শীত নামলেও পাইকগাছার কপিলমুনি কাঁচা বাজার এখনও গরম। বাজারে পর্যাপ্ত শীতকালীন সবজির সরবরাহ থাকলেও কাঁচা তরি-তরকারির দামের উত্তাপ এখনও কমেনি। তাছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি মনিটরিং না থাকায় বছরের প্রায় সিংহভাগ সময় কাঁচা বাজার থাকে চড়া।
পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতারা কম দামে কাঁচা পণ্য আমদানি করলেও খুচরা বাজারের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দর-দামের তোয়াক্কা না করে বরং ইচ্ছেমত বাজার নিয়ন্ত্রন করছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
এ ব্যাপারে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা তরকারি যে দামে কিনতে হয় তার উপর ভিত্তি করেই আমরা মূল্য নির্ধারণ করে থাকি। কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আবুবকর জানান, কাঁচা তরকারি বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। সে ক্ষেত্রে পরিবহন খরচসহ দাম একটু বেশি পড়ে যায়।
কপিলমুনি হাটের দু'দিন রবি ও বৃহস্পতিবার কাঁচা মালের পাইকারি বাজারে এত পরিমান কাঁচা তরি-তরকারি আমদানি হয় যে, দক্ষিণাঞ্চলের বাজারগুলোর চাহিদা মেটাতে এই কপিলমুনি বাজারের উপর নির্ভর করেন ব্যবসায়ীরা। সে ক্ষত্রে কপিলমুনি খুচরা বাজারের অবস্থা এমনটি হওয়া অযৌক্তিক, বলছেন ক্রেতারা।
বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাঝাল ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০, আলু ২০, বেগুন ৪০, মুলা ৩৫, পালন ২৫, রসুন ৬০, পাতাকপি ৩০, ফুলকপি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।