সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে খুলনাসহ উপকুলীয়
জেলাগুলোর সর্বত্রই এখন চলছে বাগদা চিংড়ি পোনা আহরণের মহোৎসব। এতে বিলুপ্ত
হচ্ছে অন্য প্রজাতির মাছের পোনা।
জানা যায়, সাগরপাড়ের সোনারচর থেকে শুরু
করে মৌডুবী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ তটরেখা এবং অভ্যন্তর ভাগের প্রায় ৩০
কিলোমিটার পর্যন্ত বিশাল এলাকায় চলে পোনা শিকারীদের তাণ্ডব। চলতি মৌসুমে
পটুয়াখালির গলাচিপা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নের ১ হাজার
পয়েন্টে বসেছে হকাররা। শিকারীদের কাছ থেকে পোনা সংগ্রহ করে তারা নিয়ে
যাচ্ছে আড়তে। আড়তদারের মাধ্যমে এগুলো স্থানীয় ঘের ছাড়াও চালান হয়ে যাচ্ছে
চালনা, রামপাল, বাগেরহাট, পাইকগাছা, সাতক্ষীরা, ফয়লাসহ দেশের বিভিন্ন
স্থানে।
এদিকে অবাধে বাগদা পোনা শিকার করায় সামুদ্রিক সম্পদ ও
জীববৈচিত্র্য বর্তমানে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। বাগদা পোনা ধরতে গিয়ে
অন্য প্রজাতির কোটি কোটি রেণু পোনা, ডিম ও খাদ্যকণা ধ্বংস হচ্ছে।
একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে জানা গেছে, ২১২টি পোনা এবং ১ হাজার ১টি মাছের খাদ্যকণা জুপাঙ্কটন ও ফাইটো পাঙ্কটন ধ্বংস হয়ে যায়। মৎস্য সম্পদের এ ক্ষতির দিকটি পোনা শিকারী, ঘের মালিক ও ব্যবসায়ীরা বিবেচনায় আনছে না।
মৎস্য সম্পদের মারাত্মক ক্ষতির দিক বিবেচনা করে ২০০০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বাগদা-গলদাসহ সব ধরণের চিংড়ি পোনা এবং প্রাকৃতিক উৎস থেকে অন্যান্য মাছের পোনা আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা কখনোই কার্যকর হয়নি।
তবে অনেকের অভিমত পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাগদা-গলদা পোনা আহরণ বন্ধ করা যাবে না। পোনা আহরণে ক্ষতির পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ খাতকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।
স্থানীয় মৎস্যজীবী এবং প্রবীণ জেলেরা জানান, সচেতনতার অভাব, গলদা-বাগদা পোনা শিকারে ঘন ফাঁসের নেটজালের ব্যবহার, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ, বেহন্তি জালে সব ধরনের মাছ নিধন এবং ডিমওয়ালা মাছ মেরে ফেলার কারণে আশঙ্কাজনক হারে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে জানা গেছে, ২১২টি পোনা এবং ১ হাজার ১টি মাছের খাদ্যকণা জুপাঙ্কটন ও ফাইটো পাঙ্কটন ধ্বংস হয়ে যায়। মৎস্য সম্পদের এ ক্ষতির দিকটি পোনা শিকারী, ঘের মালিক ও ব্যবসায়ীরা বিবেচনায় আনছে না।
মৎস্য সম্পদের মারাত্মক ক্ষতির দিক বিবেচনা করে ২০০০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বাগদা-গলদাসহ সব ধরণের চিংড়ি পোনা এবং প্রাকৃতিক উৎস থেকে অন্যান্য মাছের পোনা আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা কখনোই কার্যকর হয়নি।
তবে অনেকের অভিমত পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাগদা-গলদা পোনা আহরণ বন্ধ করা যাবে না। পোনা আহরণে ক্ষতির পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ খাতকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।
স্থানীয় মৎস্যজীবী এবং প্রবীণ জেলেরা জানান, সচেতনতার অভাব, গলদা-বাগদা পোনা শিকারে ঘন ফাঁসের নেটজালের ব্যবহার, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ, বেহন্তি জালে সব ধরনের মাছ নিধন এবং ডিমওয়ালা মাছ মেরে ফেলার কারণে আশঙ্কাজনক হারে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।