Saturday, September 13, 2014

কয়রায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

কয়রা উপজেলায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে নতুন সংযোগ স্থাপনের অভিযোগ এনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণ দেয়াড়া গ্রামের বিদ্যুৎ বঞ্চিত লোকদের পক্ষে স্থানীয় বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন গাজী বাদি হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর কয়রা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বাদী সংশ্লিষ্ট এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম বহির্ভূত কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারীর আবেদন করেন।

মামলায় খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ শহীদুজ্জান, নির্বাহী প্রকৌশলী (চঃ দঃ) গণপতি বিশ্বাস,সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহিম, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জি. মো. ইনামুল হক, প্রজেক্ট ইঞ্জি. শেখ জাহিদ হোসেন, ফিল্ড অর্গানাইজার মুজিবর রহমান, অফিস ইনচার্জ (ডি,জি,এম-সাব ষ্টেশন পাইকগাছা) এবং অফিস ইনচার্জ অভিযোগ কেন্দ্র কয়রা মদিনাবাদকে বিবাদী করা হয়েছে।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজসে জেলার কয়রা থানাধিন মহারাজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেয়াড়া গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের স্টকিং সীটে নিয়ম বর্হিভুতভাবে এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাসহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে অন্য ইউনিয়ন ও গ্রামের লোকদের নাম তালিকাভুক্ত করেন।

এ প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ পাইকগাছা সাব-ষ্টেশনের সার্কিট ৩ এবং ৬৭০ লটে স্কেচ ম্যাপ স্টকিং সীট মোতাবেক দক্ষিণ দেয়াড়া গ্রামের মধ্যে বাগালী ইউনিয়নের বায়লারহারানিয়াসহ জয়পুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের নাম অর্ন্তভুক্ত করার বিষয়ে অভিযোগ করা হয়।

বাদি পক্ষের দাবী, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম খুলনা পল্লী বিদ্যু সমিতিতে একটি আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে ফিল্ড অর্গানাইজার মুজিবর রহমান দক্ষিণ দেয়াড়া সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত সংযোগ স্থাপনের বিষয়ে আশ্বস্থ করেন। পরর্তীতে অর্থের বিনিময়ে তিনি গোপনে জয়পুর গ্রাম ও বাগালী ইউনিয়নের বায়লারহারানিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের নাম তালিকাভুক্ত করে স্টকিং সীট প্রস্তুত করেন। যার প্রত্যেক পাতায় ইউনিয়ন মহারাজপুর, গ্রাম দক্ষিণ দেয়াড়া লেখা রয়েছে।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী গত গত ২৩ জুন কয়রা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এবং সমিতি বরাবর লিখিত আবেদনসহ যোগাযোগ করার পর কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্তে গিয়েও কোন রিপোর্ট প্রকাশ করেননি। উপরন্তু কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলেও বাদী পক্ষ অভিযোগ করেছেন।