সাগর তীরে দুবলার আলোর কোলে বছর অন্তর উদযাপিত রাস মেলার আয়োজন ও
মেলাস্থলে আসা দর্শার্থীদের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলার আয়োজন করা হয় সুন্দরবন সংলগ্ন
সাগর পাড়ের দুবলার দ্বীপে। উপলেক্ষ পূর্ণিমায় শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা।
এ বছর চলতি মাসের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ এই তিনদিন পূর্ণিমার গোনে উদযাপন হবে রাস মেলা। সাগর ও নদী সংক্রান্ত অন্যান্য দেব-দেবীও এখানে পূঁজিত হন। দুবলার দ্বীপে পুণ্যস্নানে আসা হিন্দুধর্মালম্বীরা মনে করেন এখানে পূর্ণিমা তিথিতে স্নান করলে তাদের মানস কামনা বাসনা পূরণ হয়।
এ মেলায় দেশী বিদেশী পর্যটকসহ লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। তবে প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবনের আশপাশ এলাকার জনসাধারণের সবচেয়ে বড় মিলনস্থল দুবলার এই রাসমেলা। মেলায় আগমন ইচ্ছুক পূণ্যস্ন্যানি ও দর্শনার্থীদের নিছিদ্র নিরাপত্তা দিতে বন বিভাগ ইতিমধ্যেই প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কয়েক বৈঠকও করেছেন।
মেলা উদযাপন ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ সভা হয়েছে গত ৩০ সেপ্টেম্বর খুলনা বনসংরক্ষকের কার্যালয়ে। এ সভাপতিত্ব করেন খুলনার বনসংরক্ষক জহির হোসেন খন্দকার। সভায় পুলিশ, নেভী, কোষ্টগার্ড, র্যাব. জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি মেলা উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব:) জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ ও বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন ।
প্রবীনরা দাবি করেন দুবলার চরের রাস মেলার আয়োজন হয়ে আসছে ২০০শ’ বছর ধরে যদিও এর সঠিক ঐতিহাসিক প্রমাণ মেলে না। ব্রিটিশ আমলে মেলার আয়োজন হতো পশুর নদীর পূর্ব দিকে প্রবাহিত শাখা পশুরের আগা নদীর সাগরসঙ্গমের পশ্চিম তীরে, দুবলা দ্বীপের পূর্ব পাড়ে। পরবর্তী সময়ে দুবলার পশ্চিম প্রান্তে বিশাল চর জেগে উঠলে মেলা স্থানান্তর করে আলোর কোল চরে আনা হয়।
এ মেলার মূল পূণ্যার্থী ছিল প্রথমত সুন্দরবন তীরবর্তী শ্যামনগর, কয়রা দাকোপ রামপাল মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা বরগুনা এলাকার হিন্দু সম্প্রদয়ের লোকজন। মেলার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পাকিস্তান আমল থেকে দেশ-বিদেশের অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজনও মেলার আনন্দ উপভোগ করতে দুবলার মেলায় অংশগ্রহণ শুরু করেন। সুন্দরবনের অন্যতম মাছ ব্যবসায়ী ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) জিয়াউদ্দিনের তত্ত্বাবধনে দুবলার রাস মেলা প্রতিবছর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উৎসবে পরিণত হয়।
মেলার মূল উৎসব তিন দিনের। রাসপূর্ণিমার ব্রাহ্মমুহূর্তের জোয়ারে স্নান ও অর্ঘ্য অপর্ণ শেষ হলেই পূণ্যার্থীরা নৌকা ঘুরিয়ে বাড়িমুখো হয়। মেলা উপলক্ষে বন বিভাগ কিছু লোকদের এখানে আসার আগাম অনুমতি দিয়ে থাকেন। এরা মেলাস্থলে এসে মন্ডপ তৈরী, দেব-দেবীর মূর্তি স্থাপন, বন পরিস্কার ও দোকানপাট বসানো এবং সাজানোর কাজ করে।
এ বছর হরিণ শিকার বন্ধে মেলা উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী।
মেলা উদযাপন কমিটির অন্যতম সমন্বায়ক এ কর্মকর্তা আরো জানান, মেলায় যাওয়ার জন্য সুন্দবনের ভেতর দিয়ে ৮ টি রুট করা হয়েছে। আগ্রহী দর্শনার্থীরা তিন দিনের প্যাকেজে মাথা পিছু বন বিভাগকে ৫০ টাকা রাজস্ব প্রদান সাপেক্ষে তাদের (দর্শনার্থীদের) নিজেদের ব্যবস্থাপনায় মেলাস্থলে যেতে পারবেন। দর্শনার্থীদের যাতায়াত পথে নিরাপত্তার জন্য সার্বণিক কোষ্টগার্ড, পুলিশ, নেভী ও র্যাবের টহল ব্যবস্থা থাকছে।
হরিণ শিকার রোধ ও মেলায় আগন্তুকদের নিরাপত্তায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয় ১৬টি টীম গঠন করা হয়েছে। এ সব টীম হরিণ আধিক্য এলাকায় কঠোর নজরদারিতে থাকবে। মেলা দর্শনার্থীদের কাউকেই রাতের বেলা বনের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
অপরদিকে মেলা উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ জানান, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে মেলায় আগমন ইচ্ছুকদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। ফলে এ বছর মেলার কলেবর কমে গিয়ে বিগত বছরগুলোর তুলনায় দর্শনার্থীদের সংখ্যাও হ্রাস পেতে পারে।
এ বছর চলতি মাসের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ এই তিনদিন পূর্ণিমার গোনে উদযাপন হবে রাস মেলা। সাগর ও নদী সংক্রান্ত অন্যান্য দেব-দেবীও এখানে পূঁজিত হন। দুবলার দ্বীপে পুণ্যস্নানে আসা হিন্দুধর্মালম্বীরা মনে করেন এখানে পূর্ণিমা তিথিতে স্নান করলে তাদের মানস কামনা বাসনা পূরণ হয়।
এ মেলায় দেশী বিদেশী পর্যটকসহ লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। তবে প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবনের আশপাশ এলাকার জনসাধারণের সবচেয়ে বড় মিলনস্থল দুবলার এই রাসমেলা। মেলায় আগমন ইচ্ছুক পূণ্যস্ন্যানি ও দর্শনার্থীদের নিছিদ্র নিরাপত্তা দিতে বন বিভাগ ইতিমধ্যেই প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কয়েক বৈঠকও করেছেন।
মেলা উদযাপন ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ সভা হয়েছে গত ৩০ সেপ্টেম্বর খুলনা বনসংরক্ষকের কার্যালয়ে। এ সভাপতিত্ব করেন খুলনার বনসংরক্ষক জহির হোসেন খন্দকার। সভায় পুলিশ, নেভী, কোষ্টগার্ড, র্যাব. জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি মেলা উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব:) জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ ও বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন ।
প্রবীনরা দাবি করেন দুবলার চরের রাস মেলার আয়োজন হয়ে আসছে ২০০শ’ বছর ধরে যদিও এর সঠিক ঐতিহাসিক প্রমাণ মেলে না। ব্রিটিশ আমলে মেলার আয়োজন হতো পশুর নদীর পূর্ব দিকে প্রবাহিত শাখা পশুরের আগা নদীর সাগরসঙ্গমের পশ্চিম তীরে, দুবলা দ্বীপের পূর্ব পাড়ে। পরবর্তী সময়ে দুবলার পশ্চিম প্রান্তে বিশাল চর জেগে উঠলে মেলা স্থানান্তর করে আলোর কোল চরে আনা হয়।
এ মেলার মূল পূণ্যার্থী ছিল প্রথমত সুন্দরবন তীরবর্তী শ্যামনগর, কয়রা দাকোপ রামপাল মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা বরগুনা এলাকার হিন্দু সম্প্রদয়ের লোকজন। মেলার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পাকিস্তান আমল থেকে দেশ-বিদেশের অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজনও মেলার আনন্দ উপভোগ করতে দুবলার মেলায় অংশগ্রহণ শুরু করেন। সুন্দরবনের অন্যতম মাছ ব্যবসায়ী ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) জিয়াউদ্দিনের তত্ত্বাবধনে দুবলার রাস মেলা প্রতিবছর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উৎসবে পরিণত হয়।
মেলার মূল উৎসব তিন দিনের। রাসপূর্ণিমার ব্রাহ্মমুহূর্তের জোয়ারে স্নান ও অর্ঘ্য অপর্ণ শেষ হলেই পূণ্যার্থীরা নৌকা ঘুরিয়ে বাড়িমুখো হয়। মেলা উপলক্ষে বন বিভাগ কিছু লোকদের এখানে আসার আগাম অনুমতি দিয়ে থাকেন। এরা মেলাস্থলে এসে মন্ডপ তৈরী, দেব-দেবীর মূর্তি স্থাপন, বন পরিস্কার ও দোকানপাট বসানো এবং সাজানোর কাজ করে।
এ বছর হরিণ শিকার বন্ধে মেলা উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী।
মেলা উদযাপন কমিটির অন্যতম সমন্বায়ক এ কর্মকর্তা আরো জানান, মেলায় যাওয়ার জন্য সুন্দবনের ভেতর দিয়ে ৮ টি রুট করা হয়েছে। আগ্রহী দর্শনার্থীরা তিন দিনের প্যাকেজে মাথা পিছু বন বিভাগকে ৫০ টাকা রাজস্ব প্রদান সাপেক্ষে তাদের (দর্শনার্থীদের) নিজেদের ব্যবস্থাপনায় মেলাস্থলে যেতে পারবেন। দর্শনার্থীদের যাতায়াত পথে নিরাপত্তার জন্য সার্বণিক কোষ্টগার্ড, পুলিশ, নেভী ও র্যাবের টহল ব্যবস্থা থাকছে।
হরিণ শিকার রোধ ও মেলায় আগন্তুকদের নিরাপত্তায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয় ১৬টি টীম গঠন করা হয়েছে। এ সব টীম হরিণ আধিক্য এলাকায় কঠোর নজরদারিতে থাকবে। মেলা দর্শনার্থীদের কাউকেই রাতের বেলা বনের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
অপরদিকে মেলা উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ জানান, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে মেলায় আগমন ইচ্ছুকদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। ফলে এ বছর মেলার কলেবর কমে গিয়ে বিগত বছরগুলোর তুলনায় দর্শনার্থীদের সংখ্যাও হ্রাস পেতে পারে।