Monday, July 1, 2013

পাইকগাছা পৌরবাসীর দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে

জলাবদ্ধতা, ভাঙ্গাচুরা রাস্তাঘাট ও পর্যাপ্ত সড়ক বাতির অভাব পাইকগাছা পৌরসভার প্রধানতম সমস্যায় রূপ নিয়েছে। পৌরবাসীর এসকল সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের ন্যুনতম ভ্রুক্ষেপ রয়েছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে না। ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাইকগাছা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভা গঠনের দীর্ঘ দেড় যুগ পার হয়ে গেলেও পৌরবাসী প্রত্যাশিত নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। জনদুর্ভোগ দিন দিন শুধু বৃদ্ধিই পাচ্ছে।

প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমে পৌর শহরের বড় একটি অংশ থাকে পানিতে নিমজ্জিত। তাও আবার যদি হয় লবন পানি, তাহলে দুর্ভোগটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা’ সহজেই অনুমেয়। পৌর অভ্যন্তরে লবণ পানির অনুপ্রবেশ আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও চিংড়ি চাষ হয় না এমন কোন ওয়ার্ড নেই এখানে। ছোট-বড় অসংখ্য চিংড়ি ঘের রয়েছে গোটা পৌর এলাকায়। লবণ পানি নিয়ে প্রশ্ন তুললে পৌর কর্তৃপক্ষ বরাবরই পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিদপ্তরকে দোষারোপ করে নিজেদের দায় এড়িয়ে যান। পরিবেশ বিধ্বংসী লবণ পানির প্রভাবে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পৌরবাসী।

শহরের রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অনেক রাস্তায় যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দুঃসাধ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের প্রধান সড়কের ডাকবাংলোর দক্ষিণ পাশে, সিনেমা হলের দক্ষিণ পাশে, হাসপাতাল মোড়, টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ও জিরোপয়েন্টের দক্ষিণ পাশে রাস্তায় বড়-বড় গর্তের কারণে সামান্য বর্ষা হলেই পানি জমে যায়। পৌর অভ্যন্তর হওয়া সত্ত্বেও প্রধান সড়কটি সওজ’র নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ সেই দোহাই দিয়ে আর সংস্কারের ব্যাপারে মাথা ঘামায় না।

এদিকে ৬নং ওয়ার্ডে প্রবেশের মূল সড়ক (আদালত ভবনের পূর্ব পাশ দিয়ে), ৫নং ওয়ার্ডের আল-আমিন মসজিদ সংলগ্ন সড়ক, সরল কালিবাড়ি মন্দিরের পেছনের সড়কসহ অসংখ্য ইটের সড়কের ইট উঠে রাস্তা ভেঙ্গেচুরে যাওয়ায় সেখানে যানবাহন বা পায়ে চলাও কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পৌরবাসীর অভিযোগ, শহরের বেশির ভাগ স্থানে সড়ক বাতি নেই। ফলে সন্ধ্যা নামার সাথেই এক ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয় গোটা শহরজুড়ে। রাতের আধারে পৌর শহরের রাস্তায় চলাফেরা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এলাকায় ছিচকে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক বাতি না থাকার কারনে। পৌর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, লবন পানি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, ভাঙ্গাচুরা রাস্তাঘাট সংস্কার ও পর্যাপ্ত সড়ক বাতি স্থাপনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।