দক্ষিনাঞ্চলের সুন্দরবনের পাদদেশে অবস্থিত কয়রা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে
মাহাতো জনগোষ্টী আদিবাসী মুন্ডারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছে। আধুনিক সভ্যতার
যুগেও আদিম জীবন অভ্যস্ত এরা। কিছু কিছু আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা
আধুনিকতার সামান্য ছোয়া পেলেও অধিকাংশই আধুনিকতা থেকে বঞ্চিত। অক্ষর
জ্ঞানহীন এবং অত্যান্ত সরল বিশ্বাসী হওয়ায় প্রতারকের খপ্পরে পড়ে কয়রায়
বসবাসকারী আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা অনেকেই এখন নিঃস্ব।
পাউবোর
বেড়ী বাধের ছোলপ মহাজনের পরিত্যাক্ত জমি অথবা জনবসতি এলাকার যেকোন এক কোনায়
এদের মাথা গোজার ঠাই। জীবনের তাগিদে এরা বেছে নিয়েছে বিভিন্ন পেশা। কেই
অন্যের জমিতে ক্ষেতে দিন মজুরের কাজ করে কেউ বনে জঙ্গলে মাছ ধরে কেউ
গৃহপালিত পশুর খোজ করনের কাজ করে। কয়রা উপজেলার কয়রা সদর, উত্তরবেদকাশী,
দক্ষিন বেদকাশী এই ৩টি ইউনিয়নে আদিবাসীদের নিবাস। জীবন যুদ্ধ আদিবাসীদের
নিত্যদিনের সঙ্গী।
নিজের বলতে যা ছিলো কালের বিবর্তনে তা বেহাত হয়ে গেছে। নিজ আদিভুমিতে তারা এখন অন্যের প্রজা। আদিবাসী পরিবারের নারী পুরুষ সবাই পরিবারের জীবিকার তাগিদে ঘরে বাইরে কাজ করে। তার পরেও দুঃখ দৈন্য তাদের ছেড়ে যেতে চায়না। আদিবাসীদের অভাবের সংসারে তাদের শিশুরা জন্মের পরেও দুঃখ কষ্টের সঙ্গে নিবিড় ভাবে পরিচিত হয়। হাতে গোনা কিছু শিশু ছাড়া অধিকাংশ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। পিতা মাতার কষ্টের সংসারে তারাও সে কষ্টের ভাগ নেয় হাসিমুখে।
এমনই ৩ আদিবাসী শিশুর সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। কয়রা ইউনিয়নের ৬নং গ্রামের অমল মুন্ডার ছেলে চিনময়, রাখাল মুন্ডার ছেলে অচিন্ত মুন্ডা, দিনাবন্ধু মুন্ডার ছেলে ভগিরাত মুন্ডা। এদের সকলের বয়স ৯/১০ বছর। তারা গত রবিবার সকালে ৬নং কয়রা গ্রামের আতিয়ার ঢালীর বাড়িতে ঢিল ভাঙ্গার কাজ করছিল।
নাম জিজ্ঞাসা করতেই অনেকটা ভীত হলো তারা, মনে করছে কি জিজ্ঞাসা করবে। এমনই অন্তহীন সমস্যায় এরা ৬নং কয়রা গ্রামের গ্রামীন প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ে। তারা জানায় অভাব অনটনের সংসারে পিতা মাতার সহযোগিতায় এত পরিশ্রমের কাজ করছে। ঢিল ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একজনের হাতে ফোসকা উঠলে হাতটি ঢেকে রাখতে চাইলেও ঢেকে রাখতে পারিনি।
শিশুদের চোখে মুখে যে কষ্টের ছাপ পড়ে আছে তার পরও করার কিছুই নেই। রোজগার করেই তাদের দুমুঠো ভাত মুখে দিতে হবে। দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের ছোট আংটিহারা গ্রামের আদিবাসী মুন্ডা এলাকায় ঘুরে দেখা যায় অনেক শিশুরা অনাদরে অবহেলায় পড়ে আছে। সবিতা (৭) দিপালী (১৩) নিলিমা (১০) এরা সবাই নদীতে রেনু পোনা ধরার কাজ করছে। ওরা বিদ্যালয়ে যায়না পরিবারের সহযোগিতা করা একমাত্র কাজ হিসাবে বেছে নিয়েছে।
তাদের দাবী সরকারের একটু পৃষ্টপোষকতা পেলে মাথা গোজার ঠাই পেয়ে তারা অন্যদের মত জীবন যাপন করতে পারতো। এর অনেকে অনেক পরিশ্রমের কাজ করে থাকে। প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের বাড়িতে কাজ কতে যেয়ে অনেক সময় মালিক পক্ষ বকাঝকা করে, এমনকি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়। এতকিছুতেই তাদের তেমন কোন দুঃখ নেই। জন্ম থেকেই পিতামাতার জীবন সংগ্রাম দেখে তারাও জীবন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
নিজের বলতে যা ছিলো কালের বিবর্তনে তা বেহাত হয়ে গেছে। নিজ আদিভুমিতে তারা এখন অন্যের প্রজা। আদিবাসী পরিবারের নারী পুরুষ সবাই পরিবারের জীবিকার তাগিদে ঘরে বাইরে কাজ করে। তার পরেও দুঃখ দৈন্য তাদের ছেড়ে যেতে চায়না। আদিবাসীদের অভাবের সংসারে তাদের শিশুরা জন্মের পরেও দুঃখ কষ্টের সঙ্গে নিবিড় ভাবে পরিচিত হয়। হাতে গোনা কিছু শিশু ছাড়া অধিকাংশ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। পিতা মাতার কষ্টের সংসারে তারাও সে কষ্টের ভাগ নেয় হাসিমুখে।
এমনই ৩ আদিবাসী শিশুর সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। কয়রা ইউনিয়নের ৬নং গ্রামের অমল মুন্ডার ছেলে চিনময়, রাখাল মুন্ডার ছেলে অচিন্ত মুন্ডা, দিনাবন্ধু মুন্ডার ছেলে ভগিরাত মুন্ডা। এদের সকলের বয়স ৯/১০ বছর। তারা গত রবিবার সকালে ৬নং কয়রা গ্রামের আতিয়ার ঢালীর বাড়িতে ঢিল ভাঙ্গার কাজ করছিল।
নাম জিজ্ঞাসা করতেই অনেকটা ভীত হলো তারা, মনে করছে কি জিজ্ঞাসা করবে। এমনই অন্তহীন সমস্যায় এরা ৬নং কয়রা গ্রামের গ্রামীন প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ে। তারা জানায় অভাব অনটনের সংসারে পিতা মাতার সহযোগিতায় এত পরিশ্রমের কাজ করছে। ঢিল ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একজনের হাতে ফোসকা উঠলে হাতটি ঢেকে রাখতে চাইলেও ঢেকে রাখতে পারিনি।
শিশুদের চোখে মুখে যে কষ্টের ছাপ পড়ে আছে তার পরও করার কিছুই নেই। রোজগার করেই তাদের দুমুঠো ভাত মুখে দিতে হবে। দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের ছোট আংটিহারা গ্রামের আদিবাসী মুন্ডা এলাকায় ঘুরে দেখা যায় অনেক শিশুরা অনাদরে অবহেলায় পড়ে আছে। সবিতা (৭) দিপালী (১৩) নিলিমা (১০) এরা সবাই নদীতে রেনু পোনা ধরার কাজ করছে। ওরা বিদ্যালয়ে যায়না পরিবারের সহযোগিতা করা একমাত্র কাজ হিসাবে বেছে নিয়েছে।
তাদের দাবী সরকারের একটু পৃষ্টপোষকতা পেলে মাথা গোজার ঠাই পেয়ে তারা অন্যদের মত জীবন যাপন করতে পারতো। এর অনেকে অনেক পরিশ্রমের কাজ করে থাকে। প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের বাড়িতে কাজ কতে যেয়ে অনেক সময় মালিক পক্ষ বকাঝকা করে, এমনকি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়। এতকিছুতেই তাদের তেমন কোন দুঃখ নেই। জন্ম থেকেই পিতামাতার জীবন সংগ্রাম দেখে তারাও জীবন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।