পাইকগাছায় ১৯টি আবাসন প্রকল্পের ১১৩টি ব্যারাকে অধিকাংশ বসতি না থাকায় তা
ধ্বংস হতে বসেছে। দেখ ভাল ও সংরক্ষণের অভাবে প্রকল্পের সব কিছুই ধ্বংস হয়ে
যাচ্ছে। সঠিক যাচাই-বাছাই ছাড়াই অর্থের বিনিময়ে কিংবা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব
লোকদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে সরেজমিনে তথ্য পাওয়া
যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় আবাসন প্রকল্প ১৯টি। ব্যারক সংখ্যা ১১৩টি। প্রতি ব্যারাকে বসতি পরিবার ১০টি। সর্বমোট বসতি পরিবারের সংখ্যা ১১৮০। প্রকৃত ভূমিহীনদের পুর্নবাসিত করার জন্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে যাদের আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয় তাদের অধিকাংশরই নিজস্ব ঠিকানায় যথেষ্ট সম্পদ-সম্পতি রয়েছে।
প্রকল্প কমিটিতে ক্ষেত্র বিশেষ দুর্নীতিবাজ ও স্বজন প্রীতির লোক থাকায় প্রকৃতি ভূমিহীনদের বদলে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের। যেখানে অর্থেরও কায় কারবার হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার ব্যারাকগুলোতে দেখা গেলেও অধিকাংশই ব্যারাক ছেড়েছে। ব্যারাকে শতকরা ১০ থেকে ৩০ ভাগ লোকর অবস্থান দেখো যায়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যারাকের বিশাল একটা অংশ ঝড় বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য বরাদ্দকৃত পুকুর গুলো মাছ চাষের জন্য লীজ দিয়ে প্রাপ্ত অর্থ হচ্ছে হরিলুট। বেশির ভাগ বসতি না থাকায় গুটি কয়েক পরিবারের মানবিক জীবন যাত্রা দেখা গেছে। তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য নেই কোন স্কুল বিনোদন বা খেলাধুলার ব্যবস্থা, চলাচলের জন্য নেই উপযুক্ত রাস্তা, নেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এমন কি হাট বাজার না থাকায় ৫-৭ কিলোমিটার দূরে যেয়ে বাজার-সওদা করতে হয়। ঝড় বর্ষার দিনে আবাসনের বাইরে যাওয়া ঘটেনা কারও। রোজগারের জন্য খাল-নদীতে মাছ শিকার তাদের একমাত্র অবলম্বন।
এ ব্যাপারে বাইশেরাবাদের আবাসন প্রকল্পের বসতি সুজাত গাজী ও তার স্ত্রী নূরজাহান তাদের অবর্ণনীয় দূর্ভোগের বর্ণনা দিতে যেয়ে বলেন, অধিকাংশ বসতি না থাকায় ভয় ভীতির মধ্য দিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। ছেলে মেয়েদের মানুষ করতে পারছি না।
উপজেলা আশ্রায়ন প্রকল্প কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সহকারি (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ঘরগুলো সংস্কারের জন্য টিনসহ অন্যান্য উপকরণ চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
একই সাথে তিনি বলেন, কতগুলো ঘর খালি, তারা কে কোথায় এবং কেন বসতি থাকে না তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও প্রকল্প সদস্য এবং সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের সহকারি ভূমি কর্মকতা (নায়েব) দের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় আবাসন প্রকল্প ১৯টি। ব্যারক সংখ্যা ১১৩টি। প্রতি ব্যারাকে বসতি পরিবার ১০টি। সর্বমোট বসতি পরিবারের সংখ্যা ১১৮০। প্রকৃত ভূমিহীনদের পুর্নবাসিত করার জন্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে যাদের আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয় তাদের অধিকাংশরই নিজস্ব ঠিকানায় যথেষ্ট সম্পদ-সম্পতি রয়েছে।
প্রকল্প কমিটিতে ক্ষেত্র বিশেষ দুর্নীতিবাজ ও স্বজন প্রীতির লোক থাকায় প্রকৃতি ভূমিহীনদের বদলে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের। যেখানে অর্থেরও কায় কারবার হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার ব্যারাকগুলোতে দেখা গেলেও অধিকাংশই ব্যারাক ছেড়েছে। ব্যারাকে শতকরা ১০ থেকে ৩০ ভাগ লোকর অবস্থান দেখো যায়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যারাকের বিশাল একটা অংশ ঝড় বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য বরাদ্দকৃত পুকুর গুলো মাছ চাষের জন্য লীজ দিয়ে প্রাপ্ত অর্থ হচ্ছে হরিলুট। বেশির ভাগ বসতি না থাকায় গুটি কয়েক পরিবারের মানবিক জীবন যাত্রা দেখা গেছে। তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য নেই কোন স্কুল বিনোদন বা খেলাধুলার ব্যবস্থা, চলাচলের জন্য নেই উপযুক্ত রাস্তা, নেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এমন কি হাট বাজার না থাকায় ৫-৭ কিলোমিটার দূরে যেয়ে বাজার-সওদা করতে হয়। ঝড় বর্ষার দিনে আবাসনের বাইরে যাওয়া ঘটেনা কারও। রোজগারের জন্য খাল-নদীতে মাছ শিকার তাদের একমাত্র অবলম্বন।
এ ব্যাপারে বাইশেরাবাদের আবাসন প্রকল্পের বসতি সুজাত গাজী ও তার স্ত্রী নূরজাহান তাদের অবর্ণনীয় দূর্ভোগের বর্ণনা দিতে যেয়ে বলেন, অধিকাংশ বসতি না থাকায় ভয় ভীতির মধ্য দিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। ছেলে মেয়েদের মানুষ করতে পারছি না।
উপজেলা আশ্রায়ন প্রকল্প কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সহকারি (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ঘরগুলো সংস্কারের জন্য টিনসহ অন্যান্য উপকরণ চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
একই সাথে তিনি বলেন, কতগুলো ঘর খালি, তারা কে কোথায় এবং কেন বসতি থাকে না তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও প্রকল্প সদস্য এবং সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের সহকারি ভূমি কর্মকতা (নায়েব) দের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।