Wednesday, September 24, 2014

পাইকগাছা সলুয়া গোলাবাটি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের সহঃ শিক্ষিকাকে বদলীর দাবী !

অবশেষে বিভাগীয় শিক্ষা অফিসার বরাবর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ


জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ১৪ মে পাইকগাছা সলুয়া গোলাবাটি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনের পর সহঃ শিক্ষিকা খুরশিদা কর্তৃক নানাভাবে হয়রানী ও মারপিটের শিকার স্কুলের অবুঝ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষিকা সম্পর্কে গোপন তথ্য ফাঁস করায় কোমলমতি ঐ সব শিক্ষার্থীরা এখন চরম বিপাকে। শিক্ষিকার আক্রমনাত্মক আচারণের শিকার খোদ অভিভাবরাও।

আর এমন এক পরিস্থিতির শিকার হয়ে অবশেষে সহঃ শিক্ষিকা খুরশিদাকে অন্যত্রে বদলীর দাবী জানিয়ে ভুক্তভোগী অভিভাবকরা বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর এক লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। যার অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার ৫নং সলুয়া গোলাবাটি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল আক্তার খানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য উপস্থাপন করার অভিযোগ এনে ইতোপুর্বে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন স্কুলের আলোচিত সহঃ শিক্ষিকা খুরশিদা আক্তার। যা নিয়ে বিগত ১৪ মে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশোক কুমার সমাদ্দার সরেজমিন ঘটনার তদন্ত করেন। এ সময় স্কুলের অভিভাবক সহ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক ও সহঃ শিক্ষিকা খুরশিদা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন শিক্ষা কর্মকর্তা।

এমতাবস্থায় খুরশিদা সম্পর্কে গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয় অবুঝ শিক্ষার্থীরা। আর সেটাই অবুঝ শিক্ষার্থীদের জন্য এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের উপর নানা হয়রানীর খেলা শুরু করেছেন আলোচিত শিক্ষিকা খুরশিদা। মারপীট থেকে শুরু করে তিনি এখন স্ব-মুর্তিতে। শুধু তাই নয়, স্কুলের অভিভাবকদের উপর আক্রমনাত্মক ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি।

বিভিন্ন সময় আলোচিত ঐ শিক্ষিকা কর্তৃক একাধিক অভিভাবক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। উপায়ন্তু না পেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও ভুক্তভোগীরা কোন প্রতিকার পায়নি। ফলে শিক্ষিকা খুরশিদার ক্ষমতার দাপট যেন দ্বিগুন বেড়ে যায়।

সূত্রমতে, উপজেলা শিক্ষা অফিসের কতিপয় কর্তা ব্যাক্তিদের সাথে আলোচিত শিক্ষিকা খুরশিদার রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক। ফলে ভুক্তভোগী অভিভাবকদের কোন কথায় তারা শুনতে পাননা। উপায়ন্তু না পেয়ে ভুক্তভোগীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন পাঠিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। সর্বশেষ ভুক্তভোগী অভিভাবকরা বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। যার অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রনালয়’সহ ৭ দপ্তরে প্রেরীত হয়েছে।

এলাকার অভিভাবকদের দাবী শিক্ষিকা খুরশিদাকে অন্যত্রে বদলী করে স্কুলটিকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক। তা নাহলে ঝরে পড়বে কোমলমতি অবুঝ শিক্ষার্থীরা। কলঙ্কিত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।