প্রাকৃতিক সম্পদের লীলাভূমি পর্যটন শিল্পের অপর সম্ভবনাময় দেশ বাংলাদেশ।
অর্থনীতির একটি বিশেষ খাত পর্যটন। অনন্য সৌন্দর্যের এ দেশে বিদেশীদের
ভ্রমনে আকৃষ্ট করে বিভিন্ন ধরণের সেবা ও
সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে উজ্জ্ল সম্ভাবনা রয়েছে।
সুন্দরবন হতে পারে দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শিল্প।
২৭
সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি
পর্যটন মন্ত্রনালয়, ট্যুরিজম বোর্ড, পর্যটন কর্পোরেশন, এনজিওসহ বিভিন্ন
সংগঠন দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সব সম্পদ
সমূহের আলোক চিত্র, তথ্য চিত্র তুলে ধরে দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমনে
আকৃষ্ট করতে গ্রহন করেছে র্যালী, সভা, সেমিনারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ।
প্রকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। অপরিমেয় সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে এদেশে। অথচ বহুমুখী সমস্যার আবর্তে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প সংকটাপন্ন। পর্যটন শিল্পে বিদ্যমান সমস্যা সমূহ সমাধান করতে পারলে এবং উপযুক্ত পর্যটন পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অন্যতম প্রধান উৎস হতে পারে। সুন্দরবন হতে পারে দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
সুন্দরের রানী সুন্দরবন। ক্ষণে ক্ষণে তার রূপ বদলায়। খুব ভোরে এক রূপ, দুপুরে অন্য রূপ, পড়ন্ত বিকেল আর সন্ধ্যায় ভিন্ন ভিন্ন রূপে সজ্জিত হয়। মধ্য গভীর রাতে অন্য আর এক রূপ। অমাবশ্যায় ভয়াল সুন্দর, আর চাঁদনী রাতে নানা রূপ ধারণ করে সুন্দরী সুন্দরবন পর্যটকদের বিমোহিত করে। বনের ভংয়ঙ্করতা, বাঘের গর্জন, হরিণের চোকিত চাহনি, বানর আর হরিণের বন্ধুত্ব, কুমিরের কান্না, পাকপাকালির কলতান, শ্রবন সুখ সহ বনের বিভিন্ন বৈচিত্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নৈস্বর্গিক দৃশ্য। আবার অশান্ত পানির বুকে উত্তাল ঢেউয়ের উন্মত্ত নৃত্য অবলোকন করে পর্যটক উল্লাসিত, বিমোহিত ও আপ্লুত হয়।
বিশ্বের একক বৃহত্তম বন সুন্দরবন। জগৎ সেরা ও জীব বৈচিত্রের আধার এ বন। সুন্দরবনে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর একমাত্র আবাসভূমি। ১৯৯৭ সালে ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে। বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি ও প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য নির্বাচনের পর থেকে সুন্দরবন নিয়ে প্রকৃতি প্রেমীসহ বিশ্ববাসীর সুন্দরবন দেখার আগ্রহের শেষ নেয়। যার ফলে, দেশী বিদেশী প্রকৃতি প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে সুন্দরবন। এর ফলে সুন্দরবন হতে পারে বিশ্বের অন্যতম পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প।
বনের মোট আয়তন ১০,২৮০ বর্গ কিঃ মিঃ। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। যা দেশে মোট আয়তনের ৪.২ শতাংশ এবং বনাঞ্চলের ৪৪ শতাংশ। এই বনে রয়েছে সুন্দরী, পশুর, গেওয়া, গরান, কেওড়া বাইনসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল এবং ১৩ প্রজাতির অর্কিট। তাছাড়া সুন্দরবনে আছে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, বানর, গুইশাপ, পাইথন ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপসহ ৩৭৫ প্রজাতি। বনমোরগ, গাংচিল, মদন টাক, ম্যাচলসহ ৩০০ প্রজাতির বেশি পাখি। জালের মত বিছানো প্রায় ৪৫০টি ছোট বড় নদী ও খাল। এতে রয়েছে কুমির, হাঙর, ডলফিন, ইলিশ, ভেটকিসহ প্রায় ২৯১ প্রজাতির মাছ।
প্রানী ও বৃক্ষের বৈচিত্রময় সমাহারে এ বন বৈজ্ঞানিক নৃতত্ত্ব ও প্রত্নতাত্বিক বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীব বৈচিত্রের কারনে পর্যটকদের কাছে সুন্দরবন অত্যন্ত আকর্ষনীয় স্থান। ভয়াল সৌন্দর্যের প্রতীক এ বন। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা উপেক্ষা করে প্রতি বছরই সুন্দরবনে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে চারটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে।
সুন্দরবনে দেশী বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, চাঁদপাই ও শরণখোলা এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের নামে একটি প্রকল্প তৈরী করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভ্রমন পিপাসুদের জন্য সুন্দরবনে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক নিরাপদ ও আরামদায়ক হবে। বিশ্বের প্রকৃতি প্রেমীদের পদাচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে সুন্দরবন।
সুন্দরবন হতে পারে বিশ্বের সেরা সম্পদ। এর ফলে বনের সুরক্ষার কাজ হবে শক্তিশালী। উপকূল এলাকায় লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। অবহেলিত জনপদের প্রান চাঞ্চল্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বিকশিত হবে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প। বিশ্বের পর্যটকদের আগমনে বৃদ্ধি পাবে বৈদেশিক মুদ্রা। যা দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি সুন্দরবন পর্যটন শিল্পকে পরিচিত ও আকর্ষনীয় করে তোলা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বে-সরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন একান্ত প্রয়োজন।
----প্রকাশ ঘোষ বিধান
প্রকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। অপরিমেয় সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে এদেশে। অথচ বহুমুখী সমস্যার আবর্তে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প সংকটাপন্ন। পর্যটন শিল্পে বিদ্যমান সমস্যা সমূহ সমাধান করতে পারলে এবং উপযুক্ত পর্যটন পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অন্যতম প্রধান উৎস হতে পারে। সুন্দরবন হতে পারে দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
সুন্দরের রানী সুন্দরবন। ক্ষণে ক্ষণে তার রূপ বদলায়। খুব ভোরে এক রূপ, দুপুরে অন্য রূপ, পড়ন্ত বিকেল আর সন্ধ্যায় ভিন্ন ভিন্ন রূপে সজ্জিত হয়। মধ্য গভীর রাতে অন্য আর এক রূপ। অমাবশ্যায় ভয়াল সুন্দর, আর চাঁদনী রাতে নানা রূপ ধারণ করে সুন্দরী সুন্দরবন পর্যটকদের বিমোহিত করে। বনের ভংয়ঙ্করতা, বাঘের গর্জন, হরিণের চোকিত চাহনি, বানর আর হরিণের বন্ধুত্ব, কুমিরের কান্না, পাকপাকালির কলতান, শ্রবন সুখ সহ বনের বিভিন্ন বৈচিত্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নৈস্বর্গিক দৃশ্য। আবার অশান্ত পানির বুকে উত্তাল ঢেউয়ের উন্মত্ত নৃত্য অবলোকন করে পর্যটক উল্লাসিত, বিমোহিত ও আপ্লুত হয়।
বিশ্বের একক বৃহত্তম বন সুন্দরবন। জগৎ সেরা ও জীব বৈচিত্রের আধার এ বন। সুন্দরবনে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর একমাত্র আবাসভূমি। ১৯৯৭ সালে ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে। বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি ও প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য নির্বাচনের পর থেকে সুন্দরবন নিয়ে প্রকৃতি প্রেমীসহ বিশ্ববাসীর সুন্দরবন দেখার আগ্রহের শেষ নেয়। যার ফলে, দেশী বিদেশী প্রকৃতি প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে সুন্দরবন। এর ফলে সুন্দরবন হতে পারে বিশ্বের অন্যতম পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প।
বনের মোট আয়তন ১০,২৮০ বর্গ কিঃ মিঃ। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। যা দেশে মোট আয়তনের ৪.২ শতাংশ এবং বনাঞ্চলের ৪৪ শতাংশ। এই বনে রয়েছে সুন্দরী, পশুর, গেওয়া, গরান, কেওড়া বাইনসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল এবং ১৩ প্রজাতির অর্কিট। তাছাড়া সুন্দরবনে আছে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, বানর, গুইশাপ, পাইথন ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপসহ ৩৭৫ প্রজাতি। বনমোরগ, গাংচিল, মদন টাক, ম্যাচলসহ ৩০০ প্রজাতির বেশি পাখি। জালের মত বিছানো প্রায় ৪৫০টি ছোট বড় নদী ও খাল। এতে রয়েছে কুমির, হাঙর, ডলফিন, ইলিশ, ভেটকিসহ প্রায় ২৯১ প্রজাতির মাছ।
প্রানী ও বৃক্ষের বৈচিত্রময় সমাহারে এ বন বৈজ্ঞানিক নৃতত্ত্ব ও প্রত্নতাত্বিক বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীব বৈচিত্রের কারনে পর্যটকদের কাছে সুন্দরবন অত্যন্ত আকর্ষনীয় স্থান। ভয়াল সৌন্দর্যের প্রতীক এ বন। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা উপেক্ষা করে প্রতি বছরই সুন্দরবনে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে চারটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে।
সুন্দরবনে দেশী বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, চাঁদপাই ও শরণখোলা এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের নামে একটি প্রকল্প তৈরী করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভ্রমন পিপাসুদের জন্য সুন্দরবনে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক নিরাপদ ও আরামদায়ক হবে। বিশ্বের প্রকৃতি প্রেমীদের পদাচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে সুন্দরবন।
সুন্দরবন হতে পারে বিশ্বের সেরা সম্পদ। এর ফলে বনের সুরক্ষার কাজ হবে শক্তিশালী। উপকূল এলাকায় লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। অবহেলিত জনপদের প্রান চাঞ্চল্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বিকশিত হবে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প। বিশ্বের পর্যটকদের আগমনে বৃদ্ধি পাবে বৈদেশিক মুদ্রা। যা দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি সুন্দরবন পর্যটন শিল্পকে পরিচিত ও আকর্ষনীয় করে তোলা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বে-সরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন একান্ত প্রয়োজন।
----প্রকাশ ঘোষ বিধান