Sunday, September 14, 2014

কপিলমুনিতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী

খবর প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ বাণিজ্য, বিয়ে দিয়ে দেবার শর্তে রফা


কপিলমুনিতে ৫ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী ঘটাবার অপরাধ ধামাচাপা দিতে ও কোন খবর প্রকাশ না শর্তে অর্ধলক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। অন্যদিকে আতিয়ার ঐ মেয়েটিকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছে। তবে অন্যত্র বিয়ে দিতে যাবতীয় খরচ সে বহন করবে মর্মে একটি রফা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বর।

সূত্রে প্রকাশ, গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত সাড়ে ৮টায় কাশিমনগর গ্রামের আব্বাস আলী মোড়লের পুত্র আতিয়ার রহমান (২১) তারই প্রতিবেশী স্থানীয় পূর্ব কাশিমনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে কৌশলে তার ঘরে ডেকে পাঠায়। সেখানে ঐ মেয়েটি পৌছানো মাত্রই আতিয়ার ঘরের দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। পর মূহুর্তে মেয়েটি বাড়ি ফিরে তার মা ও অন্যান্যদের ঘটনার বিষয়টি জানালে ঐ পরিবারে তাৎক্ষনিক উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই হাসমত আলী ঘটনা স্থলে গেলে উভয় পরিবার তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করবে এমন আশ্বাস পেয়ে তিনি ফিরে আসেন। তবে এর কোন অন্যথা হলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান দেন। পরবর্তীতে রাত পোহালে শুরু হয় দেন দরবার, শালিশ বৈঠক, দর কষাকষি। কয়েক দফা বৈঠক হলেও তাদের বিয়ে তো দুরের কথা কোন রকম সমঝোতায় পৌছাতে পারেনি। ঘটনাটি ১২ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন আঞ্চলিক দৈনিকে শিরোনাম হলে সর্বস্তরে হৈ চৈ পড়ে যায়। নিন্দা, ঘৃণা ও ক্ষোভ দ্রুত এলাকায় ছড়াতে থাকে।

আর এ সুযোগ কাজে লাগায় ঐ চক্রটি। চক্রটি মেয়ে পক্ষকে ভয় ভিতি দেখিয়ে বেশী বাড়া বাড়ি না করার কথা বলে শাসায়। অন্যদিকে আতিয়ারকে বলে তোর বিপদ আসন্ন, বাঁচার কোন উপায় নেই। তোর কোন ঝামেলা হবে না, কোন কাগজে লেখালেখি হবে না, পুলিশ কোন মামলা করবে না বলে আশ্বস্ত করে অর্ধলক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছে।

তবে মেয়েটির পরিবার আতিয়ারের নিকট থেকে ভবিষতে সহযোগিতা পাবে, কি আদৌ পাবে না এ নিশ্চয়তা কোথায়? কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ি এস.আই হাসমত আলী এখন কি বলবেন। এ প্রশ্ন এখন সকলের মুখে।