বন বিভাগ ছাগলকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে সুন্দরবনের বাঘশুমারি করেছে। তবে
বন বিভাগ দাবি করছে, টোপ হিসেবে ছাগল নয়, ফেরোমেন ট্র্যাপ নামে একধরনের
ফাঁদে বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করে বাঘকে আকৃষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশ
বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, বাঘকে খাবার হিসেবে
গৃহপালিত কোনো প্রাণী দেওয়া নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে উৎপাদিত কোনো খাবার বা
রাসায়নিকের ব্যবহারও অনুমোদন করা হয়নি ওই আইনে।
বন্য প্রাণী
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছাগল ও ফেরোমেন ট্র্যাপ উভয়ই বাঘকে আকর্ষণ করতে ব্যবহার
করা ঠিক নয়। এতে বাঘের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ
মেয়াদে বাঘের শারীরিক ঝুঁকি এবং আচরণগত পরিবর্তন আসতে পারে, যা দেশের
জাতীয় এই প্রাণীটির অস্তিত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাজী আসমত বলেন, ছাগল এবং ফেরোমেন ট্র্যাপ বা ঘ্রাণ—এই দুই-ই সুন্দরবনের বাঘের জন্য ক্ষতিকর। কেননা, ছাগলের মাধ্যমে রোগজীবাণু বাঘের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আর ফেরোমেন একটি কৃত্রিম ঘ্রাণ, যা বাঘকে আকৃষ্ট করে। এই ঘ্রাণ শুঁকে বাঘ তার সঙ্গিনী বা অন্য কোনো প্রাণীর দেখা পেয়ে থাকে। কিন্তু কৃত্রিম ঘ্রাণ ব্যবহারে বাঘ প্রতারিত হবে। এতে বাঘের স্বাভাবিক চিন্তা এবং আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে।
বন বিভাগ এবং বাঘশুমারি পরিচালনাকারীদের একাধিক সূত্র বাঘের জন্য ছাগল ও ভেড়া ব্যবহার করে টোপ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট রেঞ্জে ইতিমধ্যে ২০০ ছাগল ও ভেড়া টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
বাঘশুমারি প্রকল্পের নথিতেও বাঘকে আকর্ষণ করার উপাদান কিনতে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দের তথ্য আছে। ছাগল পরিবহন করে সুন্দরবনে নিয়ে যাওয়া এবং ছাগল বনে বেঁধে আসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যবসায়ী বন বিভাগ থেকে সুন্দরবনে ছাগল নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সুন্দরবনে ছাগল নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বাঘশুমারি প্রকল্পে নৌযান সরবরাহকারী মনিরুজ্জামান লিটন বলেন, ‘ভাই, আমার কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইয়েন না।’
তবে প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী বাঘশুমারিতে কোনো জীবন্ত প্রাণীকে টোপ হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন পুরোপুরি অনুসরণ করেই শুমারিটি করছি।’
তবে শুমারির প্রধান পরামর্শক ভারতের বন্য প্রাণী ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী অধ্যাপক জাতভেন্দ্রদেব ঝালা টোপ হিসেবে ছাগল ব্যবহার করার কথা স্বীকার করে গত সোমবার বলেন, ‘সুন্দরবন জোয়ার-ভাটার এলাকা। এখানে শুধু ক্যামেরা ফাঁদপদ্ধতিতে বাঘ গণনা করা অনেক কঠিন। এতে অনেক বছর লেগে যেতে পারে। তাই শুমারিটি দ্রুত করার জন্য আমরা ছাগলকে টিকা দিয়ে রোগমুক্ত করে টোপ হিসেবে ব্যবহার করেছি। অনেক ক্ষেত্রে ছাগলের মাংস কেটে টোপ দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘টাইগার পপুলেশন ইস্টিমেশন ইউজিং ক্যামেরা ট্র্যাপিং মেথড ইন সুন্দরবনস, বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় বাঘগণনা হচ্ছে। প্রকল্পটির প্রধান পরামর্শক ভারতের বাঘশুমারির সমন্বয়কারী এবং ক্যামেরা ফাঁদপদ্ধতির উদ্ভাবক অধ্যাপক ঝালা।
জানতে চাইলে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন ফর নেচারের (আইইউসিএন) এ দেশীয় পরিচালক এবং সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থায় বেড়ে ওঠা প্রাণী খেতেই বাঘ অভ্যস্ত। সুন্দরবনের বাইরে থেকে কোনো প্রাণী ধরে এনে খাওয়ালে তাতে বাঘ রোগাক্রান্ত হতে পারে। পরবর্তী সময়ে তা অন্য বাঘ বা প্রাণীতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাজী আসমত বলেন, ছাগল এবং ফেরোমেন ট্র্যাপ বা ঘ্রাণ—এই দুই-ই সুন্দরবনের বাঘের জন্য ক্ষতিকর। কেননা, ছাগলের মাধ্যমে রোগজীবাণু বাঘের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আর ফেরোমেন একটি কৃত্রিম ঘ্রাণ, যা বাঘকে আকৃষ্ট করে। এই ঘ্রাণ শুঁকে বাঘ তার সঙ্গিনী বা অন্য কোনো প্রাণীর দেখা পেয়ে থাকে। কিন্তু কৃত্রিম ঘ্রাণ ব্যবহারে বাঘ প্রতারিত হবে। এতে বাঘের স্বাভাবিক চিন্তা এবং আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে।
বন বিভাগ এবং বাঘশুমারি পরিচালনাকারীদের একাধিক সূত্র বাঘের জন্য ছাগল ও ভেড়া ব্যবহার করে টোপ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট রেঞ্জে ইতিমধ্যে ২০০ ছাগল ও ভেড়া টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
বাঘশুমারি প্রকল্পের নথিতেও বাঘকে আকর্ষণ করার উপাদান কিনতে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দের তথ্য আছে। ছাগল পরিবহন করে সুন্দরবনে নিয়ে যাওয়া এবং ছাগল বনে বেঁধে আসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যবসায়ী বন বিভাগ থেকে সুন্দরবনে ছাগল নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সুন্দরবনে ছাগল নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বাঘশুমারি প্রকল্পে নৌযান সরবরাহকারী মনিরুজ্জামান লিটন বলেন, ‘ভাই, আমার কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইয়েন না।’
তবে প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী বাঘশুমারিতে কোনো জীবন্ত প্রাণীকে টোপ হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন পুরোপুরি অনুসরণ করেই শুমারিটি করছি।’
তবে শুমারির প্রধান পরামর্শক ভারতের বন্য প্রাণী ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী অধ্যাপক জাতভেন্দ্রদেব ঝালা টোপ হিসেবে ছাগল ব্যবহার করার কথা স্বীকার করে গত সোমবার বলেন, ‘সুন্দরবন জোয়ার-ভাটার এলাকা। এখানে শুধু ক্যামেরা ফাঁদপদ্ধতিতে বাঘ গণনা করা অনেক কঠিন। এতে অনেক বছর লেগে যেতে পারে। তাই শুমারিটি দ্রুত করার জন্য আমরা ছাগলকে টিকা দিয়ে রোগমুক্ত করে টোপ হিসেবে ব্যবহার করেছি। অনেক ক্ষেত্রে ছাগলের মাংস কেটে টোপ দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘টাইগার পপুলেশন ইস্টিমেশন ইউজিং ক্যামেরা ট্র্যাপিং মেথড ইন সুন্দরবনস, বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় বাঘগণনা হচ্ছে। প্রকল্পটির প্রধান পরামর্শক ভারতের বাঘশুমারির সমন্বয়কারী এবং ক্যামেরা ফাঁদপদ্ধতির উদ্ভাবক অধ্যাপক ঝালা।
জানতে চাইলে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন ফর নেচারের (আইইউসিএন) এ দেশীয় পরিচালক এবং সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থায় বেড়ে ওঠা প্রাণী খেতেই বাঘ অভ্যস্ত। সুন্দরবনের বাইরে থেকে কোনো প্রাণী ধরে এনে খাওয়ালে তাতে বাঘ রোগাক্রান্ত হতে পারে। পরবর্তী সময়ে তা অন্য বাঘ বা প্রাণীতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
