ সময় দোকান মালিক এমদাদুল হক ওরফে এমদাদ (৪৪) কে পুলিশ মারধর করতে থাকে।

এমদাদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে, ওই ব্যাগটি একজন খরিদ্দার রেখে গেছেন, ওটার ভেতরে কি আছে না আছে এটা তার অজানা বলে জানালেও এ.এস.আই সোহেল এমদাদকে মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে জনগণ পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এমদাদ সাংবাদিকদের বলেন, আমার দোকানে একজন অপরিচিত লোক মাইক ভাড়া করতে আসে। আমি তাকে বলি আমি যেহেতু আপনাকে চিনি না সেহেতু আমার পরিচিত কেউ বললে আমি ভাড়া দিতে পারি। ওই সময় লোকটা ব্যাগ রেখে একজন পরিচিত লোক ডাকতে যায়।

এরপরেই থানা পুলিশ আমাকে ফেনসিডিল রাখার অভিযোগে হাতকড়া পরিয়ে মারধর শুরু করে। এরপর স্থানীয় জনতার হস্তক্ষেপে আমি রেহাই পাই। মূলত আমার ছেলের শশুরের সাথে একটা ঝামেলা চলছে। এই ঝামেলাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে দাবি করেন এমদাদ।