আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে চিরচেনা দুঃখ !
পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের পাইকগাছা থেকে কপিলমুনি এই প্রায় ১৫-১৬ কিলোমিটার
রাস্তার সংস্কার কাজ যেনতেনভাবে সম্পন্ন করায় ইতিমধ্যে একাধিক স্থানে ভেঙে
গিয়ে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ভেঙেচুরে ফের
যানবাহন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়বে এমনই আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাত্র মাস ২ আগেই অত্র সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন
করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই সময় পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের
পাইকগাছা থেকে কপিলমুনি পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ জোড়াতালি দিয়ে চলছে
বলে ভয়েস অফ পাইকগাছায় সংবাদ প্রকাশ হলেও সেদিকে কর্ণপাত করেনি সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ। ফলে ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে।
এই ১৬ কিলোমিটার রাস্তার
মধ্যে অসংখ্য জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে আগড়ঘাটা
বাজার এলাকায় বিশাল গর্তে বর্ষার পানি জমে হাটু পানি হতে শুরু করেছে। ভারী
ও টানা বর্ষার কবলে পড়ে রাস্তাটি একেবারে যানবাহন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়বে
বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে অত্র সড়কের বড় শত্রু ‘দশ
চাকার’ ভারী ট্রাকগুলো চলাচল আজও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। প্রায়ই
পাইকগাছা-কয়রায় বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজের জন্য ৩০ থেকে ৪০ টনের দশ চাকার
পাথরবাহী ভারী ট্রাক আসা-যাওয়া করছে অনায়াসে।
অথচ সড়ক ও জনপথ
বিভাগের সূত্র মতে, অত্র সড়কের আঠারমাইলের পর থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত
সর্বোচ্চ ১০ টন মালামালবাহী ট্রাক চলাচলযোগ্য। সেখানে তিন গুনেরও অনেক
বেশি ভারী ট্রাক চলাচল করায় রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পাশাপাশি অত্র সড়কে দশ চাকার ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের কার্যকরী
কোন পদক্ষেপ না থাকায় বিষ্মিত হয়েছেন সচেতর মহল।
খুলনা-পাইকগাছা
সড়কের কপিলমুনি থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত সড়ক ফের সংস্কার ও দশ চাকার ভারী
ট্রাক চলাচল বন্ধে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা
করেছেন এলাকাবাসী।