নরসিংদীর পলাশের কাজিরচর এলাকার এম এ ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় শিশু'সহ
১৪ জনকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত গত
রোববার রাত ১১টা দিকে তাঁদের উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ইটভাটার মালিক আবদুল আজিজকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারটি শিশু ও ১০ জন শ্রমিক রয়েছে। তাদের সকলের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়।
শিউলি আক্তার ও আয়েশা আক্তার নামে দুই শ্রমিক জানান, 'ইটভাটায় রাতের বেলা তালাবদ্ধ করে ও দিনের বেলা পাহারা দিয়ে রাখা হতো তাদের। সপ্তাহে তিন দিন কিছু চাল আর অল্প সবজি দিত। আর তিন দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইকবাল ও সোহেল পালিয়ে যাওয়ার পর রাতে মুসা, মকবুল ও আরেকজন ঘরে ঢুকে দুই মেয়েকে নির্যাতন ও মারধর করে।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া লোকজন জানান, গত বছরের অক্টোবরে মানিকগঞ্জের মোবারক হোসেন নামের এক শ্রমিক সর্দারের সঙ্গে চুক্তিতে পাইকগাছার ৪৫ জন এম এ ব্রিকসে শ্রমিক হিসেবে যোগ দেন।
গত ডিসেম্বরে মোবারক হোসেন ইটভাটার মালিক আবদুল আজিজের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। এতে মালিক ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের মজুরি না দিয়ে তাঁদের আটকে রেখে শুধু কাজ করান। এ কারণে বিভিন্ন সময় প্রায় ৩৫ জন শ্রমিক পালিয়ে যায়। এরপর নজরদারি বাড়িয়ে দেয়ায় বাকিরা পালাতে পারেননি।
জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইকবাল ও সোহেল মিয়া পালিয়ে গিয়ে সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট নামের একটি মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ পাঠান।
এরপর গত রোববার রাতে জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরে ইটভাটা থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার এবং একজন মালিকসহ ২ জনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনায় ইটভাটার মালিক আবদুল আজিজকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারটি শিশু ও ১০ জন শ্রমিক রয়েছে। তাদের সকলের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়।
শিউলি আক্তার ও আয়েশা আক্তার নামে দুই শ্রমিক জানান, 'ইটভাটায় রাতের বেলা তালাবদ্ধ করে ও দিনের বেলা পাহারা দিয়ে রাখা হতো তাদের। সপ্তাহে তিন দিন কিছু চাল আর অল্প সবজি দিত। আর তিন দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইকবাল ও সোহেল পালিয়ে যাওয়ার পর রাতে মুসা, মকবুল ও আরেকজন ঘরে ঢুকে দুই মেয়েকে নির্যাতন ও মারধর করে।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া লোকজন জানান, গত বছরের অক্টোবরে মানিকগঞ্জের মোবারক হোসেন নামের এক শ্রমিক সর্দারের সঙ্গে চুক্তিতে পাইকগাছার ৪৫ জন এম এ ব্রিকসে শ্রমিক হিসেবে যোগ দেন।
গত ডিসেম্বরে মোবারক হোসেন ইটভাটার মালিক আবদুল আজিজের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। এতে মালিক ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের মজুরি না দিয়ে তাঁদের আটকে রেখে শুধু কাজ করান। এ কারণে বিভিন্ন সময় প্রায় ৩৫ জন শ্রমিক পালিয়ে যায়। এরপর নজরদারি বাড়িয়ে দেয়ায় বাকিরা পালাতে পারেননি।
জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইকবাল ও সোহেল মিয়া পালিয়ে গিয়ে সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট নামের একটি মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ পাঠান।
এরপর গত রোববার রাতে জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরে ইটভাটা থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার এবং একজন মালিকসহ ২ জনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।