Sunday, June 9, 2013

কপিলমুনিতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত

কপিলমুনিতে ৫ম শ্রেনির এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কপিলমুনি বাজারের বনিক সমিতির নিয়ন্ত্রনাধীন গণশৌচাগার অভ্যান্তরে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে গণশৌচাগারের কেয়ারটেকার অভিযুক্ত ধর্ষক লম্পট মোকন আলী সরদারকে শো’কজ করেছে বনিক সমিতি কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর লম্পট ঐ ধর্ষক গা ঢাকা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার, বনিক সমিতি ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, কপিলমুনি বাজারের বণিক সমিতির পিছনে চা পট্টিতে ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রীর মা একটি চায়ের দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ঘটনার দিন শুক্রবার স্কুল ছুটি থাকায় ঐ ছাত্রী তার মায়ের সাথে সহযোগীতা করতে দোকানের কাপ, প্রিচ ও মগ পরিষ্কার করতে পার্শ্ববর্তী গণশৌচাগারের টিউবওয়েলে গেলে কুনজর পড়ে গণশৌচাগারের কেয়ারটেকার লম্পট মোকন আলীর। জনশুন্য শৌচাগারে একা পেয়ে সরল কথায় শিশুকন্যাকে ডেকে নেয় সে।

এরপর গণশৌচাগার সংযুক্ত গোসলখানায় নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট মোকন। ঘটনার পর শিশুকন্যার মুখে ধর্ষনের ঘটনা শুনে মানষিকভাবে মুষড়ে পড়ে তার অসহায় মা। বণিক সমিতির কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করে ভুক্তভোগী পরিবার। জানাগেছে, কিছুদিন পূর্বে রোগগ্রস্থ্য অবস্থায় ধর্ষিতার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার পর এ ঘটনাটি জনসমুখ্যে ব্যাপক প্রচার হলে লম্পট ধর্ষক গা ঢাকা দেয়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলেও অভিযোগ না হওয়ায় এ ব্যাপারে কোন মামলা হয়নি। অন্যদিকে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ও ধর্ষককে রক্ষা করতে একটি প্রভাবশালী মহল মাঠে নেমেছে।

তারা ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা না করতে চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ঐ পরিবারটি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে নরপশু ধর্ষক মোকন আলীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়েছেন অসহায় পরিবারসহ এলাকাবাসী।