Tuesday, September 16, 2014

পাইকগাছায় পল্লী বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে নাজেহাল গ্রাহকরা

সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে


বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে ফের চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা’র) প্রায় ২৪ হাজার গ্রাহক। ঘন ঘন ট্রিপ ও দীর্ঘস্থায়ী লোড শেডিংয়ের কারণে সার্বিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, আর যদি সামান্য ঝড়ো হাওয়া হয়েছে তো এক-দু’দিনের মধ্যে আর বিদ্যুতের দেখা মেলে না। বিদ্যুতের এ খামখেয়ালীতে গ্রাহকদের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন-ঘন ট্রিপ, লো- ভোল্টেজ ও দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধ্বস নেমেছে তেমনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ এখানকার সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

পৌর বাজারের কম্পিউটার কম্পোজ ও ষ্টুডিও ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। দিনভর বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানে আয় করতে পারছি না। বিদ্যুৎ যখন থাকছে তখন মাঝে মাঝে লো-ভোল্টেজ দেখা দিচ্ছে। বাজারের মোবাইল ফোন মেকানিকরা ক্ষোভের সাথে বলেন, সারাদিন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। এই আসে এই যায় অবস্থা। ফলে কোন কাজ ধরে শেষ তুলতে পারছি না।

পৌর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে যেসব ওষুধ ফ্রিজে রাখতে হয় এমন অনেক ওষুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের সামনের প্যাথলজী ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদ্যুতের অভাবে রোগীদের পরীক্ষা নীরিক্ষা কার্যক্রম সময়মত করতে পারছিনা। ফলে রোগীদের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে লোডশেডিংয়ের কারণে। অভিভাবক মহল দুশ্চিস্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে। দিনভর সীমাহীন লোডশেডিং থাকা সত্ত্বেও প্রত্যহ সন্ধ্যা থেকে অনেক রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে।