Friday, October 17, 2014

পাইকগাছায় জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র শিক্ষক পরিবারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা

পাইকগাছায় জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষক পরিবারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করে হয়রাণী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্রয়সূত্রে ভোগদখলে থাকা জমির উপর প্রাচীর নির্মাণ করায় প্রতিপক্ষরা হয়রাণীমূলক এ মামলা করেছে বলে ভূক্তভোগী শিক্ষক পরিবার জানিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ রায় পৌরসভাস্থ বাতিখালী মৌজায় মৃত রবীন্দ্র নাথ মন্ডলের পুত্র বিপ্লবমন্ডল ওরফে ভোলার নিকট থেকে এসএ ১৫৪ খতিয়ানের ২৬ দাগ থেকে গত ২১/১১/২০০৭ সালে ৪০৫১ নং কোবলা দলিল মূলে স্ত্রী ঝুমু রায় ও বোন নমিতা রায়ের নামে ২ শতক ও ১৩/১০/২০১০ সালে স্ত্রী ঝুমু এবং বৌদি মিনতী রায়ের নামে ৪২৩৩ নং কোবলা দলিলমুলে ১ শতকসহ সর্বমোট ৩ শতক জমি ক্রয় করেন।

ইতোমধ্যে চৌহদি মোতাবেক জমির দখল বুঝে নিয়ে নামপত্তন ও করখাজনা পরিশোধ করেন রবীন্দ্র গংরা। এদিকে বর্তমানে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রয়কৃত এ সম্পত্তি পুনরায় বিক্রির পায়তারা করে প্রতিপক্ষ বিপ্লবগংরা। এ খবর জানতে পেরে গত ১২/০৯/১৪ তারিখ রবীন্দ্র গংরা তাদের জমির চারিপাশে পাকা প্রাচীর নির্মান করলে গাত্রদাহ শুরু হয় প্রতিপক্ষের।

প্রাচীর নির্মাণের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ বিপ্লব মন্ডলের স্ত্রী তপতী রাণী মন্ডল বাদী হয়ে শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সহ পরিবারের ৭ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে শ্লীলতাহানির মামলা করে। আসামীদের মধ্যে ২ জন প্রধান শিক্ষক ও ২ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষক রবীন্দ্র নাথ জানান, প্রতিপক্ষদের অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিল না হওয়ায় শ্লীলতাহানির মত জঘন্য অভিযোগ এনে মামলা করেছে। তাকে এবং তার পরিবারকে হয়রাণীর উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।