Friday, August 29, 2014

জাতীয় শোক দিবসে পরিষদ ভবনে বিলম্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে....

পাইকগাছায় গণশুনানীতে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের দোষ স্বীকার


পাইকগাছার কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে পরিষদ ভবনে বিলম্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণশুনানীতে দোষ স্বীকার করে ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলন কমিটির আহবায়ক মোঃ কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া খোদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় সংগঠণ স্থানীয় আ’লীগের পদ-পদবীধারী নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও তারা কেউ মুখ খুলেননি। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে পতাকা অবমাননার অভিযোগে ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবী করেছেন।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিষদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের গুরুত্বর অভিযোগ উঠে এবং এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ গণশুনানীর ব্যবস্থা করা হয়।

গতকালের শুনানীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী করে ব্যবসায়ী আব্দুর রব মিঠু বলেন, ইতিপূর্বে ২৬ মার্চেও পরিষদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। ১৫ আগস্ট দুপুরের পর অত্যন্ত অসম্মানজনকভাবে পরিষদে পতাকা উত্তোলন করা হয় বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ আফছার আলী বিভিন্ন জায়গায় পতাকা টানানো হয়নি উল্লেখ করে জানান, যেহেতু ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বররা দুঃখ প্রকাশ করে ভুল স্বীকার করেছেন সে কারণে এ নিয়ে বাড়াবাড়ির দরকার নেই। তিনি স্থানীয় এমপির নিকট সুপারিশ করেছেনও বলে সভায় অবহিত করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, থানার ওসি শিকদার আককাস আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ত্রিদেব মিত্র, প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ ও সম্পা আক্তার, নির্মল মজুমদার, যুগোল কিশোর দে, গোলাম মোস্তফা, বুলবুল আহমেদ, ভুমি কর্মকর্তা মাহামুদ হক’সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।