Wednesday, July 23, 2014

কয়রায় ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা; একজন গ্রেপ্তার

কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ’সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে৷ গতকাল শুক্রবার কয়রা থানায় স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মামলাটি করেন৷ পুলিশ এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে৷

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছুদিন আগে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ উপজেলার মদিনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন৷ গত বুধবার সন্ধ্যায় মাসুম ও তাঁর সহযোগী মুকুল গাজী, সালাউদ্দীন, বাবু সরদার, লুৎফর গাজী চাঁদার টাকা আনতে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে যান৷ সেখানে শহিদুলকে না পেয়ে তাঁরা তাঁর দুই ছেলেকে মারধর করে চলে আসেন৷

শহিদুলের বড় ছেলে মো. আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম ও তাঁর সহযোগীরা চাঁদার টাকার জন্য তাঁদের বাড়িতে হামলা করেন৷ তাঁরা তাঁকে ও তাঁর ছোট ভাইকে মারধর করে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে আসেন৷ এর আগে গত ৩১ মে রাতে মাসুম ও তাঁর লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালান৷ ওই ঘটনায় তাঁরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়রা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মাসুমের নামে চাঁদাবাজি, সাংবাদিক মারধর, মাদক ব্যবসাসহ ১০টি মামলা রয়েছে৷ কিন্তু রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে পারে না৷ তাঁর কার্যকলাপে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ৷

চাঁদা চাওয়ার ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলেও বন্ধ পাওয়া গেছে৷

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিকুর রহমান বলেন, ‘চাঁদা দাবির বিষয়টি জানি না৷ ঘটনা সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবীর দত্ত বলেন, গতকাল মামলার পর বাবু সরদার নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে৷