Thursday, May 1, 2014

পাইকগাছা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট ভবনের বেহাল দশা

পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনের বিচারকের এজলাস কক্ষটি যেকোন মুহূর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কায় গতকাল বুধবার থেকে পার্শ্ববর্তী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনের এজলাস কক্ষে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন বিচারকগণ’সহ সংশ্লিষ্টরা।

ফাইল ফটো
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবন ও তৎসংলগ্ন সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভবনের ফাটল ও প্লাস্টার খসে পড়ায় বারবার সিমেন্ট-বালির প্রলেপ দিয়ে ক্ষতস্থান সমূহ ঢেকে দেয়া হচ্ছে (যদিও সম্প্রতি উক্ত এজলাস কক্ষ দু’টি ১০ ফুট করে বর্ধিতকরণ কাজ শুরু হয়েছে)। অথচ আদালত ভবনের সব ক’টি কক্ষ এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে শুধু সংস্কার নয় গোটা ভবন ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করা না হলে যেকোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।

গতকাল বুধবার দুপুরে আদালত ভবন ঘুরে দেখা গেছে, ভয়াবহ সব ফাটলের দৃশ্য। উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের মাথার ঠিক উপরে বীমে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই বীমেই ঝুলছে ফ্যান। জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের খাস কামরার পাশেই নকলখানার কক্ষের ছাদের প্লাস্টার ইতোমধ্যে একাধিকবার খসে পড়েছে। সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের এজলাস ও নকলখানা কক্ষের ছাদেও রয়েছে বড় ধরনের ফাটল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট বিচারকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অনেকটা হতাশার সাথে এক কর্মকর্তা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত কক্ষের অভাবে আদালতের জরুরী ফাইলপত্র নিরাপদে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। নকলখানা ফাইলপত্রে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় কক্ষটি শুধু ফাইলের রুমেই পরিণত হয়েছে। আবার যত্রতত্র ফাইলগুলো রাখায় জরুরী কোন ফাইল যেকোন সময় খোয়া যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্রমতে, আড়াই বছর আগে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এবং গত বছর ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আদালত ভবনের সংস্কার কাজ করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে নতুন করে নির্মাণসহ আদালত ভবনের কক্ষ বৃদ্ধি ও বড় করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

আইনজীবী সমিতি সভাপতি এ্যাডঃ জি,এম আঃ সাত্তার বলেন, লবণ পানির এলাকা হওয়ায় আশির দশকে নির্মিত আদালত ভবন ইতিমধ্যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উভয় আদালতের এজলাস কক্ষ তুলনামূলক খুবই ছোট। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আইনজীবীদের বসতেও ব্যাপক অসুবিধা হয়। এছাড়া আদালত ভবন সংলগ্ন সামনের ছাউনিটিও ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেখানে আদালত চলাকালীন সময় ২০/৩০ জনেরও বেশি বিচারপ্রার্থী অবস্থান করে থাকেন।