Friday, March 7, 2014

পাইকগাছায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের স্মারকলিপি প্রদান

সদ্য ঘোষিত বাস্তবায়নাধীন বৈষম্যপূর্ণ বেতন স্কেল সংশোধনপূর্বক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচের স্কেল প্রদান, সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিতকরণের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন খুলনার পাইকগাছার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ।

শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবিরউদ্দীনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপির মাধ্যমে উপজেলার কর্মরত সহকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন বর্তমান সরকার প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা প্রদান ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। যা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাস্তবায়নাধীন স্কেলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে একদিকে শ্রেণীগত বৈষম্য, অপরদিকে তিন ধাপ নিচে বেতন বৈষম্য রেখে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। এ ধরণের স্কেল বাস্তবায়ন হলে সহকারী শিক্ষকদের কর্মক্ষেত্রে একই যোগ্যতা নিয়ে প্রবেশ করে বিরাট বৈষম্যে শিকার হতে হবে।

এ জন্য স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে সারা দেশে কর্মরত সাড়ে ৩ লাখ সহকারী শিক্ষকদের কল্যাণে “প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে রেখে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রণয়ন, সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে বিভাগীয় সর্বোচ্চ পদে উপজেলা ও জেলা কোটা বহাল রেখে শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, চাকুরীর মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে সহকারী শিক্ষকদের ২য় শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান, শিক্ষক পরিবারের সুচিকিৎসা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাব পূরণে স্থায়ী চিকিৎসা কার্ড ও রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা, বিদ্যালয়ে পাঠদান সময়সূচী সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পূননির্ধারণ করা, প্রাথমিক শিক্ষকদের অর্জিত ছুটির বিধান প্রণয়ন করা, মাসিক সমন্বয় সভা ও উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কমিটিসহ যাবতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কমিটিতে সহকারী শিক্ষক প্রতিনিধি রাখা ও জাতীয় দিবসের পরের দিন বিদ্যালয় ছুটি সহ সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন নির্ধারণ করা” সহ বিভিন্ন দাবী সম্বলিত সুপারিশ পুনঃবিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান, শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার, শহিদুল ইসলাম, কহিনুর ইসলাম, বি,এম, আক্তার হোসেন, জি,এম, আলমগীর কবির, মিলন দাশ, এনামুল, ভবজিৎ, রাজ্জাক, অনাদি কুমার সরকার, সুশান্ত কুমার বিশ্বাস, অমিয় কুমার দাশ, সঞ্জয় দেবনাথ, আব্দুস সালাম, আবু সাঈদ ও আব্দুল আলিম।