হুমকির মুখে জীব বৈচিত্র ও ডলফিনের অস্তিত্ব
সুন্দরবনের অভয়াশ্রমের মধ্য দিয়ে চালু হওয়া নৌপথ এখনও বন্ধ হয়নি। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র ও ডলফিনের অস্তিত্ব। বন পরিবেশ মন্ত্রাণালয় গত বছর সুন্দরবনের তিনটি এলাকায় ৩১.৪ কি:মি: নদী ও খাল ডলফিনের জন্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। অভয়াশ্রম ঘোষণার পরও এখানে অবাধে বিভিন্ন প্রকার জাল ও নেট দিয়ে মাছ শিকার চলছে। বন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া এ অভয়াশ্রমের মধ্য নতুন চালু হওয়া অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নৌ-রুটের ফলে সুন্দরবনের অভয়াশ্রমে ডলফিন আশ্রয়হীন পড়েছে। এই নতুন নৌ-রুট চালুতে ডলফিনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ল্ড লাইফ
কনজারভেশন সোসাইটি এনওয়াই ও বাংলাদেশ সিটাসিন ডইভারসিটি প্রজেক্টের দেশি
বিদেশি প্রাণি বিশেষঞ্জ, গত সাড়ে ৩ বছর আগে সুন্দরবনসহ বঙ্গোপসাগরে ব্যাপক
অনুসন্ধান চালিয়ে বিলুপ্ত প্রজাতির ইরাবতিসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন ও এক
প্রজাতির তিমির সন্ধান পান। এরপর প্রজেক্টেড এরিয়ার নেটওয়ার্কের ঘরসিটাসিন
ডইভারসিটি (প্যানসিডি) নামক একটি প্রকল্প তৈরি করে পূর্ব সুন্দরবন বনবিভাগ
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠায়।
ডলফিন রক্ষায় প্যান সিডি প্রকল্প বাস্তবায়নে সুন্দরবন পূর্ব-উত্তর কোনে ঘাগড়ামারি ক্যাম্প হতে টেংরামারি স্টেশন হয়ে করমজল পেট্রোল পোস্ট পর্যন্ত ১০.১ কি: মি: চ্যানেল, সুন্দরবনের জোংড়া পেট্রোল পোষ্ট হতে পশুর নদী নন্দবালা মিরাগামারি ক্যাম্প বরাবর শ্যাওলা নদী দিয়ে আন্দরমানিক ক্যাম্প পর্যন্ত উরুবুনিয়া খাল হয়ে চাঁদপাই খাল থেকে ১৫.৮ কি: মি: চ্যানেল এবং দুধখালি ক্যাম্প সংলগ্ন খালের ২ কি: মি: উত্তরে বেতবুনিয়া খাল হতে বড়শিয়ালা খাল ও দক্ষিণে ভোলা নদী পর্যন্ত ৫.৫ কি: মি:। সর্বমোট সুন্দরবনের ৩১.৪ কি: মি:। নদী ও খাল চ্যানেলে ফাঁস জাল, কারেন্ট জাল, বেন্দী জাল, নেটজাল ও রেনু পোনা, ধরাজাল দিয়ে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে ডলফিনের অভয়াশ্রম কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়।
অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের নদ-নদীসহ বঙ্গোপসাগরে সোয়াস অব নৌ গ্রাউন্ডে ডলফিনের চারণক্ষেত্র বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫ হাজার ৪ শত ইরাবতি ডলফিন রয়েছে। তাছাড়াও এ জলাশয়ের ১৩টি স্পটে ৪০টি ইন্দো প্যাসিফিক হ্যাম্প, ব্যাস্ট, ডলফিন দেখা গেছে। উপকূল থেকে ১১ মাইল সুন্দরবনের মধ্যে ১৩৮২টি ফিনলেস ১ হাজার ইন্দো প্যাসিফিক বটল নোস ডলফিন দেখা গেছে। সুন্দরবন উপকূলের ১৪টি স্পটে স্পিনার দেখা গেছে ৮টি স্পটে, সন্ধান মিলেছে ৮ শত স্পটেড ডলফিনের।
তাছাড়া সুন্দরবনসহ উপকূলের ১৩টি স্পটে ২২৫টি গাংগেজ রিভার ডলফিনের দেখা মিলেছে। এছাড়া ব্রাইডস হোয়েলস প্রজাতির ৫০টি তিমি দেখা গেছে। এমন কি উপকূলের কপোতাক্ষ, শিবসাসহ বিভিন্ন নদীতে মাঝে মাঝে ডলফিনের দেখা মেলে। প্যানসিডি প্রকল্পে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরসহ সুন্দরবনের নদ নদী পানি ও পানির উষ্ণতা ইরাবতি ডলফিনের বংশ বৃদ্ধির জন্য খুবই সহায়ক। এই এলাকার চিংড়ি রেণু পোনা আহরণে নেট জাল ও কারেন্ট জাল অবাধে ব্যবহারে ইরাবতি ডলফিনের বংশ বৃদ্ধিও চরম হুমকির মুখে পড়েছে।
২০১১ সালের নভেম্বরে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে নৌপথ চালু হয়। তখন দিনে ২০ থেকে ২৫টি নৌযান চলাচল করত। বর্তমানে কার্গো, ওয়েল ট্যাংকারসহ ১০০ থেকে ১৫০টি নৌযান চলাচল করছে। বন আইন অনুযায়ী সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে এ ধরণের চলাচল নিষিদ্ধ। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ অনুযায়ী জাতিসংঘের রামসার কনভেনশন অনুযায়ী সুন্দরবন আন্তর্জতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। এই কনভেনশনে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে। ঐ শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর কোন ধরণের তৎপরতা চালাবে না। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান, সুন্দরবনের ৩১ কি:মি: জলসীমায় ডলফিনের অভয়াশ্রমের বুক চিরে এখন অভ্যন্তরীণ ও আন্তজাতিক নৌ-রুটের বার্জ, অয়েল ট্যাংকার চলাচল করছে। বন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে নতুন অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট চালু করায় ডলফিনের সংরক্ষণ ও প্রজনন চরম হুমকির মুখে পড়েছে।
ডলফিন রক্ষায় প্যান সিডি প্রকল্প বাস্তবায়নে সুন্দরবন পূর্ব-উত্তর কোনে ঘাগড়ামারি ক্যাম্প হতে টেংরামারি স্টেশন হয়ে করমজল পেট্রোল পোস্ট পর্যন্ত ১০.১ কি: মি: চ্যানেল, সুন্দরবনের জোংড়া পেট্রোল পোষ্ট হতে পশুর নদী নন্দবালা মিরাগামারি ক্যাম্প বরাবর শ্যাওলা নদী দিয়ে আন্দরমানিক ক্যাম্প পর্যন্ত উরুবুনিয়া খাল হয়ে চাঁদপাই খাল থেকে ১৫.৮ কি: মি: চ্যানেল এবং দুধখালি ক্যাম্প সংলগ্ন খালের ২ কি: মি: উত্তরে বেতবুনিয়া খাল হতে বড়শিয়ালা খাল ও দক্ষিণে ভোলা নদী পর্যন্ত ৫.৫ কি: মি:। সর্বমোট সুন্দরবনের ৩১.৪ কি: মি:। নদী ও খাল চ্যানেলে ফাঁস জাল, কারেন্ট জাল, বেন্দী জাল, নেটজাল ও রেনু পোনা, ধরাজাল দিয়ে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে ডলফিনের অভয়াশ্রম কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়।
অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের নদ-নদীসহ বঙ্গোপসাগরে সোয়াস অব নৌ গ্রাউন্ডে ডলফিনের চারণক্ষেত্র বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫ হাজার ৪ শত ইরাবতি ডলফিন রয়েছে। তাছাড়াও এ জলাশয়ের ১৩টি স্পটে ৪০টি ইন্দো প্যাসিফিক হ্যাম্প, ব্যাস্ট, ডলফিন দেখা গেছে। উপকূল থেকে ১১ মাইল সুন্দরবনের মধ্যে ১৩৮২টি ফিনলেস ১ হাজার ইন্দো প্যাসিফিক বটল নোস ডলফিন দেখা গেছে। সুন্দরবন উপকূলের ১৪টি স্পটে স্পিনার দেখা গেছে ৮টি স্পটে, সন্ধান মিলেছে ৮ শত স্পটেড ডলফিনের।
তাছাড়া সুন্দরবনসহ উপকূলের ১৩টি স্পটে ২২৫টি গাংগেজ রিভার ডলফিনের দেখা মিলেছে। এছাড়া ব্রাইডস হোয়েলস প্রজাতির ৫০টি তিমি দেখা গেছে। এমন কি উপকূলের কপোতাক্ষ, শিবসাসহ বিভিন্ন নদীতে মাঝে মাঝে ডলফিনের দেখা মেলে। প্যানসিডি প্রকল্পে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরসহ সুন্দরবনের নদ নদী পানি ও পানির উষ্ণতা ইরাবতি ডলফিনের বংশ বৃদ্ধির জন্য খুবই সহায়ক। এই এলাকার চিংড়ি রেণু পোনা আহরণে নেট জাল ও কারেন্ট জাল অবাধে ব্যবহারে ইরাবতি ডলফিনের বংশ বৃদ্ধিও চরম হুমকির মুখে পড়েছে।
২০১১ সালের নভেম্বরে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে নৌপথ চালু হয়। তখন দিনে ২০ থেকে ২৫টি নৌযান চলাচল করত। বর্তমানে কার্গো, ওয়েল ট্যাংকারসহ ১০০ থেকে ১৫০টি নৌযান চলাচল করছে। বন আইন অনুযায়ী সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে এ ধরণের চলাচল নিষিদ্ধ। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ অনুযায়ী জাতিসংঘের রামসার কনভেনশন অনুযায়ী সুন্দরবন আন্তর্জতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। এই কনভেনশনে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে। ঐ শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর কোন ধরণের তৎপরতা চালাবে না। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান, সুন্দরবনের ৩১ কি:মি: জলসীমায় ডলফিনের অভয়াশ্রমের বুক চিরে এখন অভ্যন্তরীণ ও আন্তজাতিক নৌ-রুটের বার্জ, অয়েল ট্যাংকার চলাচল করছে। বন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে নতুন অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট চালু করায় ডলফিনের সংরক্ষণ ও প্রজনন চরম হুমকির মুখে পড়েছে।