Friday, September 12, 2014

পাইকগাছায় ফের লাঠিয়াল বাহিনীর তান্ডবের শিকার আয়ুব পরিবার

পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে; এলাকার সর্বত্র আতংক !


জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একাধিকবার হামলা, মামলার শিকার অতঃপর গত বুধবার থানা পুলিশ তদন্ত করে যেতে না যেতেই আবারও প্রভাবশালী সালামউল্লার নের্তৃত্বে অর্ধশতাধিক লাঠিয়াল বাহিনীর তান্ডবের শিকার হলো কপিলমুনি শহরতলীর দক্ষিণ সলুয়া গ্রামের মৃত আত্তাব আলীর পুত্র আয়ুব আলী ও তার অসহায় পরিবার। 

আয়ুব আলীর বৃদ্ধ মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের রক্তাক্ত জখম করে প্রায় অর্ধশতাধিক গাছপালা কেটে সাবাড় করে দিয়েছে ভুমিদস্যু নামধারী দুর্বৃত্তরা। এ সময় পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ঘটনাস্থল ছেড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী’সহ এলাকাবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ঐ দিন সকাল ৮টায় স্থানীয় প্রভাবশালী সৈয়দ সালামউল্লার নের্তৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক লাঠিয়াল উপজেলার কপিলমুনি শহরতলীর দক্ষিণ সলুয়া গ্রামে আয়ুব আলীর জমি দখল নিতে গেলে বৃদ্ধা মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাধা দেয়। এমতাবস্থায় লাঠিয়াল বাহিনীর একটি অংশ পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বাকী অংশের লাঠিয়ালরা জমিতে অবস্থিত বিভিন্ন প্রজাতের গাছপালা কেটে সাবাড় করতে থাকে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

কপিলমুনি ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই হাসমত আলী জানান, উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশ পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে আবস্থা বিরাজ করছিল। অসহায় আয়ুব আলী জানায়, তার বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক।

পাইকগাছা থানার ওসি শিকদার আককাস আলী জানান, জমি দখল ও সংঘর্ষের বিষয় অবগত হবার সাথে সাথে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন একইভাবে সালামউল্লার নের্তৃত্বে প্রায় শতাধিক লাঠিয়াল নিয়ে জমি দখলের জন্য সেখানে অবস্থান নেয়। কিন্তু থানা প্রশাসন ঘটনার বিষয় জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরবর্তীতে পরিবার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৬ জুন আয়ুব আলী সালামুল্লাহকে প্রধান করে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেন। যার নং-২৫৬/১৪। বর্তমানে ভুক্তভোগী আয়ুব আলী’সহ এলাকাবাসীর মাঝে এক অজানা আতংক বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।