Sunday, July 5, 2015

পাইকগাছা কলেজে ২০ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি

পাইকগাছা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজটি ১৯৬৭ সালে ৫.৩৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে আজ দক্ষিণ খুলনার শিক্ষা ব্যবস্থায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করে চলেছে। 

এইচ,এস,সি, এইচ,এসসি(বিএম) স্নাতক(বিএ,বিএসসি,বিকম) স্নাতক(সম্মান) বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, সমাজকর্ম, বিষয় চালু আছে। চালুর অপেক্ষায় আছে সমাজকল্যাণ, ইসলামিক স্টাডিজ,হিসাববিজ্ঞান,ভুগোল, ইতিহাস এবং এ বছরই কেন্দ্রের অনুমতি পেয়ে অনার্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। শিক্ষক ৬৪ জন এবং কর্মচারী ১৩ জন। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের বহর অবকাঠামো গত স্থান কলেজ প্রাঙ্গন, ভবন, ক্লাশ রুম সংকট কখনো কাটেনি বলে জানা গেছে।

৮০ দশকে ১০ কক্ষ্যে বিশিষ্ঠ ২ তলা কলা ভবন নির্মান হয়েছিল। বর্তমানে এই ভবনটি ছাদ ফেটে বড় বড় খাদ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ২ তলায় কোন শিক্ষক শিক্ষার্থী ঝুকি নিয়ে ক্লাশ করতে চাযbনা। ১৯৯৫ সালে নির্মিত হয় ৩ তলা বিশিষ্ট ১২টি রুমের বিজ্ঞান ভবন। কলেজের একাডেমিক কাজের পরিধির উপর ভিত্তি করে সেই বিজ্ঞান ভবন এখন একাডেমিক ভবনের শুন্যতা পূরণ করে আসছে। 


তারপর থেকে বিএনপি, বর্তমান ক্ষমতাসীন আ‘লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উপজেলার শহীদ আয়ুব ও মুসা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে ও খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজ, জায়গীরমহল কলেজে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২টি আই,সি টি ভবন, ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয় ও হরিঢালী কপিলমুনি কলেজে মোটা টাকার বিসিসি কম্পিউটার ল্যাব এর জন্য এবং চাঁদখালী কলেজে ও হরিঢালী কপিলমুনি মহিলা কলেজে নতুন ভবন হয়েছে। 

পাইকগাছার সচেতন মহল ও অনেক শিক্ষক মন্ডলীর মন্তব্য ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজ নামেই থেকে গেল, উন্নয়ন ও শিক্ষক নিয়োগে অবকাঠামো ও সরকারি অনুদানের প্রাপ্তি শূন্যের কোঠায়।

পদাধিকার বলে সংসদ সদস্যরাই থাকেন সভাপতি তবে বরাদ্ধ বা অনুদান এর ক্ষেত্রে অনেক প্রতিশ্রুতির পরও সবসময় পাইকগাছা কলেজ বঞ্চিত। সকল অভাব পুরণ করে যাতে কলেজের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে এবং মডেল কলেজে পরিণত হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষানুরাগীরা।