দু’শ বছর আগে মুন্ডারা এসেছে ভারতের উড়িষ্যা থেকে। খুলনা জেলার কয়রা থানার
দক্ষিণ বেদকাশী, উত্তর বেদকাশী ও কয়রা সদর ইউনিয়নের ৩টি অঞ্চলের কয়েকটি
ছোট ছোট গ্রামে এদের বসবাস। একুশ শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে এসেও তারা সভ্যতার
আলো থেকে অনেক দুরে। সংখ্যা লঘু এ সম্প্রদায়ের লোক সংখ্যা তিন হাজারে বেশী।
এর ভেতর ভোট্রা সংখ্যা ৭০০ এর মত।
চোলাই মদের নেশার উপর থাকতে দেখা যায় তাদের। পূর্ব পুরুষ থেকে এ নেশা জাতীয় পানি পান করাটাকে তারা ছাড়তে
পারেনি। এটাকে তারা বংশগত মর্য্যাদা বলে মনে করে। চোলাই মদের ব্যপারে
বৃদ্ধ বিজু মুন্ডা বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকে রান্না করা গরম ভাতে বড়ি (জংগলের
গাছের শিকড় দিয়ে তৈরী করা) দিয়ে ভাতের হাড়ীর মুখ বেধে মাটিতে পুতে রাখা
হয়। কিছুদিন পর ওই হাড়ী মাটির উপরে তোলাহয় তখন হাড়ীর ভাত গলে গিয়ে তরল হয়ে
যায়। এটাকেই চোলাই মদ বলা হয়। এই চোলাই মদ মুন্ডা সম্প্রদায়ের
লোকেরা ইচ্ছা মত পান করে। আবার কোন কোন বিশেষ দিনে আবাল বৃদ্ধ বনিতা মদের
নেশায় মাতোয়ারা হয়ে উঠে। এমনকি মদের নেশায় মুন্ডা পরিবারের সদ্যস্যরা
স্বামী, সন্তান, ভাই-বোন ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই নাচতে থাকে। নাচতে নাচতে
অনেকের শরীরে আবারন খুলে গেলেও সেদিকে কারো খেয়াল থাকেনা।
চোলাই মদের সাথে পান করা হয় টাটকা ইদুরে রক্ত এবং পোড়া মাংস (কিছুটা কাবাবের মত)। মুন্ডারা চোলাই মদ তৈরীর পদ্ধতি যানে। এই মদ তারা বিক্রি করে না। বাইরের কেউ পান করতে চাইলে খুশি মনে মুন্ডারা তাকে পান করিয়ে তৃপ্তি পায়।
মুন্ডারা সবাই গরীব। বনের গাছ-গাছালী সংগ্রহ করে দু’শ বছর আগে এ এলাকায় বসত ঘর তৈরী করে সামাজিক ভাবে বাস করছে। এক সময় তাদের অনেক জমাজমি ছিল, সচেনতার অভাবে এলাকার প্রভাবশালী মহল তাদেরকে ফাঁকি দিয়ে ভু-স্বামী বনে গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জন্ম থেকে মুন্ডারা খুবই পরিশ্রমী, এরা বেকার ঘরে বসে থাকেনা। শ্রম বেচে তারা সংসার চালায়। তাও সঠিক পারিশ্রমিক তারা পায়না, তাই অভাব তাদেও নিত্য সংঙ্গী। আবার অনেকে টাকার নোটের মান বোঝেনা। মহাজন খুশীমত যাহা দেয় তাই নিয়ে নেয়। পারিশ্রমের মূল্য নিয়ে তাদের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়না। মুন্ডারা মনে করে, জন্ম হয়েছে খেটে খাওয়ার জন্য মৃত্যু পয্যন্ত খেটে খেয়ে যেতে হবে।
মুন্ডাদের বাড়ীতে টেলিভিশন নেই। খবরের কাগজ পড়ার আগ্রহ তাদের দেখা যায়না। খবরের কাগজের কথা জানতে চাইলে মুন্ডারা চেনে না। অনেকে রেডিও শোনে। রাজনীতি তারা বোঝেনা। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বররেরা তাদের সরকার। তারা মনে করে এরাই দেশ চালায়। তাদের এলাকায় তেমন কোন বিদ্যালয় নেই। বে-সরকারি সংস্থা প্রদ্বীপন শিশুদের লেখা-পড়া সুযোগের লখ্যে একটা শিশুবিদ্যালয় দিয়েছে।
খাবার পানি হিসেবে পুকুরের পানি ব্যাবহার করে তারা। খেলা যায় গায় মল মুত্র ত্যাগ করতে দেখা যায় তাদের। বাল্যবিবাহ মুন্ডাসম্প্রদায়ের মধ্যে বেশী প্রচলন। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দিতে না পারলে মেয়ের বাবা নিজেকে অপরাধী মনে করে। বিয়ের রাতে মেয়েকে বরের সাথে বাসর ঘরে দিয়ে মুন্ডারা আনন্দে মেতে উঠে।
মুন্ডাদের প্রধান আকর্ষন মুরগী পূজা। একটা পোষা মুরগী এক কোপে কেটে মুরগীর রক্ত চারি দিকে ছিটিযে দেবতাকে সন্তুষ্ট করে। মুন্ডারা ভাল ভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেনা। কথা বলার বেলায় তাদের মধ্যে মিশ্র ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়। তাদের নিজেদের মধ্যে যখন কথা হয় সে ভাষা বাইরের কেউ বুঝতে পারেনা।
চোলাই মদ না পান করার জন্য বলা হলে অশোক মুন্ডা বলেন, রক্তমাংসে মিশে যাওয়া এ নেশাটি খুব সহযে ছাড়া সম্ভব নয়। এটা আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। নেশা করাটা আমাদের বংশের ঐতিয্য বলে মনে করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সমাজের শিক্ষিত মানুষ যদি ভালো ভাবে তাদেরকে বোঝাবার চেষ্টা করে এবং তাদেও মাঝে সচেতনতা বোধ আনা যায় তবেই তা সম্ভব হবে।
চোলাই মদের সাথে পান করা হয় টাটকা ইদুরে রক্ত এবং পোড়া মাংস (কিছুটা কাবাবের মত)। মুন্ডারা চোলাই মদ তৈরীর পদ্ধতি যানে। এই মদ তারা বিক্রি করে না। বাইরের কেউ পান করতে চাইলে খুশি মনে মুন্ডারা তাকে পান করিয়ে তৃপ্তি পায়।
মুন্ডারা সবাই গরীব। বনের গাছ-গাছালী সংগ্রহ করে দু’শ বছর আগে এ এলাকায় বসত ঘর তৈরী করে সামাজিক ভাবে বাস করছে। এক সময় তাদের অনেক জমাজমি ছিল, সচেনতার অভাবে এলাকার প্রভাবশালী মহল তাদেরকে ফাঁকি দিয়ে ভু-স্বামী বনে গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জন্ম থেকে মুন্ডারা খুবই পরিশ্রমী, এরা বেকার ঘরে বসে থাকেনা। শ্রম বেচে তারা সংসার চালায়। তাও সঠিক পারিশ্রমিক তারা পায়না, তাই অভাব তাদেও নিত্য সংঙ্গী। আবার অনেকে টাকার নোটের মান বোঝেনা। মহাজন খুশীমত যাহা দেয় তাই নিয়ে নেয়। পারিশ্রমের মূল্য নিয়ে তাদের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়না। মুন্ডারা মনে করে, জন্ম হয়েছে খেটে খাওয়ার জন্য মৃত্যু পয্যন্ত খেটে খেয়ে যেতে হবে।
মুন্ডাদের বাড়ীতে টেলিভিশন নেই। খবরের কাগজ পড়ার আগ্রহ তাদের দেখা যায়না। খবরের কাগজের কথা জানতে চাইলে মুন্ডারা চেনে না। অনেকে রেডিও শোনে। রাজনীতি তারা বোঝেনা। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বররেরা তাদের সরকার। তারা মনে করে এরাই দেশ চালায়। তাদের এলাকায় তেমন কোন বিদ্যালয় নেই। বে-সরকারি সংস্থা প্রদ্বীপন শিশুদের লেখা-পড়া সুযোগের লখ্যে একটা শিশুবিদ্যালয় দিয়েছে।
খাবার পানি হিসেবে পুকুরের পানি ব্যাবহার করে তারা। খেলা যায় গায় মল মুত্র ত্যাগ করতে দেখা যায় তাদের। বাল্যবিবাহ মুন্ডাসম্প্রদায়ের মধ্যে বেশী প্রচলন। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দিতে না পারলে মেয়ের বাবা নিজেকে অপরাধী মনে করে। বিয়ের রাতে মেয়েকে বরের সাথে বাসর ঘরে দিয়ে মুন্ডারা আনন্দে মেতে উঠে।
মুন্ডাদের প্রধান আকর্ষন মুরগী পূজা। একটা পোষা মুরগী এক কোপে কেটে মুরগীর রক্ত চারি দিকে ছিটিযে দেবতাকে সন্তুষ্ট করে। মুন্ডারা ভাল ভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেনা। কথা বলার বেলায় তাদের মধ্যে মিশ্র ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়। তাদের নিজেদের মধ্যে যখন কথা হয় সে ভাষা বাইরের কেউ বুঝতে পারেনা।
চোলাই মদ না পান করার জন্য বলা হলে অশোক মুন্ডা বলেন, রক্তমাংসে মিশে যাওয়া এ নেশাটি খুব সহযে ছাড়া সম্ভব নয়। এটা আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। নেশা করাটা আমাদের বংশের ঐতিয্য বলে মনে করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সমাজের শিক্ষিত মানুষ যদি ভালো ভাবে তাদেরকে বোঝাবার চেষ্টা করে এবং তাদেও মাঝে সচেতনতা বোধ আনা যায় তবেই তা সম্ভব হবে।