উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত পাইকগাছা, কপিলমুনি-তালা টু আঠারমাইল সড়কটি।
প্রায় ৯ মাস যাবৎ পরিবহন সহ ভারী যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নেই মেরামত
বা সংস্কারের কোন উদ্যোগ। শুধুমাত্র আন্তরিকতার অভাবে নাগরিক সুবিধাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন
উন্নয়ন হচ্ছে না। অবশেষে ৬ ফেব্রুয়ারি সড়কটির ভয়াবহ চিত্র জাতীয় সংসদে তুলে ধরে সংস্কারের দাবি জানান, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক।
ছবিটি পাইকগাছা ও তালা উপজেলার সীমান্তবর্তী সড়ক থেকে তোলা। (ফাইল ফটো) |
সড়কের অবস্থা এতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যানবহনতো দুরের কথা সাধারন মানুষ পায়ে হেটে চলতে পারেনা। বন্ধ হয়ে গেছে পরিবহন সহ ভারী যান চলাচল। চরম ভোগান্তির শিকার কয়রা, পাইকগাছা, তালা সহ বিভিন্ন উপজেলার মানুষ। বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে ব্যবসা বানিজ্য।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, আঠারমাইল থেকে তালা-কপিলমুনি টু পাইকগাছার ৩০ কিলোমিটার সড়কের সর্বত্র সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খাদ। প্রতিদিন দূর্ঘটনা লেগেই আছে। শুধুমাত্র হুস হচ্ছে না সরকার বা দায়িত্বশীলদের। বর্ষা মৌসুমে সড়কের তালা বাজারে কপোতাক্ষের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাবার কারনে ঐসব এলাকায় যান বহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা সহ নানান সংগঠন গুলি চিৎকার করলেও সরকারে ৫ বছরেও সড়কটি মেরামত বা পুনঃসংস্কার হয়নি। ফলে ক্ষুদ্ধ এই অঞ্চলের প্রায় ৫ লক্ষাধীক মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমিক শ্রেনীর মানুষেরা। বাঁচার তাগিদে ভ্যান গাড়ী বা ইজ্ঞিন চালিত বাইক নিয়ে সড়কে চলাচল করতে গিয়ে যে টাকা আয় করছে তার চেয়ে দ্বিগুন টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে যানবহন মেরামতের জন্য।
এই সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়রা, পাইকগাছা, তালা এই তিনটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ চলাচল করছে আর গালিগালাজ করছে। অথচ এ বিষয়ে মহাজোট সরকারের প্রভাবশালী সাবেক দুই সংসদ সদস্য নেননি কোন ভূমিকা।
তাছাড়া, আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এই সড়কে রয়েছে প্রায় ৫৬ টি বিপদজনক মোড়। এই সড়কের জাতপুর বাজার, তালা বাজার, কপিলমুনি বাজার, মামুদকাটি মোড়, আগড়ঘাটা বাজার, গদাইপুর, নুতন হাট খোলা, পাইকগাছা পৌরসভা প্রভৃত এলাকায় সড়কের উপর যত্রতত্রভাবে ভ্যান ও নসিমন করিমন রেখে যানজোট সৃষ্টি সহ যাত্রীবাহী মিনিবাস ষ্ট্যান্ডে না দাঁড়িয়ে ঐসব বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় যানজোট লেগেই আছে। বিষয়টি নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ঠদের।
অথচ এই অঞ্চলের উৎপাদিত হিমায়িত চিংড়ি, কাঁকড়া, কুচে বিদেশে রফতানি করে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে আসছে। শুধুমাত্র আন্তরিকতার অভাবে নাগরিক সুবিধাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। ফলে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তিমেতেই থেকে যাচ্ছে।